দোকানপাটে ছুটছেন ক্রেতারা
- আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:৩৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
- / ২৩৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিত্য ব্যবহার্য পোশাক সামগ্রী কিনতে নগরবাসী ছুটছেন দোকানপাট ও মার্কেটে। লোকবল সঙ্কটের মধ্যেও সরকারী নির্দেশনা মেনে সীমিত পরিসরে ঢাকার দোকানপাট ও মার্কেট খুলতে শুরু করেছে। প্রথম দিন দোকান খুলে অনেকেই ধোয়ামোছা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। এরমধ্যে ক্রেতা আসছেন ক্যাজুয়াল পোশাক শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, স্যান্ডেল, গেঞ্জি, রুমাল, টি শার্ট কিনতে। গৃহিণী গৃহস্থালি পণ্যসামগ্রী কিনছেন। কঠোর লকডাউনের কারণে গত ১৪দিন যাবত দোকানপাট ও মাকের্ট বন্ধ ছিল। কোরবানির পরের দিন থেকে আবার শুরু হচ্ছে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। মাঝে কোরবানি সামনে রেখে কয়েকদিনের জন্য নগরবাসীর অপরিহার্য পণ্যসামগ্রী কিনতে মার্কেট খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দোকানপাট ও মার্কেট খোলার প্রথম দিন অপরিহার্য নিত্যপণ্য এবং ক্যাজুয়াল কিছু পোশাকসামগ্রী কিনতে নগরবাসী ছুটে বেরিয়েছেন ঢাকার অলিগলি। করোনা সংক্রমণের ভীতির মধ্যে হাতের কাছের দোকানপাট এবং মার্কেট থেকে কিনছেন নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী। ঢাকার খিলগাঁও, মালিবাগ, মৌচাক, ওয়ারী, গুলিস্তান, মিরপুর রোড এলাকার দোকানপাট ও ছোট ছোট মার্কেট খুলে গেছে। এছাড়া নিউমার্কেট, গাউছিয়া, এলিফ্যান্ট রোড, শাহবাগ আজিজ মার্কেটসহ আশপাশের মার্কেটও খুলতে শুরু করেছে। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বেশিরভাগ দোকানপাটে ধোয়ামোছার কাজ করা হয়েছে।
দোকানপাটে পুরনো পণ্যসামগ্রী বেচাকেনা চলছে। মালিবাগ ফরচুন মার্কেটে টাঙ্গাইলের শাড়ি কিনতে এসেছেন তালতলার বাসিন্দা শাম্মি আখতার। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে তিনি বের হতে পারছিলেন না। এছাড়া মার্কেট বন্ধ ছিল। এখল খোলা থাকায় তিনি প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা করছেন। ফরচুনের পাশেই ঐহিত্যবাহী মৌচাক মার্কেটের অবস্থান। ওই মার্কেটের বেশিরভাগ দোকান চালু করা হয়েছে। কিন্তু ক্রেতা তেমন নেই। যারা আসছেন তারা নিত্যব্যবহার্য পোশাক-আশাক কিনছেন। ওই মার্কেটের বাচ্চাদের পোশাক বিক্রেতা লিটন জানান, অনেকদিন বন্ধ থাকার পর মায়েরা আসছেন তাদের বাচ্চার পোশাক কিনতে। এ কারণে তার দোকানে বেশ ভাল বেচাবিক্রি হচ্ছে।
একই দৃশ্য দেখা গেছে নিউমার্কেট, গাউছিয়া এবং এলিফ্যান্ট রোড এলাকার দোকানপাট এবং মার্র্কেটে। একেবারে ক্যাজুয়াল পোশাক-আশাক এবং ক্রোকারিজ আইটেম বেচাবিক্রি হচ্ছে। নিউমার্কেট খোলার আগে সকাল সকাল ক্রেতারা আসছেন বলে জানিয়েছেন মার্কেটের এক বিক্রেতা। তিনি বলেন, ঈদের পর আবার লকডাউন শুরু হচ্ছে। এর আগে ১৪দিন বন্ধ ছিল। অনেক জিনিস আছে যা তাদের একান্ত প্রয়োজন। এ কারণে নিত্যব্যবহার্য জিনিসের বেচাবিক্রি অনেক বেড়েছে। ওই মার্কেটের ক্রোকারিজ সামগ্রী এবং গৃহস্থালি আইটেমের পণ্য কিনতে দোকানে দোকানে ক্রেতার বেশ আনাগোনা দেখা গেছে। গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী আবুল আলম জনকণ্ঠকে জানান, মহিলা ক্রেতা আসছেন তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে। এটাকে ঈদ কেনাকাটা বলা যায় না।