নির্মাণাধীন ভবনে জমাট যত্রতত্র পড়ে থাকা পানি ততক্ষনিক না’ সরালে আইনের আওতায় আনা হবে
- আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট ২০২১
- / ২৬৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ শহিদুল ইসলাম ( শহিদ)
বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।।
চট্টগ্রামঃ প্রায়ই দেখা যায় নির্মাণাধীন ভবনে জমাট পানি যত্রতত্র পড়ে থাকে এবং সেখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তাই নির্মাণাধীন ভবনের মালিকরা জমাট পানি না সরালে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বুধবার (৪ আগস্ট) শুলকবহর ওয়ার্ডের বিপ্লব উদ্যান থেকে এ বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন অনুষ্টানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম একথা বলেন।
এসময় মেয়র আরো বলেন, মশক নিধন চসিকের প্রধান সেবামূলক কার্যক্রমের একটি। এতদিন যে পদ্ধতি ও ওষুধ ছিটিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিলো তাতে নানা ধরণের ক্রটি ও অসঙ্গতি ছিলো। ব্যবহৃত ওষধও অকার্যকর ছিল। এ প্রেক্ষিতে চবি কীটতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা প্রতিবেদনের সুপারিশ ও পরামর্শ অনুযায়ী আজ থেকে নগরীতে মশক নিধনে মাসব্যাপী বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হলো। মশা প্রজননের উৎস হলো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। এসব বারবার পরিষ্কার করার পরও আবার আবর্জনার ভাগাড় তৈরি হয়। নালা-নর্দমায় আবর্জনা ফেলা হয়। এসবের জন্য দায়ী অসচেতন নগরবাসী। তাদের এ দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য। তিনি ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরবাসীকে আরো বেশি সতর্ক হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, জমাট পরিষ্কার পানিতে ডেঙ্গুর লার্ভা ছড়ায়। তাই নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় যেখানে জমাট পানি আছে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, মশক নিধনে নগরীতে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। মাসব্যাপী চলবে এ প্রোগ্রাম। গতানুগতিক পদ্ধতির পরিবর্তে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা প্রতিবেদন ও প্রদত্ত সুপারিশ মোতাবেক শুরু করা হয়েছে এবারের ক্রাশ প্রোগ্রাম। এর আওতায় প্রতিদিন ৪টি করে ওয়ার্ডে কাজ করা হবে। পরদিন অন্য ৪টি ওয়ার্ডে কাজ চলবে। এভাবে ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ দিন করে মোট ৩ দফায় মাসব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে। মশক নিধনে কার্যকর ওষধ ছিটানো হবে এ প্রোগ্রামে। করা হবে আবর্জনা পরিস্কার। এ প্রোগ্রাম শেষে নগরীতে ডেঙ্গুসহ প্রাণঘাতি রোগ বিস্তারকারী মশা ধ্বসং হবে বলে চসিক আশা করছে।
চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভপতি মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, শৈবাল দাশ সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. এসরারুল হক, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুম, কাজী নুরুল আমিন, সংক্ষিত কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু প্রমূখ।