ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শীতে জবুথবু দেশ, ভোগান্তিতে নিম্নআয়ের মানুষ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ০ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

ঘন কুয়াশা মেঘলা আকাশ আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জেলা জুড়ে কন কনে শীতের দাপট বেড়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্বাভাবিক জনজীবন। সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে এসেছে।

হিম শীতল বাতাস আর মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো শীতের তীব্রতার কাছে এক রকম অসহায় হয়ে পড়েছেন। সড়কে মানুষের চলাচল তেমন একটা নেই। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ ও কৃষি শ্রমিকরা।অনেক এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।

গত দুদিনের তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে সোমবার ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার ছিল ১২ দশমিক ৫। গতকালের চেয়ে আজ তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রির বেশি।

শীতে কাঁপছে সারা দেশ। দেশের প্রায় ২০ জেলার তাপমাত্রা নেমে গেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা কমেছে সবচেয়ে বেশি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দেশবাসী। গত কয়েক দিন ধরে সূর্য না ওঠা এবং উত্তরের হিমেল হাওয়ার গতি বেড়ে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। শুক্রবার পর্যন্ত এ ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮, বগুড়ায় ১২ দশমিক ৫, পাবনায় ১২ দশমিক ২, নাটোরে ১২ দশমিক ৪, সিরাজগঞ্জে ১২ দশমিক ৮ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগে তুলনামূলকভাবে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি। চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৯, কক্সবাজারে ১৫ দশমিক ৬, কুমিল্লায় ১৪ দশমিক ৪, ফেনীতে ১৪, নোয়াখালীতে ১৪ দশমিক ৬, চাঁদপুরে ১৪ দশমিক ৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪ দশমিক ৫, রাঙামাটিতে ১৪ দশমিক ৬, খাগড়াছড়িতে ১৫ এবং বান্দরবানে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

খুলনা বিভাগে খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ২, যশোরে ১২ দশমিক ৫, সাতক্ষীরায় ১৩, ঝিনাইদহে ১২ দশমিক ৬, চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৫, মাগুরায় ১২ দশমিক ৫, নড়াইলে ১২ দশমিক ৩ এবং বাগেরহাটে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বরিশাল বিভাগে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮, পটুয়াখালীতে ১৩ দশমিক ৫, ভোলায় ১৪ এবং ঝালকাঠিতে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেট বিভাগে সিলেটে ১৪ এবং শ্রীমঙ্গলে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতে জবুথবু দেশ, ভোগান্তিতে নিম্নআয়ের মানুষ

শীতে জবুথবু দেশ, ভোগান্তিতে নিম্নআয়ের মানুষ

আপডেট সময় ০১:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

ঘন কুয়াশা মেঘলা আকাশ আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জেলা জুড়ে কন কনে শীতের দাপট বেড়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্বাভাবিক জনজীবন। সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে এসেছে।

হিম শীতল বাতাস আর মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো শীতের তীব্রতার কাছে এক রকম অসহায় হয়ে পড়েছেন। সড়কে মানুষের চলাচল তেমন একটা নেই। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ ও কৃষি শ্রমিকরা।অনেক এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।

গত দুদিনের তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে সোমবার ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার ছিল ১২ দশমিক ৫। গতকালের চেয়ে আজ তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রির বেশি।

শীতে কাঁপছে সারা দেশ। দেশের প্রায় ২০ জেলার তাপমাত্রা নেমে গেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা কমেছে সবচেয়ে বেশি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দেশবাসী। গত কয়েক দিন ধরে সূর্য না ওঠা এবং উত্তরের হিমেল হাওয়ার গতি বেড়ে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। শুক্রবার পর্যন্ত এ ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮, বগুড়ায় ১২ দশমিক ৫, পাবনায় ১২ দশমিক ২, নাটোরে ১২ দশমিক ৪, সিরাজগঞ্জে ১২ দশমিক ৮ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগে তুলনামূলকভাবে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি। চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৯, কক্সবাজারে ১৫ দশমিক ৬, কুমিল্লায় ১৪ দশমিক ৪, ফেনীতে ১৪, নোয়াখালীতে ১৪ দশমিক ৬, চাঁদপুরে ১৪ দশমিক ৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪ দশমিক ৫, রাঙামাটিতে ১৪ দশমিক ৬, খাগড়াছড়িতে ১৫ এবং বান্দরবানে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

খুলনা বিভাগে খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ২, যশোরে ১২ দশমিক ৫, সাতক্ষীরায় ১৩, ঝিনাইদহে ১২ দশমিক ৬, চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৫, মাগুরায় ১২ দশমিক ৫, নড়াইলে ১২ দশমিক ৩ এবং বাগেরহাটে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বরিশাল বিভাগে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮, পটুয়াখালীতে ১৩ দশমিক ৫, ভোলায় ১৪ এবং ঝালকাঠিতে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেট বিভাগে সিলেটে ১৪ এবং শ্রীমঙ্গলে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।


প্রিন্ট