ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

রাজশাহীতে গোরস্থানের জমি দলিলে ভিটা উল্লেখ করে রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:২৯:১৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ আগস্ট ২০২১
  • / ৩৯৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

রাজশাহী প্রতিনিধি।।

রাজশাহী পবা উপজেলায় আইন না মেনে এক প্রতিবন্ধীর গৌরস্থানের জমি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে সাব রেজিস্ট্রারসহ অফিস পিওন ও দলিল লেখক সভাপতির বিরুদ্ধে।

পবা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নওহাটা পৌরসভার ভূগরোইল ৭৩ মৌজার, আরএস ২৭১নং খতিয়ানের মালিক ফুলমন বেওয়া দিং নামে প্রচলিত আছে। তিনি মালিক দখলে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে মাতার ওয়ারিশ সূত্রে সালেহা বেওয়া ০.০৭৫০ জমির মালিক হলে তিনি তার তিন সন্তানের মাঝে সমান ভাগ করে দেন । ভূগরোইল সন্তোষপুর পশ্চিম পাড়ার সাড়ে সাত শতক জমি গৌরস্থান নামে আর এস রেকর্ড হয়। উক্তজমির মালিক মৃত্য হাফিজ উদ্দিনের ছেলে বাক্প্রতিবন্ধী মুক্তার আলী ও তার দুই বোন শেফালী বেগম ও লতিফা বেগম

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রেকর্ডের জমির মালিক মৃত্য ফুলমন বেওয়া তার মেয়ে সালেহা বেওয়া জানান আমার দুই মেয়ে এক ছেলে প্রতিবন্ধী সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাদেরকে সমান ভাবে জমি ভাগ করে দিয়েছি। আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলেকে ডেকে নিয়ে এই কাজ করেছে আমরা কিছুই জানিনা।

গত ১৫ ই জুলাই সারা দেশে যখন কঠোর লক ডাউন সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ থাকার কথা থাকলেও ২৫জুলাই দলিল লেখক সভাপতি আয়নালের চেম্বারে সেই দিনই করে দলিল রেজিস্ট্রারী। মুক্তার আলী পবা উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত বাক্প্রতিবন্ধী ও ভাতাপ্রাপ্ত। তাদের সাড়ে সাত শতক জমি রেজিস্ট্রারী করে নেন ভূগরইলএলাকার শুনিলের ছেলে জাহিদ ও হোসেনের ছেলে ইমন। এদের সহযোগীতাকারী দুর্নীতি দায়ের বহিষ্কার হওয়া পবা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার অফিসের নাইট গাড কবির, রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারী পিওন আমিনুল হক ও দলিল লেখক সভাপতি আয়নাল হক

কিছু দলিল লেখক বলেন
,জেলা রেজিস্ট্রারের নিদের্শনা অনুযায়ী গোদাগাড়ী উপজেলায় বদলী হলেও গেল ৮/৯ বছর ধরে অফিস করেন পবা উপজেলায় আমিনুল হক

তিনি রাজশাহী মহানগরীর ৭নং ওয়াডের চন্ডিপুর এলাকার বাসিন্দা আমিনুল হক। ২০১৩ সাল থেকে পবা উপজেলায় কর্মরত আছেন । সরকারী বিধি অনুযায়ী যে জেলার বাসিন্দা। সে জেলায় অন্তত সরকারী চাকরী করতে পারবেন না। কিন্তু সরকারী এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে

করোনা সংকটের মধ্যেও বহাল তবিয়তে তিনি পবা ও গোদাগাড়ী উপজেলার যোগদান করে নানা অনিয়ম দুর্নীতি সাথে জড়িয়ে পড়েন। অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা অনিয়ম করেন সু-কৌশলে। সেই সময় থেকে তার অর্থের প্রতি দারুন একটা লোভ ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি পবা উপজেলায় দলিলের কাজের প্রতি কমিশন বাণিজ্য চালু করেন।

তারা আরও বলেন গত ২০২০ সালের আমিনুল হকের দায়িত্বভার হস্তান্তর করে নতুন কর্মস্থল গোদাগাড়ী উপজেলা যোগদান করার কথা বলা হলেও তিনি পবা উপজেলায় বে-আইনিভাবে নিয়মিত অফিস করে চলেছেন। তার এ কর্মকান্ডের কথা পবা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ও দলিল লেখকরা অবগত আছেন।

তারা আরো বলেন, এখানেই থামেননি আমিনুল হক
ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়ম বর্হিভ’তভাবে তার মুল দায়িত্ব গোদাগাড়ী উপজেলায় থাকলেও সে দায়িত্বের প্রতি দায়িত্বশীল না হয়ে তিনি শুধু কমিশন বাণিজ্যে কোড়পতি হওয়ার বাসনায় পবা উপজেলায় অবস্থান করছেন। অনিয়ম দুর্নীতি করে গড়েছে বাড়িসহ বিঘা বিঘা জমি নামে বেনামে শত কোটি টাকার মালিক যেনো আংগুল ফুলে কলাগাছ

আমিনুল হক প্রতি আংগুলের টিপ সই থেকে জবরদস্তি করে নেন দুই শত থেকে পাঁচশত টাকা না দিলে দলিল রেজিস্ট্রি হবেনা। পবায় প্রতি মাসে দলিল হয় ৬০০/৮০০ যার পরিমাণ গরে দুই শত করে হলে প্রতি মাসে টাকার মান দারায় এক লাখ বিশ হাজার, বছরে দারায় ১৪ লাখ ৪০ হাজার এছাড়া ব্যাংকের মরগেজ বাবদ আয় প্রতি মাসে ৫০হাজার টাকা এছাড়াও বিকেল ৪টার পরে প্রতি দলিলে দিতে হয় দুই হাজার টাকা

এদিকে জমির ক্রেতা জাহিদ বলেন, আমি গৌরস্থানের জমি ৩৪ত্রিশ লক্ষ টাকা দিয়ে দলিলে ভিটা উল্লেখ করে নিয়ম অনুযায়ী বৈধ ভাবেই জমি ক্রয় করেছি । তবে মুক্তার টাকা পাইনি বলে চলে যায় জাহিদ ও তার সহযোগীরা

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পবা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একজন স্টাফ বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কাজ করছি। জায়গা রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রতারণা আমি দেখিনি। প্রতিবন্ধীর জায়গা রেজিস্ট্রির জন্য অবশ্যই আদালতের অনুমতি লাগে।”

এছাড়া রাজশাহী জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো. লায়েব উদ্দিন লাবলু বলেন, ‘প্রতিবন্ধীর জায়গা রেজিস্ট্রি করার সময় আদালত থেকে অনুমতিপত্র লাগে। এছাড়া দলিলে দাতার নামের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী কথাটি উল্লেখ করতে হয়। প্রতিবন্ধী বিষয়টি উল্লেখ না করলে জায়গা রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।’

এবিষয়ে মুঠোফোনে দলিল লেখক সভাপতি আয়নাল হক সনদ নং ০১ তিনি বলেন, ‘মুক্তার আলী প্রতিবন্ধী আমি জানিনা। তবে তাকে দেখে আমার সুস্হ মানুষ মনে হয়েছে ।
এছাড়া দলিলে প্রতিবন্ধী বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। আর জমির মূল্য আট লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে।

তিনি আর-ও বলেন যে দেশে টাকা দিলে ডাক্তাররা প্রতিবন্ধীকে সুস্থ মানুষ ও অসুস্হ মানুষকে সুৃস্হ দেখায়। আমি সাব রেজিস্ট্রার স্যারকে সু্স্হ মানুষের কথা বলেই রেজিস্ট্রি করিয়েছি। এটা কোনো প্রতারণা নয়। কিছু শত্রু দলিল লেখক আছেন তাঁরা আমাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছেন।’আপনি আমার সাক্ষাতে আসুন কথা হবে, বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

আরও জানতে চাইলে পবা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার রওশন আরা বলেন, ‘প্রতিবন্ধীর জায়গা রেজিস্ট্রি করা যায়।মুক্তার আলীকে আমি যা যা জিজ্ঞাসা করেছি ইশারায় ও আকার ইঙ্গিতে সব কিছু জবাব দিয়েছেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতে জায়গা রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। অনৈতিক প্রক্রিয়ায় জায়গা রেজিস্ট্রি করার প্রশ্নই আসে না। তিনি প্রতিবেদকে বারবার বলেন যে সংবাদ প্রকাশ করার প্রোয়জন নেই আপনি সাক্ষাতে আসুন কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।

এবিষয়ে অফিস পিওন আমিনুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহীতে গোরস্থানের জমি দলিলে ভিটা উল্লেখ করে রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১২:২৯:১৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ আগস্ট ২০২১

রাজশাহী প্রতিনিধি।।

রাজশাহী পবা উপজেলায় আইন না মেনে এক প্রতিবন্ধীর গৌরস্থানের জমি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে সাব রেজিস্ট্রারসহ অফিস পিওন ও দলিল লেখক সভাপতির বিরুদ্ধে।

পবা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নওহাটা পৌরসভার ভূগরোইল ৭৩ মৌজার, আরএস ২৭১নং খতিয়ানের মালিক ফুলমন বেওয়া দিং নামে প্রচলিত আছে। তিনি মালিক দখলে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে মাতার ওয়ারিশ সূত্রে সালেহা বেওয়া ০.০৭৫০ জমির মালিক হলে তিনি তার তিন সন্তানের মাঝে সমান ভাগ করে দেন । ভূগরোইল সন্তোষপুর পশ্চিম পাড়ার সাড়ে সাত শতক জমি গৌরস্থান নামে আর এস রেকর্ড হয়। উক্তজমির মালিক মৃত্য হাফিজ উদ্দিনের ছেলে বাক্প্রতিবন্ধী মুক্তার আলী ও তার দুই বোন শেফালী বেগম ও লতিফা বেগম

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রেকর্ডের জমির মালিক মৃত্য ফুলমন বেওয়া তার মেয়ে সালেহা বেওয়া জানান আমার দুই মেয়ে এক ছেলে প্রতিবন্ধী সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাদেরকে সমান ভাবে জমি ভাগ করে দিয়েছি। আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলেকে ডেকে নিয়ে এই কাজ করেছে আমরা কিছুই জানিনা।

গত ১৫ ই জুলাই সারা দেশে যখন কঠোর লক ডাউন সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ থাকার কথা থাকলেও ২৫জুলাই দলিল লেখক সভাপতি আয়নালের চেম্বারে সেই দিনই করে দলিল রেজিস্ট্রারী। মুক্তার আলী পবা উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত বাক্প্রতিবন্ধী ও ভাতাপ্রাপ্ত। তাদের সাড়ে সাত শতক জমি রেজিস্ট্রারী করে নেন ভূগরইলএলাকার শুনিলের ছেলে জাহিদ ও হোসেনের ছেলে ইমন। এদের সহযোগীতাকারী দুর্নীতি দায়ের বহিষ্কার হওয়া পবা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার অফিসের নাইট গাড কবির, রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারী পিওন আমিনুল হক ও দলিল লেখক সভাপতি আয়নাল হক

কিছু দলিল লেখক বলেন
,জেলা রেজিস্ট্রারের নিদের্শনা অনুযায়ী গোদাগাড়ী উপজেলায় বদলী হলেও গেল ৮/৯ বছর ধরে অফিস করেন পবা উপজেলায় আমিনুল হক

তিনি রাজশাহী মহানগরীর ৭নং ওয়াডের চন্ডিপুর এলাকার বাসিন্দা আমিনুল হক। ২০১৩ সাল থেকে পবা উপজেলায় কর্মরত আছেন । সরকারী বিধি অনুযায়ী যে জেলার বাসিন্দা। সে জেলায় অন্তত সরকারী চাকরী করতে পারবেন না। কিন্তু সরকারী এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে

করোনা সংকটের মধ্যেও বহাল তবিয়তে তিনি পবা ও গোদাগাড়ী উপজেলার যোগদান করে নানা অনিয়ম দুর্নীতি সাথে জড়িয়ে পড়েন। অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা অনিয়ম করেন সু-কৌশলে। সেই সময় থেকে তার অর্থের প্রতি দারুন একটা লোভ ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি পবা উপজেলায় দলিলের কাজের প্রতি কমিশন বাণিজ্য চালু করেন।

তারা আরও বলেন গত ২০২০ সালের আমিনুল হকের দায়িত্বভার হস্তান্তর করে নতুন কর্মস্থল গোদাগাড়ী উপজেলা যোগদান করার কথা বলা হলেও তিনি পবা উপজেলায় বে-আইনিভাবে নিয়মিত অফিস করে চলেছেন। তার এ কর্মকান্ডের কথা পবা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ও দলিল লেখকরা অবগত আছেন।

তারা আরো বলেন, এখানেই থামেননি আমিনুল হক
ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়ম বর্হিভ’তভাবে তার মুল দায়িত্ব গোদাগাড়ী উপজেলায় থাকলেও সে দায়িত্বের প্রতি দায়িত্বশীল না হয়ে তিনি শুধু কমিশন বাণিজ্যে কোড়পতি হওয়ার বাসনায় পবা উপজেলায় অবস্থান করছেন। অনিয়ম দুর্নীতি করে গড়েছে বাড়িসহ বিঘা বিঘা জমি নামে বেনামে শত কোটি টাকার মালিক যেনো আংগুল ফুলে কলাগাছ

আমিনুল হক প্রতি আংগুলের টিপ সই থেকে জবরদস্তি করে নেন দুই শত থেকে পাঁচশত টাকা না দিলে দলিল রেজিস্ট্রি হবেনা। পবায় প্রতি মাসে দলিল হয় ৬০০/৮০০ যার পরিমাণ গরে দুই শত করে হলে প্রতি মাসে টাকার মান দারায় এক লাখ বিশ হাজার, বছরে দারায় ১৪ লাখ ৪০ হাজার এছাড়া ব্যাংকের মরগেজ বাবদ আয় প্রতি মাসে ৫০হাজার টাকা এছাড়াও বিকেল ৪টার পরে প্রতি দলিলে দিতে হয় দুই হাজার টাকা

এদিকে জমির ক্রেতা জাহিদ বলেন, আমি গৌরস্থানের জমি ৩৪ত্রিশ লক্ষ টাকা দিয়ে দলিলে ভিটা উল্লেখ করে নিয়ম অনুযায়ী বৈধ ভাবেই জমি ক্রয় করেছি । তবে মুক্তার টাকা পাইনি বলে চলে যায় জাহিদ ও তার সহযোগীরা

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পবা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একজন স্টাফ বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কাজ করছি। জায়গা রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রতারণা আমি দেখিনি। প্রতিবন্ধীর জায়গা রেজিস্ট্রির জন্য অবশ্যই আদালতের অনুমতি লাগে।”

এছাড়া রাজশাহী জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো. লায়েব উদ্দিন লাবলু বলেন, ‘প্রতিবন্ধীর জায়গা রেজিস্ট্রি করার সময় আদালত থেকে অনুমতিপত্র লাগে। এছাড়া দলিলে দাতার নামের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী কথাটি উল্লেখ করতে হয়। প্রতিবন্ধী বিষয়টি উল্লেখ না করলে জায়গা রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।’

এবিষয়ে মুঠোফোনে দলিল লেখক সভাপতি আয়নাল হক সনদ নং ০১ তিনি বলেন, ‘মুক্তার আলী প্রতিবন্ধী আমি জানিনা। তবে তাকে দেখে আমার সুস্হ মানুষ মনে হয়েছে ।
এছাড়া দলিলে প্রতিবন্ধী বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। আর জমির মূল্য আট লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে।

তিনি আর-ও বলেন যে দেশে টাকা দিলে ডাক্তাররা প্রতিবন্ধীকে সুস্থ মানুষ ও অসুস্হ মানুষকে সুৃস্হ দেখায়। আমি সাব রেজিস্ট্রার স্যারকে সু্স্হ মানুষের কথা বলেই রেজিস্ট্রি করিয়েছি। এটা কোনো প্রতারণা নয়। কিছু শত্রু দলিল লেখক আছেন তাঁরা আমাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছেন।’আপনি আমার সাক্ষাতে আসুন কথা হবে, বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

আরও জানতে চাইলে পবা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার রওশন আরা বলেন, ‘প্রতিবন্ধীর জায়গা রেজিস্ট্রি করা যায়।মুক্তার আলীকে আমি যা যা জিজ্ঞাসা করেছি ইশারায় ও আকার ইঙ্গিতে সব কিছু জবাব দিয়েছেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতে জায়গা রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। অনৈতিক প্রক্রিয়ায় জায়গা রেজিস্ট্রি করার প্রশ্নই আসে না। তিনি প্রতিবেদকে বারবার বলেন যে সংবাদ প্রকাশ করার প্রোয়জন নেই আপনি সাক্ষাতে আসুন কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।

এবিষয়ে অফিস পিওন আমিনুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।