ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেলের কবরের বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবা বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিক দিবস জামালপুরে আমের ফলন কমার আশংকা আজমিরীগঞ্জে জনৈক এক নারীকে ইভটিজিং, মোবাইল কোর্টের জেল ও জরিমানা ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার

বাজারে বসে কচুর লতি বিক্রি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক

বিশেষ প্রতিনিধি।।

বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। তিনি বাজারে বসে কচুর লতি বিক্রি করছেন।

অধ্যাপক প্রিন্স বরিশালের ঝালকাঠির রাজাপুরের বাসিন্দা। তার বাবা ছিলেন একজন সেনা কর্মকর্তা। বাবার চাকরির সুবাদে পরিবারসহ ঢাকায় আর্মি কলোনিতে থাকতেন। বর্তমানে পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন।

কৃষিকে ভালোবেসে ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স শ্বশুরবাড়ির গ্রামে গত আট বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে আট একর জমিতে ‘কৃষাণ সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ’ নামে গড়ে তুলছেন বিশাল কৃষি খামার। ওই খামারে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন, লিচু, লটকন, আম ও মাল্টা চাষ করছেন। সেই সঙ্গে প্রায় ৩৫ রকমের কৃষিপণ্য ওই খামারে তিনি উৎপাদন করে নিজে খাওয়ার পাশাপাশি বিক্রি করছেন স্থানীয় হাটে।

বাজারে কচুর লতি বিক্রি প্রসঙ্গে ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, বাজারে ১৬ কেজি কচুর লতি নিয়ে গিয়েছিলাম। পাইকার বলেছিল ৪০ টাকা, কিন্তু বাজারে বসে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। ৩ জনের কাছে টাকা কম থাকায় দাম কম নিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি কৃষি ভালোবাসি। কৃষি নিয়ে স্বপ্ন দেখি। চাই সবাই কম-বেশি কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হোক। কারণ বেঁচে থাকতে হলে সবাইকে কৃষি কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বছরে ছয় মাস ছুটি নিয়ে খামারে কাজ করি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই মানুষ। কে কোন পর্যায়ে আছি সেটা বড় বিষয় না। এছাড়া নিজের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেলের কবরের বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবা

বাজারে বসে কচুর লতি বিক্রি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক

আপডেট টাইম : ০৪:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৬ মে ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি।।

বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। তিনি বাজারে বসে কচুর লতি বিক্রি করছেন।

অধ্যাপক প্রিন্স বরিশালের ঝালকাঠির রাজাপুরের বাসিন্দা। তার বাবা ছিলেন একজন সেনা কর্মকর্তা। বাবার চাকরির সুবাদে পরিবারসহ ঢাকায় আর্মি কলোনিতে থাকতেন। বর্তমানে পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন।

কৃষিকে ভালোবেসে ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স শ্বশুরবাড়ির গ্রামে গত আট বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে আট একর জমিতে ‘কৃষাণ সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ’ নামে গড়ে তুলছেন বিশাল কৃষি খামার। ওই খামারে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন, লিচু, লটকন, আম ও মাল্টা চাষ করছেন। সেই সঙ্গে প্রায় ৩৫ রকমের কৃষিপণ্য ওই খামারে তিনি উৎপাদন করে নিজে খাওয়ার পাশাপাশি বিক্রি করছেন স্থানীয় হাটে।

বাজারে কচুর লতি বিক্রি প্রসঙ্গে ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, বাজারে ১৬ কেজি কচুর লতি নিয়ে গিয়েছিলাম। পাইকার বলেছিল ৪০ টাকা, কিন্তু বাজারে বসে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। ৩ জনের কাছে টাকা কম থাকায় দাম কম নিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি কৃষি ভালোবাসি। কৃষি নিয়ে স্বপ্ন দেখি। চাই সবাই কম-বেশি কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হোক। কারণ বেঁচে থাকতে হলে সবাইকে কৃষি কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বছরে ছয় মাস ছুটি নিয়ে খামারে কাজ করি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই মানুষ। কে কোন পর্যায়ে আছি সেটা বড় বিষয় না। এছাড়া নিজের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই।