নিজের স্ত্রীকে ভেবে অন্যের স্ত্রীকে নির্যাতন গ্রাম আদালতে অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ০৩:৫৯:১৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
- / ৩৩৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ মাহাবুব আলম,নীলফামারী।।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিজের স্ত্রী ভেবে অন্যের স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের হামুরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । নির্যাতিত নারীর কাছে তাৎক্ষণিক ক্ষমা চাইলেও নাকের ফুল ও নগদ টাকা হারিয়ে যাওয়ায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ইউনিয়ন পরিষদে।আগামীকাল মঙ্গলবার (১৫ জুন) গ্রাম আদালতে সালিসি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার ওই ইউনিয়নের পানিশাল এলাকার নুর মোহাম্মাদের পুত্রবধূ ফারজানা (১৯) স্বামী শাহীনের সাথে ঝগড়া করে দুপুর দেড়টায় ভ্যানযোগে একই ইউনিয়নের ডাঙ্গি এলাকায় বাপের বাড়ি যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর শাহিন (২২) ও তার চাচাতো ভাই মেরাজুল ওরফে বাবু মোটর সাইকেলযোগে হামুরহাট এলাকায় ভ্যানটির গতিরোধ করে।
মোটর সাইকেল থেকে নেমেই ভ্যানের সামনে বসা ওই এলাকার পাইকার পাড়ার তছিম উদ্দিন ওরফে ভীমের মেয়ে দুই সন্তানের জননী তাসলিমা বেগম তছো (৩৮) কে নিজের স্ত্রী ভেবে এলোপাথারী চড়-থাপ্পর ও ঘুষি মারতে থাকে।
নির্যাতিতা তছো মুখের পর্দা সরালে শাহীন তখন দেখতে পায় ওটা তার স্ত্রী নয়।পরে নিশ্চিত হওয়ার পর তার সাত মাসের গর্ভবতী স্ত্রী ফারজানাকেও মারধর করেন। ভ্যানচালক সাঈদুল প্রতিবাদ করলে তাকেও মারার জন্য উত্তেজিত হয় তারা। পরে তাতক্ষনিন ওই ঘটনায় ক্ষমা চান শাহীন ও বাবু।কিন্তু নাকের ফুল ও বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ছয় হাজার টাকা হারিয়ে যাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন তাসলিমা বেগম তছোর স্বামী মোহাম্মদ আলী।
নির্যাতিতা তাসলিমা বেগম তছো বলেন, আমি স্বামীর বাড়ি যাচ্ছিলাম। শাহীনের অতর্কিত ও এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পর এবং কিল-ঘুষিতে আমি হতবাক হয়ে যাই। বর্তমানে অসুস্থ বোধ করছি। বাপের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহীনের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, ঘটনার পর শাহীনের গর্ভবতী স্ত্রী ফারজানা বাপের বাড়িতে চলে যায়। এলাকাবাসী জানায়, শাহীনের সাথে ফারজানার বিয়ে হয় ১০ মাস আগে। এরই মধ্যে কয়েকবার দাম্পত্য কলহের জেরে মারধর ও স্বামীর বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দেন।