ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

উখিয়ায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক রোহিঙ্গা যুবক, অধরা শীর্ষ কারবারি ছোটন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৩:০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩৮ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের উখিয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (৬৪ বিজিবি)-এর বিশেষ অভিযানে ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অভিযানে এক রোহিঙ্গা যুবক আটক হলেও মূল মালিক শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ছোটন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

১৫ নভেম্বর ভোরে উখিয়ার বালুখালিতে ৬৪ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় বিজিবি। একই সময়ে পুলিশও অভিযানে নামে, কিন্তু বিজিবি আগেই চালানটি আটক করে।

আটক রোহিঙ্গা যুবক মো. সাদেক হোসেন (২০) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, উখিয়ার রহমতের বিল এলাকার আব্দুর রহিম (৩২)-এর কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা নিয়ে তিনি ইয়াবা বহন করছিলেন। তাকে বিজিবির হেফাজত থেকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চালানটির মূল মালিক মিয়ানমারের নাগরিক মোহাম্মদুল হকের ছেলে ছোটন। প্রশাসনের ‘সোর্স’ পরিচয়ে তিনি বাংলাদেশ অংশে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করেন। মিয়ানমার থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইয়াবা বাংলাদেশে প্রবেশ করায় তার মাধ্যমে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যতা ও সোর্সের আড়ালে ছোটন একটি শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় নেতাদের আর্থিক সহযোগিতায় ছোটন ও তার পরিবার রোহিঙ্গা থেকে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব লাভ করেন। এরপরই তিনি মাদক চোরাচালান, হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ।

এর আগে গত ২৮ জুলাই ২০২৫ ভোরে উখিয়ার বালুখালী এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে ছোটন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে মৃত ভেবে র‌্যাব ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও পরে চট্টগ্রামের অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাদেক হোসেনকে ছাড়াতে ছোটন বিপুল অর্থ পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।

উখিয়া ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। মাদক পাচার রোধে বিজিবির নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বড় চালান উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।”

স্থানীয়দের দাবি, ছোটনের মতো শীর্ষ কারবারিদের গ্রেপ্তার না হলে মাদকের এই জাল ছিন্ন করা কঠিন।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

উখিয়ায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক রোহিঙ্গা যুবক, অধরা শীর্ষ কারবারি ছোটন

আপডেট সময় ০৩:০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের উখিয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (৬৪ বিজিবি)-এর বিশেষ অভিযানে ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অভিযানে এক রোহিঙ্গা যুবক আটক হলেও মূল মালিক শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ছোটন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

১৫ নভেম্বর ভোরে উখিয়ার বালুখালিতে ৬৪ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় বিজিবি। একই সময়ে পুলিশও অভিযানে নামে, কিন্তু বিজিবি আগেই চালানটি আটক করে।

আটক রোহিঙ্গা যুবক মো. সাদেক হোসেন (২০) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, উখিয়ার রহমতের বিল এলাকার আব্দুর রহিম (৩২)-এর কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা নিয়ে তিনি ইয়াবা বহন করছিলেন। তাকে বিজিবির হেফাজত থেকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চালানটির মূল মালিক মিয়ানমারের নাগরিক মোহাম্মদুল হকের ছেলে ছোটন। প্রশাসনের ‘সোর্স’ পরিচয়ে তিনি বাংলাদেশ অংশে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করেন। মিয়ানমার থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইয়াবা বাংলাদেশে প্রবেশ করায় তার মাধ্যমে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যতা ও সোর্সের আড়ালে ছোটন একটি শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় নেতাদের আর্থিক সহযোগিতায় ছোটন ও তার পরিবার রোহিঙ্গা থেকে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব লাভ করেন। এরপরই তিনি মাদক চোরাচালান, হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ।

এর আগে গত ২৮ জুলাই ২০২৫ ভোরে উখিয়ার বালুখালী এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে ছোটন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে মৃত ভেবে র‌্যাব ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও পরে চট্টগ্রামের অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাদেক হোসেনকে ছাড়াতে ছোটন বিপুল অর্থ পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।

উখিয়া ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। মাদক পাচার রোধে বিজিবির নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বড় চালান উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।”

স্থানীয়দের দাবি, ছোটনের মতো শীর্ষ কারবারিদের গ্রেপ্তার না হলে মাদকের এই জাল ছিন্ন করা কঠিন।


প্রিন্ট