ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিক দিবস জামালপুরে আমের ফলন কমার আশংকা আজমিরীগঞ্জে জনৈক এক নারীকে ইভটিজিং, মোবাইল কোর্টের জেল ও জরিমানা ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

সুন্দরগঞ্জে হাবিজার বাহিনীর লাঠির আঘাতে ৪জন গুরুতর আহত

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পরাণ গ্রামে হাবিজার বাহিনীর বেদম মারপিটে ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে।
উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পশ্চিম পরাণ গ্রামের মৃত খোদাই বকসের ছেলে শাহজামাল মিয়ার সাথে একই গ্রামের মৃত করিম বকসের ছেলে ভূমি দস্যু হাবিজার বাহিনীর দীর্ঘদিন থেকে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই এক পর্যায় বুধবার সকালে শাহজামালের দখলে থাকা জমিতে হাবিজার তার বাহিনীকে নিয়ে জোর করে ধান লাগায়। বিষয়টি শাহজামাল বৃহস্পতিবার সকালে থানা পুলিশকে জানান। ওইদিন বিকেলে পরিকল্পিত ভাবে হাবিজার বাহিনী শাহজামালের অন্য দাগের ১২ বিঘা জমিতে ধান লাগাতে যায়। এসময় শাহজামাল তার এক ছেলে ও দুইজন ছোট ভাইকে নিয়ে বাধা দিতে গেলে হাবিজার বাহিনী লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে শাহজামালসহ তার লোকজন সবাই গুরুতর আহত হয়। মারামারির চেচামেচি শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তন্মধ্যে শাহজামালের ছোট মেঝো ভাই শাহ আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে হাবিজার বাহিনীরও ৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী নুরুন্নবী মিয়া বলেন, হাবিজার দেওয়ানী কথায় কথায় তার লোকজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা জমি পাওয়ার নাম করে শাহজামাল ও তার লোকজনকে মারধর করে আসছে। উল্লেখ্য-গত বছরও একই সময় হাবিজার বাহিনী শাহজামালের ছোট ভাই আতিয়ার রহমানকে মেরে গুরুতর আহত করে পঙ্গু করে দেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে থানা ও কোর্টে কমপক্ষে ২ ডজন মামলা রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা ছামিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি প্রাণ-পণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের সদিচ্ছার অভাবে সমাধান করতে পারিনি।
এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এব্যাপারে ওসি আব্দুল্লাহেল জামান বলেন, মামলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিক দিবস

সুন্দরগঞ্জে হাবিজার বাহিনীর লাঠির আঘাতে ৪জন গুরুতর আহত

আপডেট টাইম : ০৫:৫০:৩৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ আগস্ট ২০২১

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পরাণ গ্রামে হাবিজার বাহিনীর বেদম মারপিটে ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে।
উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পশ্চিম পরাণ গ্রামের মৃত খোদাই বকসের ছেলে শাহজামাল মিয়ার সাথে একই গ্রামের মৃত করিম বকসের ছেলে ভূমি দস্যু হাবিজার বাহিনীর দীর্ঘদিন থেকে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই এক পর্যায় বুধবার সকালে শাহজামালের দখলে থাকা জমিতে হাবিজার তার বাহিনীকে নিয়ে জোর করে ধান লাগায়। বিষয়টি শাহজামাল বৃহস্পতিবার সকালে থানা পুলিশকে জানান। ওইদিন বিকেলে পরিকল্পিত ভাবে হাবিজার বাহিনী শাহজামালের অন্য দাগের ১২ বিঘা জমিতে ধান লাগাতে যায়। এসময় শাহজামাল তার এক ছেলে ও দুইজন ছোট ভাইকে নিয়ে বাধা দিতে গেলে হাবিজার বাহিনী লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে শাহজামালসহ তার লোকজন সবাই গুরুতর আহত হয়। মারামারির চেচামেচি শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তন্মধ্যে শাহজামালের ছোট মেঝো ভাই শাহ আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে হাবিজার বাহিনীরও ৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী নুরুন্নবী মিয়া বলেন, হাবিজার দেওয়ানী কথায় কথায় তার লোকজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা জমি পাওয়ার নাম করে শাহজামাল ও তার লোকজনকে মারধর করে আসছে। উল্লেখ্য-গত বছরও একই সময় হাবিজার বাহিনী শাহজামালের ছোট ভাই আতিয়ার রহমানকে মেরে গুরুতর আহত করে পঙ্গু করে দেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে থানা ও কোর্টে কমপক্ষে ২ ডজন মামলা রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা ছামিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি প্রাণ-পণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের সদিচ্ছার অভাবে সমাধান করতে পারিনি।
এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এব্যাপারে ওসি আব্দুল্লাহেল জামান বলেন, মামলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।