ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যেখানে আপনার আবেগের ৫ পয়সা মূল্য নেই। 

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২২:০২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • ১৯১ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
আমার লেখায় কারো চাকরি যাবে না,তবুও লিখছি যদি কর্তা বাবুদের চোখে পড়ে,যদি পরিবর্তনের সুযোগ থাকে।
মাত্র ৫ দিন আগে, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপালে গিয়েছিলাম ফুফাতো ভাইয়ের লাশ আনতে, মুখোমুখি হয়েছিলাম চরম বাস্তবতার।
মানুষের মুখে শোনা অভিযোগ গুলোর বাস্তব প্রতিফলন দেখে নিজেই হতবাক হয়েছি।
সকাল ১১ টায় মৃত ব্যাক্তির লাশ পোস্টমডেম করে পেয়েছি রাত ৮ টায়।
সাথে ছিল ফুলবাড়ি উপজেলার আরেক জন, জানালেন এলাকায় দুই পক্ষের  মারামারিতে তার ভাই মারা গেছে গত রাত ৩ টায় পরের দিন রাত আটটা পার হলেও আপন ভাইয়ের লাশ পাননি এখনো।
কেন পাননি?
অফিসের সাহেব আসবেন সকাল দশটায়,পুলিশের রিপোর্টের নামে কালক্ষেপণ,পুলিশের সাথে থাকা একজন সিভিলিয়ান  আমাদের  বলেই ফেললেন আপনাদের কারনেই তো এতদেরি, সুবোধ বালকের মতো প্রশ্ন  করলাম এটা কেমন কথা?,পরে বুঝলাম এখানেও কিন্তু আছে।
এভাবেই রাত তিনটার লাশ  চলে যায় বিকেল ৪ টায়,এরপর লাশ যায় মর্গে, লাশ কাটা ডোম জানায় ডাঃ আসতে দেরি হবে,কত দেরি কেউ জানে না।
মর্গের সামনে প্রিয়জনের দেহের অপেক্ষায় প্রহর গুনেছেন  আপনজন রা, সারাদিন না খেয়ে থেকে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন,বাড়ি ভর্তি স্বজন অপেক্ষা করছে শেষ বারের মতো দেখবার জন্য,মোবাইলে সমান তালে কথা বলে যাচ্ছেন বাড়ির লোকজনের সাথে হরদম মিথ্যা বলছেন এই আসছি, এই শেষ হচ্ছে।
এসব ভাবতে যখন অস্থির তখনো সময় হয়নি ডাঃ আসার, এভাবেই কেটে যায় ৩/৪ ঘন্টা এরমধ্যে রাগ আর ক্ষোপে অস্থির আমি কল দেই হসপিটাল পরিচালককে, পরিচয় দিয়ে জানতে চাই কেন এমন হচ্ছে, জৈনক ভদ্রলোক জানালেন স্যার অসুস্থ আছেন।
আগত্য অপেক্ষায় শেষ ভরসা,দীর্ঘ অপেক্ষার পর ডাঃ আসলেন মাত্র ১০ মিনিটের ব্যাবধানে ২ টা লাশের রিপোর্ট করে চলে গেলেন।
জবাব দেবার কেউ নাই, মাত্র ১০ মিনিটের কাজের জন্য ৩/৪ ঘন্টা অপেক্ষা কেন?
মৃত লাশের অপেক্ষায় আসা স্বজনের অনুভূতির বিন্দু মাত্র দাম নেই এদের কাছে?
পরিচালক স্যার,সিভিল সার্জন স্যার,সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট বিনীত জানতে চাই এভাবে হয়রানি হওয়া মুখ ফুটে প্রতিবাদ করতে না পারা মানুষ গুলোর মনের ভাষা কি আপনারা বুঝেন?
সবকিছুর এত পরিবর্তন, অথচ আপনারা বা আপনাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে সিটিজেন চার্টার ঝুলিয়ে রেখেই কি দায়িত্ব পার করবেন,নাকি জনগন এর সুফল পাবে?
সত্যি কি রাত তিনটায় মৃত স্বজনের লাশ পেতে রাত ৮ টা বাজে?
আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যেখানে আপনার আবেগের ৫ পয়সা মূল্য নেই। 

আপডেট টাইম : ০৮:২২:০২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
আমার লেখায় কারো চাকরি যাবে না,তবুও লিখছি যদি কর্তা বাবুদের চোখে পড়ে,যদি পরিবর্তনের সুযোগ থাকে।
মাত্র ৫ দিন আগে, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপালে গিয়েছিলাম ফুফাতো ভাইয়ের লাশ আনতে, মুখোমুখি হয়েছিলাম চরম বাস্তবতার।
মানুষের মুখে শোনা অভিযোগ গুলোর বাস্তব প্রতিফলন দেখে নিজেই হতবাক হয়েছি।
সকাল ১১ টায় মৃত ব্যাক্তির লাশ পোস্টমডেম করে পেয়েছি রাত ৮ টায়।
সাথে ছিল ফুলবাড়ি উপজেলার আরেক জন, জানালেন এলাকায় দুই পক্ষের  মারামারিতে তার ভাই মারা গেছে গত রাত ৩ টায় পরের দিন রাত আটটা পার হলেও আপন ভাইয়ের লাশ পাননি এখনো।
কেন পাননি?
অফিসের সাহেব আসবেন সকাল দশটায়,পুলিশের রিপোর্টের নামে কালক্ষেপণ,পুলিশের সাথে থাকা একজন সিভিলিয়ান  আমাদের  বলেই ফেললেন আপনাদের কারনেই তো এতদেরি, সুবোধ বালকের মতো প্রশ্ন  করলাম এটা কেমন কথা?,পরে বুঝলাম এখানেও কিন্তু আছে।
এভাবেই রাত তিনটার লাশ  চলে যায় বিকেল ৪ টায়,এরপর লাশ যায় মর্গে, লাশ কাটা ডোম জানায় ডাঃ আসতে দেরি হবে,কত দেরি কেউ জানে না।
মর্গের সামনে প্রিয়জনের দেহের অপেক্ষায় প্রহর গুনেছেন  আপনজন রা, সারাদিন না খেয়ে থেকে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন,বাড়ি ভর্তি স্বজন অপেক্ষা করছে শেষ বারের মতো দেখবার জন্য,মোবাইলে সমান তালে কথা বলে যাচ্ছেন বাড়ির লোকজনের সাথে হরদম মিথ্যা বলছেন এই আসছি, এই শেষ হচ্ছে।
এসব ভাবতে যখন অস্থির তখনো সময় হয়নি ডাঃ আসার, এভাবেই কেটে যায় ৩/৪ ঘন্টা এরমধ্যে রাগ আর ক্ষোপে অস্থির আমি কল দেই হসপিটাল পরিচালককে, পরিচয় দিয়ে জানতে চাই কেন এমন হচ্ছে, জৈনক ভদ্রলোক জানালেন স্যার অসুস্থ আছেন।
আগত্য অপেক্ষায় শেষ ভরসা,দীর্ঘ অপেক্ষার পর ডাঃ আসলেন মাত্র ১০ মিনিটের ব্যাবধানে ২ টা লাশের রিপোর্ট করে চলে গেলেন।
জবাব দেবার কেউ নাই, মাত্র ১০ মিনিটের কাজের জন্য ৩/৪ ঘন্টা অপেক্ষা কেন?
মৃত লাশের অপেক্ষায় আসা স্বজনের অনুভূতির বিন্দু মাত্র দাম নেই এদের কাছে?
পরিচালক স্যার,সিভিল সার্জন স্যার,সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট বিনীত জানতে চাই এভাবে হয়রানি হওয়া মুখ ফুটে প্রতিবাদ করতে না পারা মানুষ গুলোর মনের ভাষা কি আপনারা বুঝেন?
সবকিছুর এত পরিবর্তন, অথচ আপনারা বা আপনাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে সিটিজেন চার্টার ঝুলিয়ে রেখেই কি দায়িত্ব পার করবেন,নাকি জনগন এর সুফল পাবে?
সত্যি কি রাত তিনটায় মৃত স্বজনের লাশ পেতে রাত ৮ টা বাজে?