ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

সুন্দরগঞ্জে হাবিজার বাহিনীর লাঠির আঘাতে ৪জন গুরুতর আহত

  • আপডেট টাইম : ০৫:৫০:৩৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ আগস্ট ২০২১
  • / ২৩৬ ৫০০.০০০ বার পাঠক

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পরাণ গ্রামে হাবিজার বাহিনীর বেদম মারপিটে ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে।
উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পশ্চিম পরাণ গ্রামের মৃত খোদাই বকসের ছেলে শাহজামাল মিয়ার সাথে একই গ্রামের মৃত করিম বকসের ছেলে ভূমি দস্যু হাবিজার বাহিনীর দীর্ঘদিন থেকে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই এক পর্যায় বুধবার সকালে শাহজামালের দখলে থাকা জমিতে হাবিজার তার বাহিনীকে নিয়ে জোর করে ধান লাগায়। বিষয়টি শাহজামাল বৃহস্পতিবার সকালে থানা পুলিশকে জানান। ওইদিন বিকেলে পরিকল্পিত ভাবে হাবিজার বাহিনী শাহজামালের অন্য দাগের ১২ বিঘা জমিতে ধান লাগাতে যায়। এসময় শাহজামাল তার এক ছেলে ও দুইজন ছোট ভাইকে নিয়ে বাধা দিতে গেলে হাবিজার বাহিনী লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে শাহজামালসহ তার লোকজন সবাই গুরুতর আহত হয়। মারামারির চেচামেচি শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তন্মধ্যে শাহজামালের ছোট মেঝো ভাই শাহ আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে হাবিজার বাহিনীরও ৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী নুরুন্নবী মিয়া বলেন, হাবিজার দেওয়ানী কথায় কথায় তার লোকজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা জমি পাওয়ার নাম করে শাহজামাল ও তার লোকজনকে মারধর করে আসছে। উল্লেখ্য-গত বছরও একই সময় হাবিজার বাহিনী শাহজামালের ছোট ভাই আতিয়ার রহমানকে মেরে গুরুতর আহত করে পঙ্গু করে দেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে থানা ও কোর্টে কমপক্ষে ২ ডজন মামলা রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা ছামিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি প্রাণ-পণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের সদিচ্ছার অভাবে সমাধান করতে পারিনি।
এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এব্যাপারে ওসি আব্দুল্লাহেল জামান বলেন, মামলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সুন্দরগঞ্জে হাবিজার বাহিনীর লাঠির আঘাতে ৪জন গুরুতর আহত

আপডেট টাইম : ০৫:৫০:৩৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ আগস্ট ২০২১

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পরাণ গ্রামে হাবিজার বাহিনীর বেদম মারপিটে ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে।
উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পশ্চিম পরাণ গ্রামের মৃত খোদাই বকসের ছেলে শাহজামাল মিয়ার সাথে একই গ্রামের মৃত করিম বকসের ছেলে ভূমি দস্যু হাবিজার বাহিনীর দীর্ঘদিন থেকে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই এক পর্যায় বুধবার সকালে শাহজামালের দখলে থাকা জমিতে হাবিজার তার বাহিনীকে নিয়ে জোর করে ধান লাগায়। বিষয়টি শাহজামাল বৃহস্পতিবার সকালে থানা পুলিশকে জানান। ওইদিন বিকেলে পরিকল্পিত ভাবে হাবিজার বাহিনী শাহজামালের অন্য দাগের ১২ বিঘা জমিতে ধান লাগাতে যায়। এসময় শাহজামাল তার এক ছেলে ও দুইজন ছোট ভাইকে নিয়ে বাধা দিতে গেলে হাবিজার বাহিনী লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে শাহজামালসহ তার লোকজন সবাই গুরুতর আহত হয়। মারামারির চেচামেচি শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তন্মধ্যে শাহজামালের ছোট মেঝো ভাই শাহ আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে হাবিজার বাহিনীরও ৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী নুরুন্নবী মিয়া বলেন, হাবিজার দেওয়ানী কথায় কথায় তার লোকজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা জমি পাওয়ার নাম করে শাহজামাল ও তার লোকজনকে মারধর করে আসছে। উল্লেখ্য-গত বছরও একই সময় হাবিজার বাহিনী শাহজামালের ছোট ভাই আতিয়ার রহমানকে মেরে গুরুতর আহত করে পঙ্গু করে দেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে থানা ও কোর্টে কমপক্ষে ২ ডজন মামলা রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা ছামিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি প্রাণ-পণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের সদিচ্ছার অভাবে সমাধান করতে পারিনি।
এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এব্যাপারে ওসি আব্দুল্লাহেল জামান বলেন, মামলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।