টাঙ্গাইলে গৃহবধূর হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
- আপডেট টাইম : ০২:০৭:২১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
- / ৩০০ ৫০০০.০ বার পাঠক
বাসাইল উপজেলা প্রতিনিধি।।
টাঙ্গাইলের বাসাইলে গৃহবধূ কনা আক্তারের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৬ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে সদর উপজেলা ও বাসাইল উপজেলার জনসাধারণের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত কনা আক্তারের মা কহিনূর বেগম, ছোট বোন ঝর্ণা আক্তার, চাচাতো ভাই জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, ‘প্রবাসী কবির হোসেন ও তার বড় দুই বোন অর্থলোভী সালমা ও তাসলিমার ষড়যন্ত্র ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে পরিকল্পিতভাবে কনা আক্তারকে হত্যা করে লাশ ঘরের ধর্নার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায় তারা। নির্মম এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।’
প্রসঙ্গত, প্রায় পাঁচ বছর আগে জেলার বাসাইল উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার বাবু মিয়ার দুবাই প্রবাসী ছেলে কবির মিয়ার সাথে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন গ্রামের জয়নাল মিয়ার মেয়ে কনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবিতে তার শাশুরী ও দুই নুনাশের অত্যাচার শুরু হয়। এরপর তার শাশুরী কহিনূর বেগম ও স্বামী কবির মিয়া পুনরায় প্রবাসে পাড়ি জমান। গৃহবধূ কনা আক্তার তার শিশু সন্তানকে নিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী শ্বশুরের সাথে বসবাস করেন। এরমধ্যে নুনাশ সালমা বেগমের স্বামী অন্যত্র বিবাহ করায় ও তাসলিমা বেগমের স্বামী প্রবাসে থাকায় তারা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতেই অবস্থান নেয়। এমতাবস্থায় গৃহবধূ কনার প্রবাসী স্বামী কবির ও শাশুরী কহিনূরের টাকা আত্মসাতের পায়তারা করে তার দুই নুনাশ। বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবিতে নুনাশ সালমা ও তাসলিমা বেগম গৃহবধূ কনাকে মারধর করে আসছিল।
চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায়ও ওই গৃহবধূ কনাকে তার দুুই নুনাশ মিলে মারধর করে। পরেরদিন ২৭ এপ্রিল সকালে তার বসত ঘরের ধর্নার সাথে ঝুঁলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ কনা আক্তারের লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এঘটনায় গৃহবধূর মা কহিনূর বেগম বাদি হয়ে গত ৪ মে টাঙ্গাইলের আদালতে স্বামী কবির মিয়া, দুই বোন সালমা ও তাসলিমা বেগমের নাম উল্লেখ করে আরও ৪-৫জন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।