ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে হাজী মো: মকবুল হোসেনের বিশাল জনসভা ফুলবাড়ীতে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত অধিকার ও মানবাধিকার কর্মীদের উদ্বেগ মানবাধিকার পরিস্থিতিতে অগ্রগতি নেই বাংলাদেশের হজ ভিসায় জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে যেতে পারবেন না হাজীরা জামালপুরে পাটের পরিবর্তে, পাট শাক চাষ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে গাজা ট্র্যাজেডি থেকে যে শিক্ষা নিতে বললেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধানের চাল কত টাকা কিনা হবে জানালেন মন্ত্রী সুন্দরবনের অগ্নিকান্ডের দায়ভার বনবিভাগকেই নিতে হবে জরুরী বিজ্ঞপ্তি মহাদেবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যেখানে আপনার আবেগের ৫ পয়সা মূল্য নেই। 

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২২:০২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • ১৯৫ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
আমার লেখায় কারো চাকরি যাবে না,তবুও লিখছি যদি কর্তা বাবুদের চোখে পড়ে,যদি পরিবর্তনের সুযোগ থাকে।
মাত্র ৫ দিন আগে, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপালে গিয়েছিলাম ফুফাতো ভাইয়ের লাশ আনতে, মুখোমুখি হয়েছিলাম চরম বাস্তবতার।
মানুষের মুখে শোনা অভিযোগ গুলোর বাস্তব প্রতিফলন দেখে নিজেই হতবাক হয়েছি।
সকাল ১১ টায় মৃত ব্যাক্তির লাশ পোস্টমডেম করে পেয়েছি রাত ৮ টায়।
সাথে ছিল ফুলবাড়ি উপজেলার আরেক জন, জানালেন এলাকায় দুই পক্ষের  মারামারিতে তার ভাই মারা গেছে গত রাত ৩ টায় পরের দিন রাত আটটা পার হলেও আপন ভাইয়ের লাশ পাননি এখনো।
কেন পাননি?
অফিসের সাহেব আসবেন সকাল দশটায়,পুলিশের রিপোর্টের নামে কালক্ষেপণ,পুলিশের সাথে থাকা একজন সিভিলিয়ান  আমাদের  বলেই ফেললেন আপনাদের কারনেই তো এতদেরি, সুবোধ বালকের মতো প্রশ্ন  করলাম এটা কেমন কথা?,পরে বুঝলাম এখানেও কিন্তু আছে।
এভাবেই রাত তিনটার লাশ  চলে যায় বিকেল ৪ টায়,এরপর লাশ যায় মর্গে, লাশ কাটা ডোম জানায় ডাঃ আসতে দেরি হবে,কত দেরি কেউ জানে না।
মর্গের সামনে প্রিয়জনের দেহের অপেক্ষায় প্রহর গুনেছেন  আপনজন রা, সারাদিন না খেয়ে থেকে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন,বাড়ি ভর্তি স্বজন অপেক্ষা করছে শেষ বারের মতো দেখবার জন্য,মোবাইলে সমান তালে কথা বলে যাচ্ছেন বাড়ির লোকজনের সাথে হরদম মিথ্যা বলছেন এই আসছি, এই শেষ হচ্ছে।
এসব ভাবতে যখন অস্থির তখনো সময় হয়নি ডাঃ আসার, এভাবেই কেটে যায় ৩/৪ ঘন্টা এরমধ্যে রাগ আর ক্ষোপে অস্থির আমি কল দেই হসপিটাল পরিচালককে, পরিচয় দিয়ে জানতে চাই কেন এমন হচ্ছে, জৈনক ভদ্রলোক জানালেন স্যার অসুস্থ আছেন।
আগত্য অপেক্ষায় শেষ ভরসা,দীর্ঘ অপেক্ষার পর ডাঃ আসলেন মাত্র ১০ মিনিটের ব্যাবধানে ২ টা লাশের রিপোর্ট করে চলে গেলেন।
জবাব দেবার কেউ নাই, মাত্র ১০ মিনিটের কাজের জন্য ৩/৪ ঘন্টা অপেক্ষা কেন?
মৃত লাশের অপেক্ষায় আসা স্বজনের অনুভূতির বিন্দু মাত্র দাম নেই এদের কাছে?
পরিচালক স্যার,সিভিল সার্জন স্যার,সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট বিনীত জানতে চাই এভাবে হয়রানি হওয়া মুখ ফুটে প্রতিবাদ করতে না পারা মানুষ গুলোর মনের ভাষা কি আপনারা বুঝেন?
সবকিছুর এত পরিবর্তন, অথচ আপনারা বা আপনাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে সিটিজেন চার্টার ঝুলিয়ে রেখেই কি দায়িত্ব পার করবেন,নাকি জনগন এর সুফল পাবে?
সত্যি কি রাত তিনটায় মৃত স্বজনের লাশ পেতে রাত ৮ টা বাজে?
আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে হাজী মো: মকবুল হোসেনের বিশাল জনসভা

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যেখানে আপনার আবেগের ৫ পয়সা মূল্য নেই। 

আপডেট টাইম : ০৮:২২:০২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
আমার লেখায় কারো চাকরি যাবে না,তবুও লিখছি যদি কর্তা বাবুদের চোখে পড়ে,যদি পরিবর্তনের সুযোগ থাকে।
মাত্র ৫ দিন আগে, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপালে গিয়েছিলাম ফুফাতো ভাইয়ের লাশ আনতে, মুখোমুখি হয়েছিলাম চরম বাস্তবতার।
মানুষের মুখে শোনা অভিযোগ গুলোর বাস্তব প্রতিফলন দেখে নিজেই হতবাক হয়েছি।
সকাল ১১ টায় মৃত ব্যাক্তির লাশ পোস্টমডেম করে পেয়েছি রাত ৮ টায়।
সাথে ছিল ফুলবাড়ি উপজেলার আরেক জন, জানালেন এলাকায় দুই পক্ষের  মারামারিতে তার ভাই মারা গেছে গত রাত ৩ টায় পরের দিন রাত আটটা পার হলেও আপন ভাইয়ের লাশ পাননি এখনো।
কেন পাননি?
অফিসের সাহেব আসবেন সকাল দশটায়,পুলিশের রিপোর্টের নামে কালক্ষেপণ,পুলিশের সাথে থাকা একজন সিভিলিয়ান  আমাদের  বলেই ফেললেন আপনাদের কারনেই তো এতদেরি, সুবোধ বালকের মতো প্রশ্ন  করলাম এটা কেমন কথা?,পরে বুঝলাম এখানেও কিন্তু আছে।
এভাবেই রাত তিনটার লাশ  চলে যায় বিকেল ৪ টায়,এরপর লাশ যায় মর্গে, লাশ কাটা ডোম জানায় ডাঃ আসতে দেরি হবে,কত দেরি কেউ জানে না।
মর্গের সামনে প্রিয়জনের দেহের অপেক্ষায় প্রহর গুনেছেন  আপনজন রা, সারাদিন না খেয়ে থেকে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন,বাড়ি ভর্তি স্বজন অপেক্ষা করছে শেষ বারের মতো দেখবার জন্য,মোবাইলে সমান তালে কথা বলে যাচ্ছেন বাড়ির লোকজনের সাথে হরদম মিথ্যা বলছেন এই আসছি, এই শেষ হচ্ছে।
এসব ভাবতে যখন অস্থির তখনো সময় হয়নি ডাঃ আসার, এভাবেই কেটে যায় ৩/৪ ঘন্টা এরমধ্যে রাগ আর ক্ষোপে অস্থির আমি কল দেই হসপিটাল পরিচালককে, পরিচয় দিয়ে জানতে চাই কেন এমন হচ্ছে, জৈনক ভদ্রলোক জানালেন স্যার অসুস্থ আছেন।
আগত্য অপেক্ষায় শেষ ভরসা,দীর্ঘ অপেক্ষার পর ডাঃ আসলেন মাত্র ১০ মিনিটের ব্যাবধানে ২ টা লাশের রিপোর্ট করে চলে গেলেন।
জবাব দেবার কেউ নাই, মাত্র ১০ মিনিটের কাজের জন্য ৩/৪ ঘন্টা অপেক্ষা কেন?
মৃত লাশের অপেক্ষায় আসা স্বজনের অনুভূতির বিন্দু মাত্র দাম নেই এদের কাছে?
পরিচালক স্যার,সিভিল সার্জন স্যার,সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট বিনীত জানতে চাই এভাবে হয়রানি হওয়া মুখ ফুটে প্রতিবাদ করতে না পারা মানুষ গুলোর মনের ভাষা কি আপনারা বুঝেন?
সবকিছুর এত পরিবর্তন, অথচ আপনারা বা আপনাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে সিটিজেন চার্টার ঝুলিয়ে রেখেই কি দায়িত্ব পার করবেন,নাকি জনগন এর সুফল পাবে?
সত্যি কি রাত তিনটায় মৃত স্বজনের লাশ পেতে রাত ৮ টা বাজে?