বরগুনার পাথরঘাটায় স্বাস্থ্য বিধি না মেনে খেয়া পারাপারে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া জনমনে বাড়ছে ক্ষোভ।
- আপডেট টাইম : ০৪:৫৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৪ আগস্ট ২০২১
- / ২৭২ ৫০০০.০ বার পাঠক
নুরুল আমিন (মিল্টন)।।
বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বড়ইতলা বাইনচটকী বিষখালি নদীতে রয়েছে মানুষ চলাচলের মাধ্যম একমাত্র খেয়া, প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই খেয়ার মাধ্যমে বরগুনা জেলা শহরে পারাপার করেন,এই করোনা মহামারীতে দেখা যাচ্ছে, খেয়ার ইজারাদার গন জেলা পরিষদ কতৃক নির্ধারিত ভাড়া থেকে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে,যদিও জেলা পরিষদ কতৃক নির্ধারিত ভাড়া হচ্ছে ১৫ টাকা সেটাকে তারা কখনও চারগুণ বা তার চেয়েও বেশি বাড়িয়ে কখনও ৬০ টাকা কখনও ১০০টাকা আদায় করছে। বরগুনা থেকে পার হওয়া কিছু যাত্রীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা অভিযোগ করেন, অসাধু ইজারাদার, এর থেকে ডাকাতি করা অনেক ভাল, ১০,১৫ টাকার ভাড়া হয়তো ২০,৩০ টাকা নিতে পারে সে জন্য এতো ডাকাতি তো করতে পারেনা তারা। প্রতিবাদ করলে নানা রকমের দূর্ব্যবহার করে এমন ৭, ৮ বছরের বাচ্চাদের নিকট থেকেও একই ভাড়া আদায় সহ নানা রকমের অনিয়ম করে যাচ্ছে।এ দিকে জেলা মৎস্য লীগের আহবায়ক ও পাথরঘাটা উপজেলার আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এইচ এম গোলাম কবির অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এরকম অনিয়ম করে যাচ্ছে উক্ত খেয়ার ইজারাদার, এখানকার যাত্রীগনকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ আমাদের কাছেও আসে, তিনি আরও বলেন, খুলনা,বাগেরহাট, পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া সহ পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী, রায়হান পুর, কালমেঘা, কাকচিড়া ইউনিয়নের মানুষের জেলা সদরের সাথে পারাপারের একমাত্র মাধ্যম বিষখালী নদীর বাইনচটকীর এই খেয়া,
আজকে অত্যন্ত পরিতাপ ও দুঃখের সাথে বলতে হয়, এখানে চলছে জুলুম ও অত্যাচারে প্রতিযোগিতা। জেলা পরিষদের কাছথেকে একশ্রেণি অসাধু ব্যবসায়ীরা, খেয়ার ইজারা নিয়ে তাহারা মানুষের উপরে চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিচারে জুলুম ও অত্যাচার। এ জুলুম শুরু হয়েছে করনা মহামারীর শুরুতেই,২০০০ খৃঃ ,তখন খেয়া ভাড়া ছিলো জনপ্রতি মাত্র ১০টাকা, সেখান থেকে ২০, ৩০, এখন ৫০ টাকা জনপ্রতি ধার্য্য করে তাদের ইচ্ছা মতো ভাড়া টাকা আদায় করে নিচ্ছেন, এবং সন্ধ্যার পরে ৪০০/৫০০ টাকা নিয়ে, ২/৩ জন করে রিজার্ভ পার করেন। কিন্তু এহেন জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য কোন জন- প্রতিনিধি এগিয়ে আসছেন না।
সরকারের বিধি মোতাবেক জেলাপরিষদ কর্তৃক ভাড়ার মুল্য তালিকা জনসাধারণের অবগতির জন্য বিলবোর্ডে ঝুলিয়ে রাখবেন। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।
কিন্তু কেন? রাখছেন না, তাহা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে,সবই চলে- ইজারাদারে খামখেয়ালি ইচ্ছার উপরে।
অথচ এ বিষয়টি দেখবাল করবার জন্য,এখানকার সন্মানিত জেলা পরিষদের সদস্যা গন যথেষ্ট বলে মনে করে জনগণ।
এরকমের জুলুম করে একশ্রেণির পেশাদারি চাঁদাবাজি ও জুলুম কারী কিছু সংখ্যক লোকেরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেছে কিন্তু তার কোন প্রতিবাদ নেই। আমাদের পাথরঘাটা উপজেলার লোকেরা বেশি করে নির্যাতিত হয়ে থাকেন।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সন্মানিত সদস্য গন কোন ভুমিকা রাখছেনা বলে আমরা দুঃখিত।
ইজারাদারের অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে এপারের গরির দুঃখী মানুষের পাষে দাড়ানোর জন্য
এপারের সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের সন্মানিত সদস্যগন ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সন্মানিত চেয়ারম্যান গন, সন্মানিত , উপজেলা চেয়ারম্যান,পাথরঘাটা। মাননীয় মহিলা সংসদ সদস্যা (মহিলা আসন -১৫) ও ১১০ বরগুনাঃ- ২ আসনের, সংসদ সদস্য মহোদয়ের এবং উল্লেখিত জনপ্রতিনিধি গনের সমীপে, মনযোগ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাহাতে এহেন জুলুমকারীদের হাত থেকে পাথরঘাটা উপজেলার মানুষ রেহাই পেতে পারে।এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রশাসকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, প্রায় সময়ই ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয় প্রতিটি খেয়াঘাটে অনিয়মের কোন প্রমাণ পেলে ইজারাদরদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।এদিকে খেয়ার ইজারাদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অনিয়মের কথা অস্বীকার করেন।