ঢাকা ০৮:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঠাকুরগাঁওয়ে মাজার ও কবর ভাঙচুর, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করতে উগ্রপন্থী সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ Logo মাত্র দুই সেকেন্ডে ৭০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি তুললো চীনা ট্রেন Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার দায়িত্ব নিলেন প্রশাসক শরিফুল ইসলাম আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার প্রত্যয় Logo ধানের শীষে ভোট করতে দল ছাড়লেন যারা Logo তারেক রহমানের আগমনে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের অভূতপূর্ব প্রস্তুতি নেতৃত্বে সামনে মো:আতিকুল ইসলাম আরিফ Logo হাছন মানসের ধারা ও তার সাহিত্য Logo ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেন তারেক রহমান Logo বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় না ভারত Logo ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ২২ গুণ বেড়েছে রাশিয়ার অস্ত্র: পুতিন Logo মাঠে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন ঢাকার সহকারী কোচ ঢাকা ক্যাপিটালসের সহকারী কোচ মাহবুব আলী

ঠাকুরগাঁওয়ে মাজার ও কবর ভাঙচুর, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করতে উগ্রপন্থী সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ

ঠাকুরগাঁওয়ে দূর্বৃত্তদের হামলায় হযরত শাহ্ সত্যপীরের মাজার ও পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি কবর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার গভীর রাতে সংঘটিত এই ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা এখনও নিশ্চিত করতে না পারলেও চরম উগ্রপন্থী সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ করছে রাজনৈতিক দলগুলি।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে স্থানীয় মুসল্লিরা মাজার সংলগ্ন মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে এসে দেখতে পান মাজারের গ্রিল ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং পাশের তিনটি কবর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

স্থানীয়রা জানান, এ মাজারে কখনোই কোনো শিরক বা অনৈতিক কার্যক্রম, এমনকি গান-বাজনাও অনুষ্ঠিত হয় না। এমনকি এ মাজারের কোন খাদেমও নেই। পাশে একটি মসজিদ রয়েছে যেখানে মুসল্লিরা এসে নামাজ পড়ে। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী জানান, ঘটনাটি জানার পর আমি আশ্চর্য হই এবং নিন্দা জানাই। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তারা কাপুরুষ। মূলত দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে এবং নির্বাচনকে বানচাল করতে একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রিমহল রাতের অন্ধকারে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি প্রশাসনকে বলবো দ্রুত এদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য।

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলমগীর জানান, এ ধরনের ঘটনা নেক্কারজনক। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা আগামীর নির্বাচনকে বানচাল ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং এদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে এরা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতেই থাকবে।

উদিচির ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদের সাধারন সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু জানান, অন্তবর্তী সরকার যদি এ ধরনের ঘটনা গুলির প্রথম থেকেই পদক্ষেপ নিতেন তবে এসবের পুনরাবৃত্তি ঘটতোনা। সামনে নির্বাচন,আর নির্বাচনকে বানচাল এবং দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করতেই উগ্রপন্থীরা এ ধরনের ঘটনা গুলি ঘটাচ্ছে। বিগত সময়েও দেখেছি বাউলদের ওপরে হামলা,সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠনের ওপরে হামলা

ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। কে বা কারা করেছে তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় শাস্তির ব্যবস্থা দ্রুতই নেওয়া হবে ।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে মাজার ও কবর ভাঙচুর, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করতে উগ্রপন্থী সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ

ঠাকুরগাঁওয়ে মাজার ও কবর ভাঙচুর, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করতে উগ্রপন্থী সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ

আপডেট সময় ০৭:৫৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে দূর্বৃত্তদের হামলায় হযরত শাহ্ সত্যপীরের মাজার ও পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি কবর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার গভীর রাতে সংঘটিত এই ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা এখনও নিশ্চিত করতে না পারলেও চরম উগ্রপন্থী সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ করছে রাজনৈতিক দলগুলি।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে স্থানীয় মুসল্লিরা মাজার সংলগ্ন মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে এসে দেখতে পান মাজারের গ্রিল ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং পাশের তিনটি কবর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

স্থানীয়রা জানান, এ মাজারে কখনোই কোনো শিরক বা অনৈতিক কার্যক্রম, এমনকি গান-বাজনাও অনুষ্ঠিত হয় না। এমনকি এ মাজারের কোন খাদেমও নেই। পাশে একটি মসজিদ রয়েছে যেখানে মুসল্লিরা এসে নামাজ পড়ে। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী জানান, ঘটনাটি জানার পর আমি আশ্চর্য হই এবং নিন্দা জানাই। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তারা কাপুরুষ। মূলত দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে এবং নির্বাচনকে বানচাল করতে একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রিমহল রাতের অন্ধকারে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি প্রশাসনকে বলবো দ্রুত এদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য।

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলমগীর জানান, এ ধরনের ঘটনা নেক্কারজনক। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা আগামীর নির্বাচনকে বানচাল ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং এদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে এরা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতেই থাকবে।

উদিচির ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদের সাধারন সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু জানান, অন্তবর্তী সরকার যদি এ ধরনের ঘটনা গুলির প্রথম থেকেই পদক্ষেপ নিতেন তবে এসবের পুনরাবৃত্তি ঘটতোনা। সামনে নির্বাচন,আর নির্বাচনকে বানচাল এবং দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করতেই উগ্রপন্থীরা এ ধরনের ঘটনা গুলি ঘটাচ্ছে। বিগত সময়েও দেখেছি বাউলদের ওপরে হামলা,সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠনের ওপরে হামলা

ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। কে বা কারা করেছে তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় শাস্তির ব্যবস্থা দ্রুতই নেওয়া হবে ।


প্রিন্ট