ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র বরগুনায় গ্রেফতার
- আপডেট টাইম : ০২:৩৯:০৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৩৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানকে গ্রেফতার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ডিকেপি রোডের মনিরুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মনিরুল ইসলাম পুঠিয়া পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চালক।
বরগুনা থানার ওসি আলী আহম্মেদ তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুঠিয়া থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, পুঠিয়া থানা পুলিশ তাকে নেওয়ার জন্য বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
পুঠিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল বারী জানিয়েছেন, রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানের বিরুদ্ধে এক নারী বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী (২৪) পুঠিয়া সদর এলাকার একজন কাঠ ব্যবসায়ীর মেয়ে। অন্যদিকে মেয়র আল মামুন গণ্ডগোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে ওসি আরও জানিয়েছেন, মেয়র আল মামুন খান ওই নারীর সঙ্গে জোরপূর্বক একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে রবিবার রাতে থানায় ধর্ষণের একটি অভিযোগ দিলে সোমবার সকালে অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়।
মামলার অভিযোগে ভুক্তভোগী ওই নারী উল্লেখ করেছেন, গত এক বছর আগে পৌরসভায় একটি চাকরির জন্য মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম। এরপর তিনি বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। একপর্যায়ে তার এই অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে বিয়ের প্রলোভনে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি মেয়র আমাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি প্রতিবাদ করায় তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। যার জন্য মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।
পুঠিয়ার পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খান জানিয়েছেন, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাসানো হয়েছে।
পুঠিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আরও জানান, আগেও দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালের এক সেবিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগে মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিলো।