নিয়েছেন নাঈম-সাইফরা। ছবি: বিসিবি
শ্রীলংকা থেকে সদ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে এসেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানও তাদের সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছ বাংলাদেশের বিপক্ষে। বর্ষা মৌসুমে ২০১৫ ও ২০২৩ সালের পর এই প্রথম দেশের মাটিতে সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ।
আজ মিরপুরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। পাকিস্তান টি-টোয়েন্টিতে আগ্রাসী ক্রিকেটের সূচনা করেছে। সেটা ধরে রাখতে চায় এই সিরিজেও। অন্যদিকে আগ্রাসী ক্রিকেটে এখনো নিজেদের চেনাতে পারেননি লিটন দাসরা।
তবে উইকেট বুঝে খেলা ও সুযোগ কাজে লাগিয়ে জয়ের ধারায় থাকতে চায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নিজেদের লক্ষ্যে নিয়ে কাল অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘যে কোনো দলকে হারানোর মানসিকতা আমাদের আছে। নির্দিষ্ট দিনে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ঘরের মাঠ বলেই যে আমরা ভালো খেলব এমনটা নয়। পাকিস্তান ভালো দল। তাদের বেশির ভাগ ক্রিকেটার বিপিএলে খেলে। তারাও কন্ডিশন সম্পর্কে জানে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একই লক্ষ্য থাকবে সিরিজ জেতার। শ্রীলংকায় যা হয়েছে, সেটা এখন অতীত। এখন নতুন চ্যালেঞ্জ। আমরা প্রস্তুত এই চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার জন্য।’
এশিয়া কাপের আগে এটাই সম্ভবত বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের পরিকল্পনা নিয়ে লিটন বলেন, ‘শ্রীলংকায় পাওয়া আত্মবিশ্বাস মিরপুরেও ধরে রাখার চেষ্টা করব। এরপর আমাদের হাতে সময় থাকবে। আবার ক্যাম্প করব, পরবর্তী সিরিজ খেলব। আলাদা পরিকল্পনা থাকবে। আমাদের সামনে বিশ্বকাপ। তার আগে এশিয়া কাপ। চেষ্টা করব আগের ধাপগুলো পার হতে।’
আপাতত ভবিষ্যতের কথা না ভেবে বর্তমানেই থাকতে চান লিটন, ‘আমি বর্তমানেই আছি। আপনারা নেই। আমাকে বর্তমান নিয়ে প্রশ্ন করলে, বর্তমান নিয়েই উত্তর দেব। পুরো দলও বর্তমানে আছে।’
বর্তমান কন্ডিশনে মিরপুরে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট বানানো কঠিন। এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মন্থর উইকেট বানিয়ে সমালোচনায় পড়েছিল বাংলাদেশ। লিটন বলেন, ‘এই আবহাওয়ায় ভালো উইকেট বানানো কঠিন। তবে বাংলাদেশের জন্য যে উইকেট, পাকিস্তানের জন্যও একই উইকেট থাকবে। এখানে বাড়তি সুবিধা বলে কিছু নেই।
প্রিন্ট