ঢাকা ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

মাদারীপুরে ব্যস্ত সময় পার করছে পাট চাষীরা

  • আপডেট টাইম : ১০:২৫:৫২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৪ আগস্ট ২০২১
  • / ২৫৮ ৫০০.০০০ বার পাঠক

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি, মাদারীপুর

পাটকে বলা হয় সোনালী আঁশ। পাট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। তাই পাটের এই মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করছে মাদারীপুরের পাট চাষিরা। বর্তমানে পুরো জেলা জুড়ে চলছে পাট কাটা, জাগ দেয়া, আশ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানোর কাজ। অন্যান্য বছরের মতো এবারো উৎপাদন ভাল হওয়ায় খুশি কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর। আবাদ  হয়েছে ৩৫ হাজার ১৩০ হেক্টর। যার ফলে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১০ থেকে ১১ বেল পাট উৎপাদিত হয়েছে। জেলার সদর, কালকিনি, রাজৈর ও শিবচরের প্রায় ৬৭ শতাংশ পাট ইতোমধ্যে কর্তন করা হয়েছে। রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের পাটচাষি মনির হোসেন বলেন, আমাদের পাট কাটা প্রায় শেষের দিকে। অত্র এলাকায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। যদি আমরা পাটের ন্যায্য  দাম পাই তাহলে আমরা লাভবান হতে পারব। অপরদিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাষী জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন,  এবছর পাট আবাদের সময় খড়া থাকায় বারবার সেচ দিতে হয়েছে। যে কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। পাটের বাজার দাম যদি ভাল থাকে তাহলে আমরা আর্থিকভাবে উপকৃত হব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদারীপুর জেলায় পাট আবাদ কালীন সময়ে অবিরত খড়া থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। তবে পাট মৌসুমে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে পাটের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবছর পাটের মূল্য মোটামুটি ভালো। বর্তমানে নিম্নমানের পাট ২৫০০ টাকা ও ভালো মানের পাট ৩০০০ টাকা। আশা করা যায় এর ফলে পাট চাষীরা লাভবান হবে এবং ভবিষ্যতে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাদারীপুরে ব্যস্ত সময় পার করছে পাট চাষীরা

আপডেট টাইম : ১০:২৫:৫২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৪ আগস্ট ২০২১

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি, মাদারীপুর

পাটকে বলা হয় সোনালী আঁশ। পাট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। তাই পাটের এই মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করছে মাদারীপুরের পাট চাষিরা। বর্তমানে পুরো জেলা জুড়ে চলছে পাট কাটা, জাগ দেয়া, আশ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানোর কাজ। অন্যান্য বছরের মতো এবারো উৎপাদন ভাল হওয়ায় খুশি কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর। আবাদ  হয়েছে ৩৫ হাজার ১৩০ হেক্টর। যার ফলে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১০ থেকে ১১ বেল পাট উৎপাদিত হয়েছে। জেলার সদর, কালকিনি, রাজৈর ও শিবচরের প্রায় ৬৭ শতাংশ পাট ইতোমধ্যে কর্তন করা হয়েছে। রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের পাটচাষি মনির হোসেন বলেন, আমাদের পাট কাটা প্রায় শেষের দিকে। অত্র এলাকায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। যদি আমরা পাটের ন্যায্য  দাম পাই তাহলে আমরা লাভবান হতে পারব। অপরদিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাষী জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন,  এবছর পাট আবাদের সময় খড়া থাকায় বারবার সেচ দিতে হয়েছে। যে কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। পাটের বাজার দাম যদি ভাল থাকে তাহলে আমরা আর্থিকভাবে উপকৃত হব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদারীপুর জেলায় পাট আবাদ কালীন সময়ে অবিরত খড়া থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। তবে পাট মৌসুমে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে পাটের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবছর পাটের মূল্য মোটামুটি ভালো। বর্তমানে নিম্নমানের পাট ২৫০০ টাকা ও ভালো মানের পাট ৩০০০ টাকা। আশা করা যায় এর ফলে পাট চাষীরা লাভবান হবে এবং ভবিষ্যতে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।