ঢাকা ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারতের হামলায় ২৬ বেসামরিক নিহত, আহত ৪৬: পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারত-পাকিস্তান সংঘাত, যা বললেন জামায়াত আমির ভারতের সাময়িক আনন্দ স্থায়ী দুঃখে পরিণত হবে: পাকিস্তান পাক-ভারত সংঘাতের মধ্যে সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান আসিফ-হাসনাতের ভারতের হামলার পর তাৎক্ষণিক যেসব পদক্ষেপ নিলো পাকিস্তান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর আকাশে দেখা গেল টর্নেডো নারী যেমন পুরুষকে বুঝবে পুরুষও নারীকে বুঝতে হবে: এতেই শান্তি আসবে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির মুট কোর্ট সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তরুণদের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হতে বললেন ড. ইউনূস বাতিল হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি আইনের ৯টি ধারা ও ৯০ শতাংশ মামলা

বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা স্বীকার করেই রাজনীতি করতে হবে দাবি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন

কসবা, (ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া) থেকে ইয়াসিন মনি খান
  • আপডেট টাইম : ০১:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৮৩ ১৫০০০.০ বার পাঠক

বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা স্বীকার করেই রাজনীতি করতে হবে দাবি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন

বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করা যাবে না, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য ও অভিন্ন। তাই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা স্বীকার করেই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হবে। বঙ্গবন্ধু আপোষহীন থেকে নিজের উপর জুলুম সহ্য করে দেশ স্বাধীন করেছেন। সেই জাতির পিতাসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুন করেছে। যেই অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল, সেই অপশক্তি আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।

মন্ত্রী বলেন, সামরিক শাসক এরশাদ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাষ্ট্রপতির নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং তাদেরকে দল গঠন করার সুযোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া ভোটারবিহীন ভূয়া নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে নিজেকে নির্বাচিত ঘোষনা করেন এবং বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর অন্য এক খুনিকে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন। তাঁর এ মিথ্যা জন্মদিন বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করেছে। এ মিথ্যা জন্মদিনের জন্য ঘৃণায় থুথু দেওয়া উচিত। মিথ্যা জন্মদিনে বাংলাদেশের কোন মানুষ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি বলে তারা আগস্ট মাসে দলীয় কার্যক্রমের নামে আমাদেরকে গালিগালাজ করতে চায়, আমরা যেন তা শুনি। আমরা তা করতে দেব না। জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর মুক্তমঞ্চে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়াললী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় বসে বলেছেন কসবায় রাজনৈতিকভাবে দুই বিএনপির নেতাকে গ্রেপ্তার করে হয়রানী করছে। তিনি মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। কসবায় খবর নিয়ে জানলাম এরা দুইজনই দাগী আসামী। একজনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। অন্য একজন ২০২২ সালে জায়গা জমি নিয়ে চাদাঁবাজীর মামলায় জড়িত। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ খুজে পাচ্ছিলো না। পরে পুলিশ তাদেরকে খুঁজে পেয়ে গ্রেপ্তার করেছে। এটি কোন রাজনৈতিক মামলা নয়। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ কোন দেওলিয়া হয়ে যায়নি যে বিএনপিকে রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে হবে। আওয়ামীলীগ রাজনীতি করে জনগনের জন্য। আর সেই জনগন আওয়ামীলীগের সাথে রয়েছে।

কসবা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এম.এ আজিজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, কসবা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুস্তম খা, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. আফজাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক, যুগ্ম আহ্বায়ক, মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা স্বীকার করেই রাজনীতি করতে হবে দাবি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন

আপডেট টাইম : ০১:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা স্বীকার করেই রাজনীতি করতে হবে দাবি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন

বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করা যাবে না, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য ও অভিন্ন। তাই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা স্বীকার করেই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হবে। বঙ্গবন্ধু আপোষহীন থেকে নিজের উপর জুলুম সহ্য করে দেশ স্বাধীন করেছেন। সেই জাতির পিতাসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুন করেছে। যেই অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল, সেই অপশক্তি আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।

মন্ত্রী বলেন, সামরিক শাসক এরশাদ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাষ্ট্রপতির নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং তাদেরকে দল গঠন করার সুযোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া ভোটারবিহীন ভূয়া নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে নিজেকে নির্বাচিত ঘোষনা করেন এবং বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর অন্য এক খুনিকে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন। তাঁর এ মিথ্যা জন্মদিন বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করেছে। এ মিথ্যা জন্মদিনের জন্য ঘৃণায় থুথু দেওয়া উচিত। মিথ্যা জন্মদিনে বাংলাদেশের কোন মানুষ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি বলে তারা আগস্ট মাসে দলীয় কার্যক্রমের নামে আমাদেরকে গালিগালাজ করতে চায়, আমরা যেন তা শুনি। আমরা তা করতে দেব না। জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর মুক্তমঞ্চে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়াললী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় বসে বলেছেন কসবায় রাজনৈতিকভাবে দুই বিএনপির নেতাকে গ্রেপ্তার করে হয়রানী করছে। তিনি মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। কসবায় খবর নিয়ে জানলাম এরা দুইজনই দাগী আসামী। একজনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। অন্য একজন ২০২২ সালে জায়গা জমি নিয়ে চাদাঁবাজীর মামলায় জড়িত। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ খুজে পাচ্ছিলো না। পরে পুলিশ তাদেরকে খুঁজে পেয়ে গ্রেপ্তার করেছে। এটি কোন রাজনৈতিক মামলা নয়। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ কোন দেওলিয়া হয়ে যায়নি যে বিএনপিকে রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে হবে। আওয়ামীলীগ রাজনীতি করে জনগনের জন্য। আর সেই জনগন আওয়ামীলীগের সাথে রয়েছে।

কসবা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এম.এ আজিজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, কসবা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুস্তম খা, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. আফজাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক, যুগ্ম আহ্বায়ক, মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।