ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন জামায়াতের আমির শত কোটির তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ আগেই পদত্যাগের আবেদন করেছিলেন মোয়াজ্জেম: উপদেষ্টা আসিফ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু । দেশে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন হচ্ছে শিগগিরই হবিগঞ্জে তুমুল সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক ভারত পাকিস্তান কি যুদ্ধে জড়াবে? চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মতবিনিময় শনিবার সাতক্ষীরা আলিপুরে মাহফিলে বাধা অকথ্য ভাষায় গালি বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ নির্বাচনের মাধ্যমে ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশের মাটিতে আর ফ্যাসিবাদ আসতে পারবে না ২৪ এপ্রিল কে জাতীয় শ্রমিক দিবস ঘোষণা জাতীয় নাগরিক পার্টি

কারখানা খোলার খবরে শিমুলিয়ায় জনস্রোত

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
  • / ২৫৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে কঠোর বিধি-নিষেধ আট দিন শিথিল করে সরকার। এর পর আবারও ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়। আগামী ৫ আগস্ট এই বিধি-নিষেধ শেষ হবে। কিন্তু তার আগেই গতকাল শুক্রবার রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার।

কারখানা খুলে দেওয়ার ওই খবরে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করা শ্রমিক-কর্মজীবীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামীকাল সোমবারই কাজে যোগ দিতে হবে তাঁদের। ফলে আজ তীব্র জনস্রোত তৈরি হয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এগুলোর একটি। আজ ভোর থেকেই এই নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের তীব্র চাপ। নদী পারাপারের হিড়িক পড়েছে ফেরিতে। এসব যাত্রীর অধিকাংশই পোশাক কারখানার শ্রমিক।

আজ শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এ নৌরুটে সচল ৯টি ফেরিতে কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পারাপার হচ্ছে শত শত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি। কেবল জরুরি ও বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটিতে ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীর চাপে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।

এদিকে, শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছনো ঢাকামুখী যাত্রী ও পোশাক শ্রমিকরা পরিবহন সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন। সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে ঢাকার পথে আসছেন তারা। ফলে দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁদের অনেকেই জানান, কারখানায় কাজে যোগ না দিলে তাঁদের রুটি-রুজি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে তাঁদেরকে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ৯টি ফেরি এখন সচল। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। ঘাটে যানবাহনের উপস্থিতিও নেই। গাড়ির চাপ না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে যেসব গাড়ি পারাপারের জন্য আসছে, তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।

শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ খুব বেশি। বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা প্রত্যেক ফেরিতেই তীব্র চাপ। পোশাক কারখানা খুলছে, তাই হয়তো যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কারখানা খোলার খবরে শিমুলিয়ায় জনস্রোত

আপডেট টাইম : ০৯:০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে কঠোর বিধি-নিষেধ আট দিন শিথিল করে সরকার। এর পর আবারও ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়। আগামী ৫ আগস্ট এই বিধি-নিষেধ শেষ হবে। কিন্তু তার আগেই গতকাল শুক্রবার রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার।

কারখানা খুলে দেওয়ার ওই খবরে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করা শ্রমিক-কর্মজীবীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামীকাল সোমবারই কাজে যোগ দিতে হবে তাঁদের। ফলে আজ তীব্র জনস্রোত তৈরি হয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এগুলোর একটি। আজ ভোর থেকেই এই নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের তীব্র চাপ। নদী পারাপারের হিড়িক পড়েছে ফেরিতে। এসব যাত্রীর অধিকাংশই পোশাক কারখানার শ্রমিক।

আজ শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এ নৌরুটে সচল ৯টি ফেরিতে কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পারাপার হচ্ছে শত শত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি। কেবল জরুরি ও বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটিতে ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীর চাপে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।

এদিকে, শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছনো ঢাকামুখী যাত্রী ও পোশাক শ্রমিকরা পরিবহন সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন। সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে ঢাকার পথে আসছেন তারা। ফলে দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁদের অনেকেই জানান, কারখানায় কাজে যোগ না দিলে তাঁদের রুটি-রুজি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে তাঁদেরকে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ৯টি ফেরি এখন সচল। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। ঘাটে যানবাহনের উপস্থিতিও নেই। গাড়ির চাপ না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে যেসব গাড়ি পারাপারের জন্য আসছে, তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।

শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ খুব বেশি। বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা প্রত্যেক ফেরিতেই তীব্র চাপ। পোশাক কারখানা খুলছে, তাই হয়তো যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি।