ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে সকল মেহনতি শ্রমিকদের প্রতি প্রাণঢালা অভিনন্দন নাগরপুর-দেলদুয়ার আসনের সকলের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম এর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক, মে দিবস উপলক্ষে, পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়ীয়া উপজেলায়, রিকশা-ভ্যান অটো শ্রমিক দলের বর্ণাঢ্য রেলী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটার যানজট। ছবি: সবুজ সংকেত’ পেয়ে বিএনপি মিত্রদের নির্বাচনি তোড়জোড় পাবনা পার- ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন বিএনপির ৪ও৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র কর্মী সম্মেলন চট্টগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ২৮ টি ঘর হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ধর্ষণের সহযোগিতা চেয়ে সাংবাদি আবু হাসানকে ডেকে নিয়ে অপহরণের চেষ্টা,গ্রেফতার ২ নারী শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে দেশের শ্রমজীবী সমাজ তাদের হাতকে শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত করবেনঃ অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা সৌদিতে ঈদুল আজহা কবে, জানা গেল সম্ভাব্য তারিখ গাজীপুরে সওজ’র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত

গাজীপুরে অধিগ্রহণ বিলে জারীকারক মনির দালাল মঞ্জু চক্রের’ বাণিজ্য  দুর্নীতির অভিযোগ 

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:১৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২
  • / ৫৪৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার।।

গাজীপুর জেলা প্রশাসকের এলএ শাখার জারীকারক মনিরের সম্পদের পাহাড় তার সিন্ডিকেট দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে,এডিসি মশিউর জামানায় বড়োরাথুরা মৌজার আধা শতক জমিতে স্থাপনা দেখিয়ে বিল উত্তোলন করিয়াছে পনের লক্ষ টাকার মতো। প্রকৃতপক্ষে বর্তমান এডিসি রেভিনিউ এবং এল, এ, ও , এই দুই কর্মকর্তা কে তথ্য গোপন করিয়া। অথচ তাদের নাম ব্যবহার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জমির অধিগ্রহণ বিল প্রদানে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের চিত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কাপাসিয়ার সাথে মনোহরদীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে রাণীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য জনসাধারণের জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
জরিপের সময় মনির নামের দুজন স্থানীয়দের সাথে সখ্যতা গড়ে বিল উত্তোলনের চুক্তি করেন। তাদের একজন জেলা প্রশাসনের কর্মচারী ও অপরজন অধিগ্রহণের বিল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
তারা ক্ষতিগ্রস্তদের বোঝাতে সক্ষম হন যে ভ্যাটসহ খরচ পড়বে ৩০ পার্সেন্ট। সে মতে ৩০০ টাকার খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
এরপর মনির গং স্বাক্ষর নিয়ে বিলের আবেদন জমা দেয়। এমনকি তারা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শিববাড়ি শাখায় অ্যাকাউন্ট করিয়ে চেকবইও নিজেদের কাছে রেখে দেন।
রোহিনী মন্ডলের ছেলে ব্যবসায়ী সুধাংশু চন্দ্র মন্ডল অভিযোগ করেন, তাদের জমি ও অবকাঠামো বাবদ এক কোটি ৪১ লাখ টাকার মধ্যে এক কোটি ২৪ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ থেকে নয়ন ৫৬ লাখ টাকা রেখে বাকি ৬৮ লাখ টাকা কাপাসিয়ার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছেন।
এর আগে আদালতে স্ট্যাম্প দিয়ে একটি মামলা করে চুক্তির ২৬ লাখ টাকার স্থলে ৫৬ লাখ টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। বিলের বাকি ১৭ লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না।

সুধাংশু বলেন, পত্রিকায় নিউজ না করার জন্য, মনির গং তাকে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বস্ত করে, কথা না বলে চুপ থাকতে বলে।
কিন্তু কোন টাকা দেয়নি। রাণীগঞ্জ বাজারের পশ্চিম পাশে দিলীপ চৌহানদের বাড়ি। তাদের বাড়ি, জমি ও গাছপালা বাবদ বিল এক কোটি টাকার বেশি।
সময়ের কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধির সাথে কথা বলার সময় তিনি সংকোচ বোধ করছিলেন। বেশি কিছু না বলতে বারণ করেন তার এক ভাই।
দিলীপ জানান, মনিরের সাথে তাদের ২৫ পার্সেন্টের চুক্তি ছিল। এ ছাড়া মনির কিছু খালি জায়গা ভাড়া নিয়ে ঘর তুলে বাড়তি বিল করিয়েছেন।
সে হিসাবে মনির গং দিলীপ পরিবারের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছে।বাড়ৈগাঁও গ্রামের সাহাজ উদ্দিনের স্বজনরা জানান, জমি ও পাকা স্থাপনা বাবদ প্রায় ৪২ লাখ ৭০ হাজার টাকার বিলে মনিরের সাথে ১৫ লাখ টাকার চুক্তি ছিল। পরে কম দেওয়া হয়েছে।
মনির গং এভাবে তিনটি স্পটেই প্রায় এক কোটি টাকার বাণিজ্য করেছে। এ ধরনের ভুক্তভোগী আরও রয়েছেন।ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, গত প্রায় এক বছরেও কোন কর্মকর্তা এলাকায় তদন্তে যাননি। মনিরের সাথে স্থানীয় দু-চারজন লোক জড়িত। কেউ কেউ ভয়ে মুখ খুলেন না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পটির বিল প্রদানের দায়িত্বে ছিলেন, সার্ভেয়ার আব্দুল আওয়াল । এলএ শাখায় বিল উত্তোলনে জারীকারক মনিরের যত অপকৌশল বেছে নিয়েছে, ১৫ পার্সেন্ট ঘুষ দিতে হয়-এমন মিথ্যা কথা বলে জনগণ কে বিভ্রান্তি করছে ইহা দীর্ঘদিনের। এ ব্যাপারে এল, এ অফিসের জারীকারক মনিরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে ফোন ধরেননি।দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরে অধিগ্রহণ বিলে জারীকারক মনির দালাল মঞ্জু চক্রের’ বাণিজ্য  দুর্নীতির অভিযোগ 

আপডেট টাইম : ১২:১৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার।।

গাজীপুর জেলা প্রশাসকের এলএ শাখার জারীকারক মনিরের সম্পদের পাহাড় তার সিন্ডিকেট দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে,এডিসি মশিউর জামানায় বড়োরাথুরা মৌজার আধা শতক জমিতে স্থাপনা দেখিয়ে বিল উত্তোলন করিয়াছে পনের লক্ষ টাকার মতো। প্রকৃতপক্ষে বর্তমান এডিসি রেভিনিউ এবং এল, এ, ও , এই দুই কর্মকর্তা কে তথ্য গোপন করিয়া। অথচ তাদের নাম ব্যবহার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জমির অধিগ্রহণ বিল প্রদানে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের চিত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কাপাসিয়ার সাথে মনোহরদীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে রাণীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য জনসাধারণের জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
জরিপের সময় মনির নামের দুজন স্থানীয়দের সাথে সখ্যতা গড়ে বিল উত্তোলনের চুক্তি করেন। তাদের একজন জেলা প্রশাসনের কর্মচারী ও অপরজন অধিগ্রহণের বিল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
তারা ক্ষতিগ্রস্তদের বোঝাতে সক্ষম হন যে ভ্যাটসহ খরচ পড়বে ৩০ পার্সেন্ট। সে মতে ৩০০ টাকার খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
এরপর মনির গং স্বাক্ষর নিয়ে বিলের আবেদন জমা দেয়। এমনকি তারা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শিববাড়ি শাখায় অ্যাকাউন্ট করিয়ে চেকবইও নিজেদের কাছে রেখে দেন।
রোহিনী মন্ডলের ছেলে ব্যবসায়ী সুধাংশু চন্দ্র মন্ডল অভিযোগ করেন, তাদের জমি ও অবকাঠামো বাবদ এক কোটি ৪১ লাখ টাকার মধ্যে এক কোটি ২৪ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ থেকে নয়ন ৫৬ লাখ টাকা রেখে বাকি ৬৮ লাখ টাকা কাপাসিয়ার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছেন।
এর আগে আদালতে স্ট্যাম্প দিয়ে একটি মামলা করে চুক্তির ২৬ লাখ টাকার স্থলে ৫৬ লাখ টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। বিলের বাকি ১৭ লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না।

সুধাংশু বলেন, পত্রিকায় নিউজ না করার জন্য, মনির গং তাকে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বস্ত করে, কথা না বলে চুপ থাকতে বলে।
কিন্তু কোন টাকা দেয়নি। রাণীগঞ্জ বাজারের পশ্চিম পাশে দিলীপ চৌহানদের বাড়ি। তাদের বাড়ি, জমি ও গাছপালা বাবদ বিল এক কোটি টাকার বেশি।
সময়ের কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধির সাথে কথা বলার সময় তিনি সংকোচ বোধ করছিলেন। বেশি কিছু না বলতে বারণ করেন তার এক ভাই।
দিলীপ জানান, মনিরের সাথে তাদের ২৫ পার্সেন্টের চুক্তি ছিল। এ ছাড়া মনির কিছু খালি জায়গা ভাড়া নিয়ে ঘর তুলে বাড়তি বিল করিয়েছেন।
সে হিসাবে মনির গং দিলীপ পরিবারের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছে।বাড়ৈগাঁও গ্রামের সাহাজ উদ্দিনের স্বজনরা জানান, জমি ও পাকা স্থাপনা বাবদ প্রায় ৪২ লাখ ৭০ হাজার টাকার বিলে মনিরের সাথে ১৫ লাখ টাকার চুক্তি ছিল। পরে কম দেওয়া হয়েছে।
মনির গং এভাবে তিনটি স্পটেই প্রায় এক কোটি টাকার বাণিজ্য করেছে। এ ধরনের ভুক্তভোগী আরও রয়েছেন।ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, গত প্রায় এক বছরেও কোন কর্মকর্তা এলাকায় তদন্তে যাননি। মনিরের সাথে স্থানীয় দু-চারজন লোক জড়িত। কেউ কেউ ভয়ে মুখ খুলেন না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পটির বিল প্রদানের দায়িত্বে ছিলেন, সার্ভেয়ার আব্দুল আওয়াল । এলএ শাখায় বিল উত্তোলনে জারীকারক মনিরের যত অপকৌশল বেছে নিয়েছে, ১৫ পার্সেন্ট ঘুষ দিতে হয়-এমন মিথ্যা কথা বলে জনগণ কে বিভ্রান্তি করছে ইহা দীর্ঘদিনের। এ ব্যাপারে এল, এ অফিসের জারীকারক মনিরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে ফোন ধরেননি।দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন