ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের ওপর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা

মাদারীপুরে ব্যস্ত সময় পার করছে পাট চাষীরা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:২৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
  • / ৩৩৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি, মাদারীপুর

পাটকে বলা হয় সোনালী আঁশ। পাট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। তাই পাটের এই মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করছে মাদারীপুরের পাট চাষিরা। বর্তমানে পুরো জেলা জুড়ে চলছে পাট কাটা, জাগ দেয়া, আশ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানোর কাজ। অন্যান্য বছরের মতো এবারো উৎপাদন ভাল হওয়ায় খুশি কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর। আবাদ  হয়েছে ৩৫ হাজার ১৩০ হেক্টর। যার ফলে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১০ থেকে ১১ বেল পাট উৎপাদিত হয়েছে। জেলার সদর, কালকিনি, রাজৈর ও শিবচরের প্রায় ৬৭ শতাংশ পাট ইতোমধ্যে কর্তন করা হয়েছে। রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের পাটচাষি মনির হোসেন বলেন, আমাদের পাট কাটা প্রায় শেষের দিকে। অত্র এলাকায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। যদি আমরা পাটের ন্যায্য  দাম পাই তাহলে আমরা লাভবান হতে পারব। অপরদিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাষী জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন,  এবছর পাট আবাদের সময় খড়া থাকায় বারবার সেচ দিতে হয়েছে। যে কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। পাটের বাজার দাম যদি ভাল থাকে তাহলে আমরা আর্থিকভাবে উপকৃত হব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদারীপুর জেলায় পাট আবাদ কালীন সময়ে অবিরত খড়া থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। তবে পাট মৌসুমে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে পাটের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবছর পাটের মূল্য মোটামুটি ভালো। বর্তমানে নিম্নমানের পাট ২৫০০ টাকা ও ভালো মানের পাট ৩০০০ টাকা। আশা করা যায় এর ফলে পাট চাষীরা লাভবান হবে এবং ভবিষ্যতে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাদারীপুরে ব্যস্ত সময় পার করছে পাট চাষীরা

আপডেট টাইম : ১০:২৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি, মাদারীপুর

পাটকে বলা হয় সোনালী আঁশ। পাট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। তাই পাটের এই মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করছে মাদারীপুরের পাট চাষিরা। বর্তমানে পুরো জেলা জুড়ে চলছে পাট কাটা, জাগ দেয়া, আশ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানোর কাজ। অন্যান্য বছরের মতো এবারো উৎপাদন ভাল হওয়ায় খুশি কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর। আবাদ  হয়েছে ৩৫ হাজার ১৩০ হেক্টর। যার ফলে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১০ থেকে ১১ বেল পাট উৎপাদিত হয়েছে। জেলার সদর, কালকিনি, রাজৈর ও শিবচরের প্রায় ৬৭ শতাংশ পাট ইতোমধ্যে কর্তন করা হয়েছে। রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের পাটচাষি মনির হোসেন বলেন, আমাদের পাট কাটা প্রায় শেষের দিকে। অত্র এলাকায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। যদি আমরা পাটের ন্যায্য  দাম পাই তাহলে আমরা লাভবান হতে পারব। অপরদিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাষী জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন,  এবছর পাট আবাদের সময় খড়া থাকায় বারবার সেচ দিতে হয়েছে। যে কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। পাটের বাজার দাম যদি ভাল থাকে তাহলে আমরা আর্থিকভাবে উপকৃত হব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদারীপুর জেলায় পাট আবাদ কালীন সময়ে অবিরত খড়া থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। তবে পাট মৌসুমে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে পাটের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবছর পাটের মূল্য মোটামুটি ভালো। বর্তমানে নিম্নমানের পাট ২৫০০ টাকা ও ভালো মানের পাট ৩০০০ টাকা। আশা করা যায় এর ফলে পাট চাষীরা লাভবান হবে এবং ভবিষ্যতে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।