তিন দিন ধরে অভুক্ত ৩২ বানভাসি পরিবার, ৯৯৯-এ কলের পর মিলল খাবার
- আপডেট টাইম : ১১:২৫:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
- / ১৯৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
সিলেটে বন্যা শুরু হলে পানি ক্রমাগতই বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় বন্যার পানিতে আটকা পড়ে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম চটিবহর কোনাগাঁও গ্রামের ৩২ পরিবার। নিজেদের গ্রামের বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কোনো উপায় না পেয়ে বড় বড় কয়েকটি স্টিলের নৌকায় আশ্রয় নেন। এর মধ্যে অকার্যকর হয়ে পড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক।
শুধু তাই নয়, মজুত করা খাবারও ফুরিয়ে যায় তাদের। খাবার না থাকায় তিন দিন ধরে অভুক্ত থাকেন তারা। পরে কোনো কূলকিনারা না পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা দিকে কল দেওয়া হয় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ। এর পর সেই কল সংযুক্ত করা হয় সিলেট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমানের কাছে। পরে ওই নারীর শুধু কান্না শুনতে পাচ্ছিলেন পুলিশ সুপার। পরে তিনি ওই নারীর কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে বিস্তারিত জানেন।
৯৯৯-এ কল করেন চটিবহর কোনাগাঁও গ্রামের গৃহবধূ হনুফা বেগম (৪৫)। তার স্বামী রহমাত আলী দিনমজুর।
হনুফা বেগমের কলের পরই কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশকে ওই নারী ও গ্রামটির ৩২ পরিবারের জন্য দ্রুত খাবার পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেন। এর পর থানার উপপরিদর্শক মো. আজিজুর রহমান, গোপেশ দাশ ও জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন খাবার নিয়ে নৌকায় করে গ্রামটির উদ্দেশে রওনা দেন। রাত ৮টার দিকে পুলিশ সদস্যরা গ্রামটিতে পৌঁছে অভুক্ত পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনা খাবার তুলে দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. আজিজুর রহমান বলেন, গ্রামটি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অধীনে হলেও এর অবস্থান সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। রাতের অন্ধকারে বন্যার পানি পাড়ি দিয়ে অভুক্ত পরিবারগুলোর হাতে খাবার তুলে দিতে পেরে মনে শান্তি অনুভব হচ্ছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমান বলেন, এভাবেই ভবিষ্যতেও পুলিশ সদস্যরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চান।