ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী সংসারের হাল ধরতে চেয়ে নিজেই এখন বোঝা” বাঁচতে চায় ঠাকুরগাঁওয়ের শামীম জেনেভা ক্যাম্পের শিশুদের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ড্রিম এলাইভ ফাউন্ডেশন এবং এনএলজে হাই স্কুল পরিচালনা কমিটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত সখিপুর উপজেলা দলিল লেখক ও স্ট্যাম ভেন্ডার কল্যাণ সমবায় সমিতি লি:এর সদস্যদের সাথে মত বিনিময় পরমানু বোমা হামলা থেকে বাচঁতে আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া সশস্ত্র বাহিনী দিবসে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ গণহত্যার সুপ্রিম কমান্ডার ছিলেন পুলিশপ্রধান: তাজুল ইসলাম আজমিরীগঞ্জে ১০৪ পিস ইয়াবা সহ আটক দুই

মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে থাকার জন্য একটি বাড়ির আকুতি মায়ের

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:২৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২১
  • / ৩০৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।।

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানিয়া মহেশাইল গ্রামের হতদরিদ্র মমেনা বেগম (৭৪)। স্বামী মারা গেছেন ২০ বছর আগে। বয়সের ভারে শারীরিক অক্ষমতার কারণে কোন কাজ করতে পারেন না। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় কোন রকমে চলে সংসার। এরই মাঝে মোমেনা বেগমের মেজ মেয়ে বিয়ের ১০ বছর পর মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। এজন্য তাকেও তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হয়েছে। মমেনা বেগমের সংসারে বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৯ জন। কিন্তু থাকার ঘর মাত্র ২ টি। দুটি ঘরের একটি বড় ছেলের, আরেকটি ছোট ছেলের। ছোট ছেলে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। সে কারণে ছোট ছেলের ঘরেই থাকেন মমেনা বেগম। কিন্তু ছোট ছেলে বাড়িতে আসলে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই মেয়েকে নিয়ে ঘরের বারান্দায় থাকতে হয় তাকেসরেজমিনে মমেনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে খড়ের ছাউনি দিয়ে ঘেরা একটি টিনের ঘর। এটি তার ছোট ছেলের ঘর। এ ঘরেই তিনি থাকেন।

হতদ্ররিদ্র মমেনা বেগম জানান, আমাদের কষ্ট বারে। খুবেই কষ্ট। বাড়ি নাই, ঘর নাই। বেটার ঘরত থাকি। বেটা বাড়িত আইলে বারান্দাত থাকি। বেটিটা পাগল। গায়ত কাপড় থয়না। মানুষে সাহায্য করি দেয়। তা দিয়ে খাই। সরকার যদি আমারে একটা ঘর দেয়, তাহলে আর কিছু চাই না। আমি বয়স্ক ভাতা, মেয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। এ দিয়ে সংসার চলে। মমেনা বেগমের একটাই চাওয়া, মরার আগে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটার তার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করা।

এ বিষয়ে ওই এলাকার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ঝর্না বেগম বলেন, মমেনা বেগমের মেয়ের প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছি। ওদের কেউ নেই। তারা খুব অসহায়। এক ছেলে আছে সে ঢাকায় থাকে। আরেক ছেলে বাড়িতে থাকে। সে নিজেও চলতে পারে না। তারা খুব কষ্ট করে চলে। আমি প্রতিবন্ধী মেয়েটার জন্য সমাজসেবায় একটি বাড়ির জন্য আবেদন করেছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে থাকার জন্য একটি বাড়ির আকুতি মায়ের

আপডেট টাইম : ১১:২৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২১

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।।

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানিয়া মহেশাইল গ্রামের হতদরিদ্র মমেনা বেগম (৭৪)। স্বামী মারা গেছেন ২০ বছর আগে। বয়সের ভারে শারীরিক অক্ষমতার কারণে কোন কাজ করতে পারেন না। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় কোন রকমে চলে সংসার। এরই মাঝে মোমেনা বেগমের মেজ মেয়ে বিয়ের ১০ বছর পর মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। এজন্য তাকেও তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হয়েছে। মমেনা বেগমের সংসারে বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৯ জন। কিন্তু থাকার ঘর মাত্র ২ টি। দুটি ঘরের একটি বড় ছেলের, আরেকটি ছোট ছেলের। ছোট ছেলে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। সে কারণে ছোট ছেলের ঘরেই থাকেন মমেনা বেগম। কিন্তু ছোট ছেলে বাড়িতে আসলে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই মেয়েকে নিয়ে ঘরের বারান্দায় থাকতে হয় তাকেসরেজমিনে মমেনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে খড়ের ছাউনি দিয়ে ঘেরা একটি টিনের ঘর। এটি তার ছোট ছেলের ঘর। এ ঘরেই তিনি থাকেন।

হতদ্ররিদ্র মমেনা বেগম জানান, আমাদের কষ্ট বারে। খুবেই কষ্ট। বাড়ি নাই, ঘর নাই। বেটার ঘরত থাকি। বেটা বাড়িত আইলে বারান্দাত থাকি। বেটিটা পাগল। গায়ত কাপড় থয়না। মানুষে সাহায্য করি দেয়। তা দিয়ে খাই। সরকার যদি আমারে একটা ঘর দেয়, তাহলে আর কিছু চাই না। আমি বয়স্ক ভাতা, মেয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। এ দিয়ে সংসার চলে। মমেনা বেগমের একটাই চাওয়া, মরার আগে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটার তার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করা।

এ বিষয়ে ওই এলাকার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ঝর্না বেগম বলেন, মমেনা বেগমের মেয়ের প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছি। ওদের কেউ নেই। তারা খুব অসহায়। এক ছেলে আছে সে ঢাকায় থাকে। আরেক ছেলে বাড়িতে থাকে। সে নিজেও চলতে পারে না। তারা খুব কষ্ট করে চলে। আমি প্রতিবন্ধী মেয়েটার জন্য সমাজসেবায় একটি বাড়ির জন্য আবেদন করেছি।