ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যেতে নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই নাসিরনগর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা

মাদারীপুরে ব্যস্ত সময় পার করছে পাট চাষীরা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:২৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
  • / ৩০১ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি, মাদারীপুর

পাটকে বলা হয় সোনালী আঁশ। পাট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। তাই পাটের এই মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করছে মাদারীপুরের পাট চাষিরা। বর্তমানে পুরো জেলা জুড়ে চলছে পাট কাটা, জাগ দেয়া, আশ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানোর কাজ। অন্যান্য বছরের মতো এবারো উৎপাদন ভাল হওয়ায় খুশি কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর। আবাদ  হয়েছে ৩৫ হাজার ১৩০ হেক্টর। যার ফলে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১০ থেকে ১১ বেল পাট উৎপাদিত হয়েছে। জেলার সদর, কালকিনি, রাজৈর ও শিবচরের প্রায় ৬৭ শতাংশ পাট ইতোমধ্যে কর্তন করা হয়েছে। রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের পাটচাষি মনির হোসেন বলেন, আমাদের পাট কাটা প্রায় শেষের দিকে। অত্র এলাকায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। যদি আমরা পাটের ন্যায্য  দাম পাই তাহলে আমরা লাভবান হতে পারব। অপরদিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাষী জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন,  এবছর পাট আবাদের সময় খড়া থাকায় বারবার সেচ দিতে হয়েছে। যে কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। পাটের বাজার দাম যদি ভাল থাকে তাহলে আমরা আর্থিকভাবে উপকৃত হব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদারীপুর জেলায় পাট আবাদ কালীন সময়ে অবিরত খড়া থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। তবে পাট মৌসুমে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে পাটের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবছর পাটের মূল্য মোটামুটি ভালো। বর্তমানে নিম্নমানের পাট ২৫০০ টাকা ও ভালো মানের পাট ৩০০০ টাকা। আশা করা যায় এর ফলে পাট চাষীরা লাভবান হবে এবং ভবিষ্যতে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাদারীপুরে ব্যস্ত সময় পার করছে পাট চাষীরা

আপডেট টাইম : ১০:২৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি, মাদারীপুর

পাটকে বলা হয় সোনালী আঁশ। পাট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। তাই পাটের এই মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করছে মাদারীপুরের পাট চাষিরা। বর্তমানে পুরো জেলা জুড়ে চলছে পাট কাটা, জাগ দেয়া, আশ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানোর কাজ। অন্যান্য বছরের মতো এবারো উৎপাদন ভাল হওয়ায় খুশি কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর। আবাদ  হয়েছে ৩৫ হাজার ১৩০ হেক্টর। যার ফলে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১০ থেকে ১১ বেল পাট উৎপাদিত হয়েছে। জেলার সদর, কালকিনি, রাজৈর ও শিবচরের প্রায় ৬৭ শতাংশ পাট ইতোমধ্যে কর্তন করা হয়েছে। রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের পাটচাষি মনির হোসেন বলেন, আমাদের পাট কাটা প্রায় শেষের দিকে। অত্র এলাকায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। যদি আমরা পাটের ন্যায্য  দাম পাই তাহলে আমরা লাভবান হতে পারব। অপরদিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাষী জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন,  এবছর পাট আবাদের সময় খড়া থাকায় বারবার সেচ দিতে হয়েছে। যে কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। পাটের বাজার দাম যদি ভাল থাকে তাহলে আমরা আর্থিকভাবে উপকৃত হব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদারীপুর জেলায় পাট আবাদ কালীন সময়ে অবিরত খড়া থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। তবে পাট মৌসুমে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে পাটের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবছর পাটের মূল্য মোটামুটি ভালো। বর্তমানে নিম্নমানের পাট ২৫০০ টাকা ও ভালো মানের পাট ৩০০০ টাকা। আশা করা যায় এর ফলে পাট চাষীরা লাভবান হবে এবং ভবিষ্যতে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।