যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে একটি রেস্তোরাঁর বাইরে বন্দুকধারীর এলোপাথাড়ি গুলি
- আপডেট টাইম : ০৭:৪৭:৫২ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১
- / ২৬৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।
যুক্তরাষ্ট্রে একটি রেস্তোরাঁর বাইরে এক বন্দুকধারী এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে। রেস্তোরাঁটি রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির এক অভিজাত এলাকায় । অভিজাত ওই এলাকাটির দূরত্ব হোয়াইট হাউস থেকে দেড় কিলোমিটারের মতো বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। বন্দুকধারী ২০টির বেশি গুলি ছুড়েছিল, এ সময় রেস্তোরাঁর বাইরে টেবিলে বসা মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাতের এ ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। আহতদের কারও অবস্থাই গুরুতর নয়, বলেছে পুলিশ। বন্দুকধারীকে ধরতে অভিযান চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লোগান সার্কেল এলাকার একটি মেক্সিকান রেস্তোরাঁয় গুলি ছোড়ার পর ওই বন্দুকধারী পালিয়ে যায়। সিএনএনের উপস্থাপক জিম অ্যাকোস্টা গুলির ঘটনার পর মানুষজনকে লো ডিপ্লোম্যাট রেস্তোরাঁ থেকে ছুটে বেরিয়ে আসতে দেখেছেন। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ২৭ বছর বয়সী জেস ডেভিডসন গুলির ঘটনার সময় মেক্সিকান রেস্তোরাঁটিতেই ছিলেন।
“এটা ছিল ভয়ঙ্কর। আমার মনে হচ্ছিল, আমি মারা যাচ্ছি,” বলেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সহিংসতার পরিমাণ কমে এলেও ওয়াশিংটন ডিসি এবং অন্যান্য শহরে বন্দুক হামলার সংখ্যা বেড়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি কর্তৃপক্ষের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রের এ রাজধানী শহরে ২০১৮ সালের পর থেকে বন্দুক নিয়ে হামলার ঘটনা ক্রমাগত হারে বাড়ছে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত এ ধরনের ৪৭১টি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, গত বছর একই সময় পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৪৩৪। ওয়াশিংটন ডিসির দক্ষিণপূর্ব ও উত্তরপূর্বের দরিদ্র এলাকাগুলোতেই বেশি বন্দুক হামলার ঘটনা দেখা যায় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া জো বাইডেন বন্দুক সংশ্লিষ্ট অপরাধ কমিয়ে আনতে ক্রেতার ‘অতীত কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার’ আওতা বাড়ানোসহ কঠোর সব নিয়মকানুন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অবশ্য এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন তার জন্য কঠিন হবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীতে নাগরিকদের অস্ত্র বহনের অধিকার দেওয়া হয়েছে; অস্ত্র আইন কঠোর করার যে কোনো প্রচেষ্টাকে তাই সাংবিধানিক অধিকারের হরণ বলেই দেশটির অনেকে মনে করেন।