পরীমনি-পিয়াসাদের অপকর্মে জড়িত অনেকের নাম সিআইডির হাতে, সত্যতা পেলেই আটক
- আপডেট টাইম : ১১:৩৭:২৫ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৮ আগস্ট ২০২১
- / ২১৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও রহস্যময়ী নায়িকা পরীমনি, কথিত মডেল পিয়াসা, মৌ, প্রযোজক রাজ, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও মিশুর ব্ল্যাকমেইলিং, অপরাধ ও অনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম জেনেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক।এর আগে শনিবার আসামি প্রত্যেকের বাসায় একযোগে তল্লাশি অভিযান চালায় সিআইডি।প্রত্যেকের বাসা থেকে অনেক আলামতও জব্দ করা হয়েছে।
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য সম্প্রতি আওয়ামী মহিলা লীগের উপ-কমিটি থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর গ্রেফতার ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর, চিত্রনায়িকা পরীমনি, কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা, মরিয়ম আক্তার মৌ, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং শরিফুল হাসান মিশুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তদন্ত করছে সিআইডি।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক বলেন, আমরা গতকাল (শনিবার) একসঙ্গে ছয়জন মূল আসামির বাসায় তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেছি। কিছু আলামত ও ডিভাইস উদ্ধার করেছি। ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, পাসপোর্ট, মোবাইল, হার্ডডিস্ক ও ফেরারি গাড়ি জব্দ করেছি। তদন্তের অংশ হিসেবে এই তল্লাশি অভিযান।
সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, আমরা পরীমনি, পিয়াসা, মৌ, রাজসহ প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাদের জব্দ করা আলামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।তদন্তের এই পর্যায়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, তাদের (আসামি) প্রতারণা, অনৈতিক কার্যক্রম ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নানা পেশার অনেক নাম আমরা জেনেছি।আমরা এসব যাচাই-বাছাই করছি। যাদের নাম এসেছে তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিআইডির হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে থাকা ছয় আসামির বিরুদ্ধেই মাদক রাখা ও পার্টির নামে জিম্মি এবং ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ভিকটিম পাওয়া গেছে কি না- জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো ভিকটিম অভিযোগ করেননি। তবে আমরা বেশ কিছু ভিকটিমের নাম জেনেছি। আমরা পরীমনি ও পিয়াসাদের দ্বারা ব্ল্যাকমেইলের সত্যতা পেয়েছি। পরীমনি-পিয়াসাদের জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম এসেছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। কোনো ইনোসেন্ট লোক যাতে ক্ষতি বা মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হন সেটিও আমরা বিবেচনায় রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, পুরোপুরি সত্যতা ছাড়া আমরা কারো নাম ডিসক্লোজ (প্রকাশ) করছি না। যদিও কিছু পত্রিকায় সিআইডির বরাতে নাম এসেছে। তবে এসব তথ্য সিআইডি দেয়নি।আমরা সত্যিকারের ভিকটিমদের খুঁজছি। আমরা তাদের বক্তব্য শুনব।পুরোপুরি সত্যতার ভিত্তিতে জড়িতদের আমরা আটক করব এবং জিজ্ঞাসাবাদ করব।
সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, আমরা পরীমনি, পিয়াসা, মৌ, রাজসহ প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাদের জব্দ করা আলামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।তদন্তের এই পর্যায়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, তাদের (আসামি) প্রতারণা, অনৈতিক কার্যক্রম ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নানা পেশার অনেক নাম আমরা জেনেছি।আমরা এসব যাচাই-বাছাই করছি। যাদের নাম এসেছে তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিআইডির হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে থাকা ছয় আসামির বিরুদ্ধেই মাদক রাখা ও পার্টির নামে জিম্মি এবং ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ভিকটিম পাওয়া গেছে কি না- জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো ভিকটিম অভিযোগ করেননি। তবে আমরা বেশ কিছু ভিকটিমের নাম জেনেছি। আমরা পরীমনি ও পিয়াসাদের দ্বারা ব্ল্যাকমেইলের সত্যতা পেয়েছি। পরীমনি-পিয়াসাদের জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম এসেছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। কোনো ইনোসেন্ট লোক যাতে ক্ষতি বা মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হন সেটিও আমরা বিবেচনায় রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, পুরোপুরি সত্যতা ছাড়া আমরা কারো নাম ডিসক্লোজ (প্রকাশ) করছি না। যদিও কিছু পত্রিকায় সিআইডির বরাতে নাম এসেছে। তবে এসব তথ্য সিআইডি দেয়নি।আমরা সত্যিকারের ভিকটিমদের খুঁজছি। আমরা তাদের বক্তব্য শুনব।পুরোপুরি সত্যতার ভিত্তিতে জড়িতদের আমরা আটক করব এবং জিজ্ঞাসাবাদ করব।