ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগরে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ছাত্রদলের ঈদ উপহার বিতরণ জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: ড. ইউনূস ভারত মহাসাগরের যে ঘাঁটি থেকে ইরানকে টার্গেট করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অটোরিকশা শ্রমিকের মৃত্যু গাজীপুরে পিকআপ-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত -২ ফের যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে গাজায় ইংল্যান্ডে ঘাপটি মেরে আছে জার্মানির গুপ্তচর নিরাপদ সড়ক চাই ফুলবাড়ী শাখার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ায় এ আর মামুন খানের উদ্যোগে ছয় সাংবাদিক সংগঠনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

২০২১ সালে বাজারে আসছে পুরুষদের জন্মবিরতিকরণ পিল

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩৭৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

জন্মবিরতিকরণ পিল সাধারণত নারীদের সেবন উপযোগী। তবে এবার এ ধারণার পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে পুরুষদের জন্যও জন্মবিরতিকরণ পিল বাজারে আসবে। এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

যদিও পুরুষদের এই পিলের ধারণা নতুন নয়। ৬০ বছর আগেই ব্রিটেনে এর প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। গত ২৫ বছর যাবৎ বিজ্ঞানীরাও অবিরাম বলে চলেছেন, এটি প্রস্তুত। তবু এখনও শেষটা কেউ দেখে উঠতে পারেনি। নতুন করে আবারও আশায় বুক বাঁধা হচ্ছে ২০২১ এর জন্য।

সর্বশেষ গবেষণা অনুযায়ী, পুরুষরা তাদের জন্য প্রতিরোধমূলক পণ্যগুলো শিগগিরই গ্রহণ করতে সক্ষম হবে- জেল, পিল, মাসিক ইনজেকশান এমনকি প্রতিবর্তনযোগ্য বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার- সবকিছুই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে।

সাধারণ চোখে মনে হয়, পুরুষদের প্রজননতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ অপেক্ষাকৃত সহজ। নারীদের চাইতেও এখানে জটিলতা কম।

অথচ বিষয়টি পুরোই উল্টো। একজন পুরুষের জৈবিক উদ্দেশ্য হল তার জিনগুলোকে ছড়িয়ে দেয়া, বংশবিস্তার করা। সারাদিনজুড়ে একজন প্রজননে সক্ষম পুরুষ প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার শুক্রাণু উৎপাদন করে, জৈবিক ক্রিয়ার সময় নির্গত করেন ২৫০ মিলিয়ন শুক্রাণু-এই বিপুল পরিমাণ শুক্রাণুর কৃত্রিমভাবে নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করা কার্যকরভাবেই কঠিন। অন্যদিকে প্রাকৃতিকভাবে একজন নারী প্রতি মাসে মাত্র একটি অথবা দুটি ডিম্বাণু নিঃসরণ করেন।

১৯৫০ সালে বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম পুরুষদের জন্য পিল তৈরির চেষ্টা করেন। তারই অংশ হিসেবে মার্কিন কোম্পানী স্টার্লিং ড্রাগ একটি পরজীবি- বিরোধী চিকিৎসার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সময় এক অনাকাঙ্ক্ষিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পান; এটি পুরুষ ইঁদুরদের অস্থায়ীভাবে উৎপাদনে অক্ষম করে তোলে।

তারা কারাগারের পুরুষ বন্দীদের ওপরও যৌগটি প্রয়োগ করেন এবং দেখতে পান যে, তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু বন্দীরা যখন চোরাইপথে চালানকৃত হুইস্কি পান করে তখন তারা ভয়াবহ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার শিকার হন। তাদের প্রচন্ড বমি হয় এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় অনেকগুণ। ফলশ্রুতিতে স্টার্লিং সেবার তাদের সেই ঔষধের প্রয়োগ বন্ধ করে দেয়।

বর্তমানে পুরুষদের কাছে জন্ম নিয়ন্ত্রণের দুটি বিকল্প রয়েছে- কনডমের ব্যবহার এবং স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার- সেখানে সার্জন শুক্রাণু বহন করা টিউবটি কেটে ফেলেন বা বন্ধ করে দেন। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জোয়ার নয়া মোড় নিচ্ছে এখন। নতুন এক ধরণের গর্ভনিরোধক জেল এখন আবারও আশা দেখাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই জেলটি ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু দম্পতির মাঝে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।

জেলটি পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন এবং সেজেস্টেরোন এসিটেটের সংমিশ্রণ (যার বাণিজ্যিক নাম নেস্টোরন)। নেস্টোরন টেস্টিসে শুক্রাণুর উৎপাদন এমন প্রক্রিয়াতে কমিয়ে ফেলে যে তা পুরুষের লিবিডোকে (যৌনক্রিয়া) প্রভাবিত না করেই শুক্রাণুর উৎপাদন কার্যকরভাবে প্রতিহত করে।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অংশ হিসেবে, পুরুষেরা এই জেল তাদের কাঁধে এবং উপরের বাহুতে প্রতিদিন মাখবেন। হরমোন তাদের ত্বকের নিচে শোষিত হবে এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আস্তে আস্তে তা রক্তস্রোতে মিশে যেতে থাকবে। ব্রিটেনে এটি এডিনবরা ইউনিভার্সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট কর্তৃক পরীক্ষিত হচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২০২১ সালে বাজারে আসছে পুরুষদের জন্মবিরতিকরণ পিল

আপডেট টাইম : ০২:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

জন্মবিরতিকরণ পিল সাধারণত নারীদের সেবন উপযোগী। তবে এবার এ ধারণার পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে পুরুষদের জন্যও জন্মবিরতিকরণ পিল বাজারে আসবে। এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

যদিও পুরুষদের এই পিলের ধারণা নতুন নয়। ৬০ বছর আগেই ব্রিটেনে এর প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। গত ২৫ বছর যাবৎ বিজ্ঞানীরাও অবিরাম বলে চলেছেন, এটি প্রস্তুত। তবু এখনও শেষটা কেউ দেখে উঠতে পারেনি। নতুন করে আবারও আশায় বুক বাঁধা হচ্ছে ২০২১ এর জন্য।

সর্বশেষ গবেষণা অনুযায়ী, পুরুষরা তাদের জন্য প্রতিরোধমূলক পণ্যগুলো শিগগিরই গ্রহণ করতে সক্ষম হবে- জেল, পিল, মাসিক ইনজেকশান এমনকি প্রতিবর্তনযোগ্য বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার- সবকিছুই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে।

সাধারণ চোখে মনে হয়, পুরুষদের প্রজননতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ অপেক্ষাকৃত সহজ। নারীদের চাইতেও এখানে জটিলতা কম।

অথচ বিষয়টি পুরোই উল্টো। একজন পুরুষের জৈবিক উদ্দেশ্য হল তার জিনগুলোকে ছড়িয়ে দেয়া, বংশবিস্তার করা। সারাদিনজুড়ে একজন প্রজননে সক্ষম পুরুষ প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার শুক্রাণু উৎপাদন করে, জৈবিক ক্রিয়ার সময় নির্গত করেন ২৫০ মিলিয়ন শুক্রাণু-এই বিপুল পরিমাণ শুক্রাণুর কৃত্রিমভাবে নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করা কার্যকরভাবেই কঠিন। অন্যদিকে প্রাকৃতিকভাবে একজন নারী প্রতি মাসে মাত্র একটি অথবা দুটি ডিম্বাণু নিঃসরণ করেন।

১৯৫০ সালে বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম পুরুষদের জন্য পিল তৈরির চেষ্টা করেন। তারই অংশ হিসেবে মার্কিন কোম্পানী স্টার্লিং ড্রাগ একটি পরজীবি- বিরোধী চিকিৎসার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সময় এক অনাকাঙ্ক্ষিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পান; এটি পুরুষ ইঁদুরদের অস্থায়ীভাবে উৎপাদনে অক্ষম করে তোলে।

তারা কারাগারের পুরুষ বন্দীদের ওপরও যৌগটি প্রয়োগ করেন এবং দেখতে পান যে, তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু বন্দীরা যখন চোরাইপথে চালানকৃত হুইস্কি পান করে তখন তারা ভয়াবহ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার শিকার হন। তাদের প্রচন্ড বমি হয় এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় অনেকগুণ। ফলশ্রুতিতে স্টার্লিং সেবার তাদের সেই ঔষধের প্রয়োগ বন্ধ করে দেয়।

বর্তমানে পুরুষদের কাছে জন্ম নিয়ন্ত্রণের দুটি বিকল্প রয়েছে- কনডমের ব্যবহার এবং স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার- সেখানে সার্জন শুক্রাণু বহন করা টিউবটি কেটে ফেলেন বা বন্ধ করে দেন। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জোয়ার নয়া মোড় নিচ্ছে এখন। নতুন এক ধরণের গর্ভনিরোধক জেল এখন আবারও আশা দেখাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই জেলটি ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু দম্পতির মাঝে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।

জেলটি পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন এবং সেজেস্টেরোন এসিটেটের সংমিশ্রণ (যার বাণিজ্যিক নাম নেস্টোরন)। নেস্টোরন টেস্টিসে শুক্রাণুর উৎপাদন এমন প্রক্রিয়াতে কমিয়ে ফেলে যে তা পুরুষের লিবিডোকে (যৌনক্রিয়া) প্রভাবিত না করেই শুক্রাণুর উৎপাদন কার্যকরভাবে প্রতিহত করে।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অংশ হিসেবে, পুরুষেরা এই জেল তাদের কাঁধে এবং উপরের বাহুতে প্রতিদিন মাখবেন। হরমোন তাদের ত্বকের নিচে শোষিত হবে এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আস্তে আস্তে তা রক্তস্রোতে মিশে যেতে থাকবে। ব্রিটেনে এটি এডিনবরা ইউনিভার্সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট কর্তৃক পরীক্ষিত হচ্ছে।