ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

বাড়ি থেকে গৃহকর্মীকে তুলে আনতে পুলিশ নিয়ে গেলেন।। সার্জেন্ট

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:১০:৩১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি ২০২২
  • ১৮৫ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক সার্জেন্টের বাড়িতে কাজ করতে না চাওয়ায় ওই সার্জেন্ট এক গৃহকর্মীকে তুলে আনতে তার বাড়িতে পুলিশ নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিয়েছেন প্রাণনাশের হুমকিও। দেখিয়েছেন ভয়-ভীতি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই নারীর নাম সাজেদা খাতুন (৫২)। তিনি মহানগরীর শিরোইল এলাকায় ভাড়া থাকেন।

অভিযুক্ত সার্জেন্টের নাম মাহমুদ রানা। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত।

গৃহকর্মী সাজেদা জানান, তিনি কয়েকটি বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। এর মধ্যে সার্জেন্ট রানার স্ত্রীর নানির বাড়িতেও কাজ করেন। সম্প্রতি রানার স্ত্রী সুমি খাতুন সন্তান প্রসব করেন। তাই সুমির নানি তাকে নাতনির বাড়িতে কয়েক দিন কাজ করতে পাঠান।

কিন্তু একসঙ্গে কয়েকটি বাড়িতে কাজ করেন বলে সাজেদা সার্জেন্ট রানার বাড়িতে কাজ করার সময় করে উঠতে পারছিলেন না। গত মঙ্গলবার সাজেদা জানিয়ে দেন, তিনি আর কাজে আসতে পারবেন না। তখন সার্জেন্ট রানা তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, কাজে না এলে তার নামে মিথ্যা মামলা করা হবে। তার বিরুদ্ধে বাড়ির সোনাদানা চুরির অভিযোগ করা হবে।

সার্জেন্টের এ হুমকি আমলে না নিয়ে সাজেদা পরদিন থেকে কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেন। হঠাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সার্জেন্ট মাহমুদ রানা মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল পুলিশ বক্স থেকে চারজন কনস্টেবল নিয়ে সাজেদার বাড়ি যান। সাজেদা তখন অন্য এক বাড়িতে কাজে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে তিনি জানতে পারেন, তাকে খুঁজতে বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। সাদা পোশাকে আসা সার্জেন্ট মাহমুদ রানা আশপাশের লোকজনদের জানিয়ে গেছেন, সাজেদা নাকি তার বাড়ির গয়না ও টাকা চুরি করে এনেছেন।

গৃহকর্মী সাজেদা খাতুন আরও জানান, বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় শুক্রবার দুপুরে তিনি নিজেই বোয়ালিয়া থানায় যান। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ হয়েছে কিনা খোঁজ নেন। তখন জানতে পারেন, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ নেই। সার্জেন্ট রানা তাকে তুলে আনতে গিয়েছিলেন। এ কারণে প্রাণনাশের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চুরির মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় তিনিই সার্জেন্টের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে বোয়ালিয়া থানার কর্তব্যরত অফিসার কোনো মন্তব্য না করে ওসির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে জানতে ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

সার্জেন্ট রানার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি একবার ধরেননি। পরে আরেকবার ফোন করলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার অনির্বাণ চাকমা জানান, আরএমপির সদর দফতর থেকে তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই সার্জেন্টের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক

বাড়ি থেকে গৃহকর্মীকে তুলে আনতে পুলিশ নিয়ে গেলেন।। সার্জেন্ট

আপডেট টাইম : ০৬:১০:৩১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি ২০২২

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক সার্জেন্টের বাড়িতে কাজ করতে না চাওয়ায় ওই সার্জেন্ট এক গৃহকর্মীকে তুলে আনতে তার বাড়িতে পুলিশ নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিয়েছেন প্রাণনাশের হুমকিও। দেখিয়েছেন ভয়-ভীতি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই নারীর নাম সাজেদা খাতুন (৫২)। তিনি মহানগরীর শিরোইল এলাকায় ভাড়া থাকেন।

অভিযুক্ত সার্জেন্টের নাম মাহমুদ রানা। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত।

গৃহকর্মী সাজেদা জানান, তিনি কয়েকটি বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। এর মধ্যে সার্জেন্ট রানার স্ত্রীর নানির বাড়িতেও কাজ করেন। সম্প্রতি রানার স্ত্রী সুমি খাতুন সন্তান প্রসব করেন। তাই সুমির নানি তাকে নাতনির বাড়িতে কয়েক দিন কাজ করতে পাঠান।

কিন্তু একসঙ্গে কয়েকটি বাড়িতে কাজ করেন বলে সাজেদা সার্জেন্ট রানার বাড়িতে কাজ করার সময় করে উঠতে পারছিলেন না। গত মঙ্গলবার সাজেদা জানিয়ে দেন, তিনি আর কাজে আসতে পারবেন না। তখন সার্জেন্ট রানা তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, কাজে না এলে তার নামে মিথ্যা মামলা করা হবে। তার বিরুদ্ধে বাড়ির সোনাদানা চুরির অভিযোগ করা হবে।

সার্জেন্টের এ হুমকি আমলে না নিয়ে সাজেদা পরদিন থেকে কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেন। হঠাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সার্জেন্ট মাহমুদ রানা মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল পুলিশ বক্স থেকে চারজন কনস্টেবল নিয়ে সাজেদার বাড়ি যান। সাজেদা তখন অন্য এক বাড়িতে কাজে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে তিনি জানতে পারেন, তাকে খুঁজতে বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। সাদা পোশাকে আসা সার্জেন্ট মাহমুদ রানা আশপাশের লোকজনদের জানিয়ে গেছেন, সাজেদা নাকি তার বাড়ির গয়না ও টাকা চুরি করে এনেছেন।

গৃহকর্মী সাজেদা খাতুন আরও জানান, বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় শুক্রবার দুপুরে তিনি নিজেই বোয়ালিয়া থানায় যান। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ হয়েছে কিনা খোঁজ নেন। তখন জানতে পারেন, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ নেই। সার্জেন্ট রানা তাকে তুলে আনতে গিয়েছিলেন। এ কারণে প্রাণনাশের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চুরির মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় তিনিই সার্জেন্টের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে বোয়ালিয়া থানার কর্তব্যরত অফিসার কোনো মন্তব্য না করে ওসির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে জানতে ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

সার্জেন্ট রানার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি একবার ধরেননি। পরে আরেকবার ফোন করলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার অনির্বাণ চাকমা জানান, আরএমপির সদর দফতর থেকে তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই সার্জেন্টের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।