রংপুর মিঠাপুকুরে বিয়ের দাবিতে সেনা সদস্যের বাড়িতে অনশন স্কুল ছাত্রীর

- আপডেট টাইম : ১২:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ২১২ ৫০০০.০ বার পাঠক
রংপুরের মিঠাপুকুরে বিয়ের দাবিতে সেনা সদস্যের বাড়িতে অনশন করছেন অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী। মেয়েটির দাবি বেশ কিছু দিন যাবত সেনাসদস্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তাকে বিয়ের কথা বলে প্রায়ই মেয়েটির বাড়িতে যাতায়াত করতেন ঐ সেনা সদস্য।
ঐ স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারের দাবি , উপজেলার ০৯ নং ময়েনপুর ইউনিয়নের ময়েনপুর গাছুয়া পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সেনা সদস্য রওশন আলীর সঙ্গে পাশ্ববর্তী বদরগঞ্জ উপজেলার নাগেরহাট গাছুয়া পাড়ার গোলাম মোস্তফার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাবালিকা মেয়ে (১৩) সঙ্গে প্রায় দুমাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঐ নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করার আশ্বাসে মেয়ের বাবার বাড়িতে রওশন প্রায়ই যাতায়াত করতেন। এবং বিয়ের প্রলোভনে মেয়ের বাবা মা বাড়িতে না থাকায় অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
২০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ৮ঃ৩০ মিনিটে রওশনের বিয়ে অন্য কোথাও হচ্ছে এমন খবর পেয়ে মেয়েটি তার ফুফু এবং নানিকে নিয়ে রওশনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। রওশন এবং তার বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় তাদের বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। ঘরবাড়ি ছেড়ে সটকে পড়ে রওশন ও তার বাবা মা। যদিও এলাকাবাসী বলছে ইতিমধ্যে রওশনের অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের কাবিননামা সম্পূর্ণ হয়েছে। শুধু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাকী।
রওশনের বাড়িতে মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে ইউপি-চেয়ারম্যান মকছেদুল আলম মুকুল এবং ইউপি-সদস্য শাহ মোহাম্মদ জুলফিকার আলম রিকু ঘটনাস্থলে এসে মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করে এবং মেয়ের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েকে তার নিজ জিম্মায় নেওয়ার অনুরোধ জানান।কিন্তু মেয়ের বাবা গোলাম মোস্তফা মেয়েকে নিজের জিম্মায় নেওয়ার অস্বীকৃতি জানায়। নাবালিকা ঐ মেয়েকে তার বাবার বাড়ি ফিরে যেতে বললে মেয়েটি জানায়, রওশনের সঙ্গে বিয়ে না হলে আমার লাশ যাবে রওশনের বাড়ি থেকে।রওশনের বাবা মা বাড়িতে না থাকায় কোন রকমের সিদ্ধান্ত ছাড়াই চেয়ারম্যান এবং ইউপি-সদস্যসহ স্হানীয়রা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে অভিযুক্ত সেনাসদস্য রওশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বার্তাবাজারকে জানান, আমার বাবা ঐ মেয়ে বাড়িতে আসায় আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মেয়েটির সঙ্গে আমার তেমন কোন সম্পর্ক নেই। ঘটক একদিন মেয়টিকে দেখতে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলো। মাঝেমধ্যে একটু ফোনে কথা বলতো। এ রিপোর্টে লেখা অবধি মেয়েটি ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছে।