ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

ডিসেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ মিয়ানমারের

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৯ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের সামরিক সরকার, জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর নেতৃত্বে, আগামী ডিসেম্বরে দেশের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রতি এই অনুরোধের অর্থ হলো নির্বাচনের বৈধতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা।

মিয়ানমারের নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর, এবং দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রায় ৫৫টি দল নিবন্ধন করেছে। তবে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা এই নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফলকে মিন অং হ্লাইং-এর ক্ষমতা ধরে রাখার একটি কৌশল হিসেবে দেখছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার উৎখাতের পর দেশটি সামরিক নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এরপর গণবিক্ষোভ শুরু হয়, যা ব্যাপক সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার, সাংবাদিকদের কারাবরণ এবং মৌলিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণের কারণে এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হবে না।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জান্তা সরকার একটি পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বৈধতা পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে পদক্ষেপ প্রয়োজন, যা জান্তার এই নির্বাচনের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধে বাংলাদেশ এখনও নীরব। একই অবস্থান নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোও।

মিয়ানমারের নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মতামতও বিভিন্ন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশা প্রকাশ করেছেন, সব পক্ষের অংশগ্রহণে মিয়ানমারে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হবে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ভারতও ‘পর্যবেক্ষক দল’ পাঠাতে পারে। তবে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন এখন অগ্রাধিকার নয়। আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।

জাপানও জান্তা সরকারের নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করে, এই পদক্ষেপ মিয়ানমারের জনগণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান কঠিন করবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

ডিসেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ মিয়ানমারের

আপডেট সময় ০৩:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের সামরিক সরকার, জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর নেতৃত্বে, আগামী ডিসেম্বরে দেশের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রতি এই অনুরোধের অর্থ হলো নির্বাচনের বৈধতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা।

মিয়ানমারের নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর, এবং দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রায় ৫৫টি দল নিবন্ধন করেছে। তবে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা এই নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফলকে মিন অং হ্লাইং-এর ক্ষমতা ধরে রাখার একটি কৌশল হিসেবে দেখছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার উৎখাতের পর দেশটি সামরিক নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এরপর গণবিক্ষোভ শুরু হয়, যা ব্যাপক সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার, সাংবাদিকদের কারাবরণ এবং মৌলিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণের কারণে এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হবে না।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জান্তা সরকার একটি পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বৈধতা পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে পদক্ষেপ প্রয়োজন, যা জান্তার এই নির্বাচনের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধে বাংলাদেশ এখনও নীরব। একই অবস্থান নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোও।

মিয়ানমারের নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মতামতও বিভিন্ন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশা প্রকাশ করেছেন, সব পক্ষের অংশগ্রহণে মিয়ানমারে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হবে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ভারতও ‘পর্যবেক্ষক দল’ পাঠাতে পারে। তবে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন এখন অগ্রাধিকার নয়। আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।

জাপানও জান্তা সরকারের নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করে, এই পদক্ষেপ মিয়ানমারের জনগণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান কঠিন করবে।


প্রিন্ট