ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মনোহরদীতে মডেল মসজিদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৫ লাখ টাকা ভোটের আগে বারুইপুর জেলা পুলিশের বড় সাফল্য, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার কলেজ পড়ুয়া জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে হাজী মো: মকবুল হোসেনের বিশাল জনসভা ফুলবাড়ীতে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত অধিকার ও মানবাধিকার কর্মীদের উদ্বেগ মানবাধিকার পরিস্থিতিতে অগ্রগতি নেই বাংলাদেশের হজ ভিসায় জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে যেতে পারবেন না হাজীরা জামালপুরে পাটের পরিবর্তে, পাট শাক চাষ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে গাজা ট্র্যাজেডি থেকে যে শিক্ষা নিতে বললেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধানের চাল কত টাকা কিনা হবে জানালেন মন্ত্রী সুন্দরবনের অগ্নিকান্ডের দায়ভার বনবিভাগকেই নিতে হবে

বাড়ি থেকে গৃহকর্মীকে তুলে আনতে পুলিশ নিয়ে গেলেন।। সার্জেন্ট

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:১০:৩১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি ২০২২
  • ১৮৮ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক সার্জেন্টের বাড়িতে কাজ করতে না চাওয়ায় ওই সার্জেন্ট এক গৃহকর্মীকে তুলে আনতে তার বাড়িতে পুলিশ নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিয়েছেন প্রাণনাশের হুমকিও। দেখিয়েছেন ভয়-ভীতি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই নারীর নাম সাজেদা খাতুন (৫২)। তিনি মহানগরীর শিরোইল এলাকায় ভাড়া থাকেন।

অভিযুক্ত সার্জেন্টের নাম মাহমুদ রানা। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত।

গৃহকর্মী সাজেদা জানান, তিনি কয়েকটি বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। এর মধ্যে সার্জেন্ট রানার স্ত্রীর নানির বাড়িতেও কাজ করেন। সম্প্রতি রানার স্ত্রী সুমি খাতুন সন্তান প্রসব করেন। তাই সুমির নানি তাকে নাতনির বাড়িতে কয়েক দিন কাজ করতে পাঠান।

কিন্তু একসঙ্গে কয়েকটি বাড়িতে কাজ করেন বলে সাজেদা সার্জেন্ট রানার বাড়িতে কাজ করার সময় করে উঠতে পারছিলেন না। গত মঙ্গলবার সাজেদা জানিয়ে দেন, তিনি আর কাজে আসতে পারবেন না। তখন সার্জেন্ট রানা তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, কাজে না এলে তার নামে মিথ্যা মামলা করা হবে। তার বিরুদ্ধে বাড়ির সোনাদানা চুরির অভিযোগ করা হবে।

সার্জেন্টের এ হুমকি আমলে না নিয়ে সাজেদা পরদিন থেকে কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেন। হঠাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সার্জেন্ট মাহমুদ রানা মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল পুলিশ বক্স থেকে চারজন কনস্টেবল নিয়ে সাজেদার বাড়ি যান। সাজেদা তখন অন্য এক বাড়িতে কাজে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে তিনি জানতে পারেন, তাকে খুঁজতে বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। সাদা পোশাকে আসা সার্জেন্ট মাহমুদ রানা আশপাশের লোকজনদের জানিয়ে গেছেন, সাজেদা নাকি তার বাড়ির গয়না ও টাকা চুরি করে এনেছেন।

গৃহকর্মী সাজেদা খাতুন আরও জানান, বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় শুক্রবার দুপুরে তিনি নিজেই বোয়ালিয়া থানায় যান। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ হয়েছে কিনা খোঁজ নেন। তখন জানতে পারেন, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ নেই। সার্জেন্ট রানা তাকে তুলে আনতে গিয়েছিলেন। এ কারণে প্রাণনাশের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চুরির মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় তিনিই সার্জেন্টের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে বোয়ালিয়া থানার কর্তব্যরত অফিসার কোনো মন্তব্য না করে ওসির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে জানতে ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

সার্জেন্ট রানার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি একবার ধরেননি। পরে আরেকবার ফোন করলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার অনির্বাণ চাকমা জানান, আরএমপির সদর দফতর থেকে তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই সার্জেন্টের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

মনোহরদীতে মডেল মসজিদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৫ লাখ টাকা

বাড়ি থেকে গৃহকর্মীকে তুলে আনতে পুলিশ নিয়ে গেলেন।। সার্জেন্ট

আপডেট টাইম : ০৬:১০:৩১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি ২০২২

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক সার্জেন্টের বাড়িতে কাজ করতে না চাওয়ায় ওই সার্জেন্ট এক গৃহকর্মীকে তুলে আনতে তার বাড়িতে পুলিশ নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিয়েছেন প্রাণনাশের হুমকিও। দেখিয়েছেন ভয়-ভীতি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই নারীর নাম সাজেদা খাতুন (৫২)। তিনি মহানগরীর শিরোইল এলাকায় ভাড়া থাকেন।

অভিযুক্ত সার্জেন্টের নাম মাহমুদ রানা। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত।

গৃহকর্মী সাজেদা জানান, তিনি কয়েকটি বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। এর মধ্যে সার্জেন্ট রানার স্ত্রীর নানির বাড়িতেও কাজ করেন। সম্প্রতি রানার স্ত্রী সুমি খাতুন সন্তান প্রসব করেন। তাই সুমির নানি তাকে নাতনির বাড়িতে কয়েক দিন কাজ করতে পাঠান।

কিন্তু একসঙ্গে কয়েকটি বাড়িতে কাজ করেন বলে সাজেদা সার্জেন্ট রানার বাড়িতে কাজ করার সময় করে উঠতে পারছিলেন না। গত মঙ্গলবার সাজেদা জানিয়ে দেন, তিনি আর কাজে আসতে পারবেন না। তখন সার্জেন্ট রানা তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, কাজে না এলে তার নামে মিথ্যা মামলা করা হবে। তার বিরুদ্ধে বাড়ির সোনাদানা চুরির অভিযোগ করা হবে।

সার্জেন্টের এ হুমকি আমলে না নিয়ে সাজেদা পরদিন থেকে কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেন। হঠাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সার্জেন্ট মাহমুদ রানা মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল পুলিশ বক্স থেকে চারজন কনস্টেবল নিয়ে সাজেদার বাড়ি যান। সাজেদা তখন অন্য এক বাড়িতে কাজে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে তিনি জানতে পারেন, তাকে খুঁজতে বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। সাদা পোশাকে আসা সার্জেন্ট মাহমুদ রানা আশপাশের লোকজনদের জানিয়ে গেছেন, সাজেদা নাকি তার বাড়ির গয়না ও টাকা চুরি করে এনেছেন।

গৃহকর্মী সাজেদা খাতুন আরও জানান, বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় শুক্রবার দুপুরে তিনি নিজেই বোয়ালিয়া থানায় যান। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ হয়েছে কিনা খোঁজ নেন। তখন জানতে পারেন, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ নেই। সার্জেন্ট রানা তাকে তুলে আনতে গিয়েছিলেন। এ কারণে প্রাণনাশের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চুরির মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় তিনিই সার্জেন্টের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে বোয়ালিয়া থানার কর্তব্যরত অফিসার কোনো মন্তব্য না করে ওসির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে জানতে ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

সার্জেন্ট রানার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি একবার ধরেননি। পরে আরেকবার ফোন করলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার অনির্বাণ চাকমা জানান, আরএমপির সদর দফতর থেকে তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই সার্জেন্টের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।