ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেলো ৫ শতাধিক রোগী ফুলবাড়িতে সাদ পন্থীদের কার্যক্রম বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ মোটরসাইকেল জব্দ ও  জরিমানা টঙ্গীতে আলোচিত ফরিদ হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার কুকুরের মরদেহই প্রমাণ করে সচিবালয়ের আগুন একটি ষড়যন্ত্র/ খুনি হাসিনার পোষ্য আমলারা আজো সচিবালয়ে বসে কাজ করছে।।ঠাকুরগাঁওয়ে সারজিস আলম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় সতর্ক আছে সেনাবাহিনী আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে: উপদেষ্টা আসিফ বাংলাদেশের চেহারা বদলাতে হলে শ্রমিকদের অধিকার নিচ্ছিত করতে হবে।: লক্ষ্মীপুরে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের নথি চাওয়ার পর সচিবালয়ে আগুন ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে খুলে দেওয়া হয়েছে সচিবালয়ের একটি গেট

মাদারীপুরে ব্যস্ত সময় পার করছে পাট চাষীরা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:২৫:৫২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৪ আগস্ট ২০২১
  • / ২৯৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি, মাদারীপুর

পাটকে বলা হয় সোনালী আঁশ। পাট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। তাই পাটের এই মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করছে মাদারীপুরের পাট চাষিরা। বর্তমানে পুরো জেলা জুড়ে চলছে পাট কাটা, জাগ দেয়া, আশ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানোর কাজ। অন্যান্য বছরের মতো এবারো উৎপাদন ভাল হওয়ায় খুশি কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর। আবাদ  হয়েছে ৩৫ হাজার ১৩০ হেক্টর। যার ফলে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১০ থেকে ১১ বেল পাট উৎপাদিত হয়েছে। জেলার সদর, কালকিনি, রাজৈর ও শিবচরের প্রায় ৬৭ শতাংশ পাট ইতোমধ্যে কর্তন করা হয়েছে। রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের পাটচাষি মনির হোসেন বলেন, আমাদের পাট কাটা প্রায় শেষের দিকে। অত্র এলাকায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। যদি আমরা পাটের ন্যায্য  দাম পাই তাহলে আমরা লাভবান হতে পারব। অপরদিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাষী জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন,  এবছর পাট আবাদের সময় খড়া থাকায় বারবার সেচ দিতে হয়েছে। যে কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। পাটের বাজার দাম যদি ভাল থাকে তাহলে আমরা আর্থিকভাবে উপকৃত হব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদারীপুর জেলায় পাট আবাদ কালীন সময়ে অবিরত খড়া থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। তবে পাট মৌসুমে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে পাটের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবছর পাটের মূল্য মোটামুটি ভালো। বর্তমানে নিম্নমানের পাট ২৫০০ টাকা ও ভালো মানের পাট ৩০০০ টাকা। আশা করা যায় এর ফলে পাট চাষীরা লাভবান হবে এবং ভবিষ্যতে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাদারীপুরে ব্যস্ত সময় পার করছে পাট চাষীরা

আপডেট টাইম : ১০:২৫:৫২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৪ আগস্ট ২০২১

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি, মাদারীপুর

পাটকে বলা হয় সোনালী আঁশ। পাট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। তাই পাটের এই মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করছে মাদারীপুরের পাট চাষিরা। বর্তমানে পুরো জেলা জুড়ে চলছে পাট কাটা, জাগ দেয়া, আশ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানোর কাজ। অন্যান্য বছরের মতো এবারো উৎপাদন ভাল হওয়ায় খুশি কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর। আবাদ  হয়েছে ৩৫ হাজার ১৩০ হেক্টর। যার ফলে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১০ থেকে ১১ বেল পাট উৎপাদিত হয়েছে। জেলার সদর, কালকিনি, রাজৈর ও শিবচরের প্রায় ৬৭ শতাংশ পাট ইতোমধ্যে কর্তন করা হয়েছে। রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের পাটচাষি মনির হোসেন বলেন, আমাদের পাট কাটা প্রায় শেষের দিকে। অত্র এলাকায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। যদি আমরা পাটের ন্যায্য  দাম পাই তাহলে আমরা লাভবান হতে পারব। অপরদিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাষী জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন,  এবছর পাট আবাদের সময় খড়া থাকায় বারবার সেচ দিতে হয়েছে। যে কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। পাটের বাজার দাম যদি ভাল থাকে তাহলে আমরা আর্থিকভাবে উপকৃত হব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদারীপুর জেলায় পাট আবাদ কালীন সময়ে অবিরত খড়া থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। তবে পাট মৌসুমে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে পাটের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবছর পাটের মূল্য মোটামুটি ভালো। বর্তমানে নিম্নমানের পাট ২৫০০ টাকা ও ভালো মানের পাট ৩০০০ টাকা। আশা করা যায় এর ফলে পাট চাষীরা লাভবান হবে এবং ভবিষ্যতে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।