কক্সবাজারের উখিয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (৬৪ বিজিবি)-এর বিশেষ অভিযানে ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অভিযানে এক রোহিঙ্গা যুবক আটক হলেও মূল মালিক শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ছোটন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
১৫ নভেম্বর ভোরে উখিয়ার বালুখালিতে ৬৪ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় বিজিবি। একই সময়ে পুলিশও অভিযানে নামে, কিন্তু বিজিবি আগেই চালানটি আটক করে।
আটক রোহিঙ্গা যুবক মো. সাদেক হোসেন (২০) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, উখিয়ার রহমতের বিল এলাকার আব্দুর রহিম (৩২)-এর কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা নিয়ে তিনি ইয়াবা বহন করছিলেন। তাকে বিজিবির হেফাজত থেকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চালানটির মূল মালিক মিয়ানমারের নাগরিক মোহাম্মদুল হকের ছেলে ছোটন। প্রশাসনের ‘সোর্স’ পরিচয়ে তিনি বাংলাদেশ অংশে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করেন। মিয়ানমার থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইয়াবা বাংলাদেশে প্রবেশ করায় তার মাধ্যমে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যতা ও সোর্সের আড়ালে ছোটন একটি শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় নেতাদের আর্থিক সহযোগিতায় ছোটন ও তার পরিবার রোহিঙ্গা থেকে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব লাভ করেন। এরপরই তিনি মাদক চোরাচালান, হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ।
এর আগে গত ২৮ জুলাই ২০২৫ ভোরে উখিয়ার বালুখালী এলাকায় র্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে ছোটন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে মৃত ভেবে র্যাব ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও পরে চট্টগ্রামের অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাদেক হোসেনকে ছাড়াতে ছোটন বিপুল অর্থ পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
উখিয়া ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। মাদক পাচার রোধে বিজিবির নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বড় চালান উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।”
স্থানীয়দের দাবি, ছোটনের মতো শীর্ষ কারবারিদের গ্রেপ্তার না হলে মাদকের এই জাল ছিন্ন করা কঠিন।
প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















