ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিব উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন Logo ডিসেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ মিয়ানমারের Logo যুব নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন মানচিত্র গঠনের প্রত্যাশা জামায়াত আমিরের Logo হেনস্তার শিকার সব নারী ক্রিকেটারদের মুখ খুলতে বললেন তামিম Logo মিত্রদের ৪০ আসনে ছাড় দিতে পারে লন্ডনের বিএনপি, চলছে দরকষাকষি Logo বালু মহাল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপি নেতা দুই ভাইয়ের সমর্থকদের সংঘর্ষ, বাড়িঘরে আগুন Logo লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল Logo সিঙ্গাপুর ৫ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১১.১১ ওয়েলনেস মেগা সেল চালু করেছে Logo ৮ এপিবিএন এর আওতাধীন ঘোনারপাড়া পুলিশ ক্যাম্প কর্তৃক পরিত্যক্ত অবস্থায় ০১ (এক) টি একনলা বন্দুক ও ০৪ (চার) রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার প্রসঙ্গে Logo ‎নওগাঁর নিয়ামতপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ.

ডিসেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ মিয়ানমারের

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ১ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের সামরিক সরকার, জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর নেতৃত্বে, আগামী ডিসেম্বরে দেশের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রতি এই অনুরোধের অর্থ হলো নির্বাচনের বৈধতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা।

মিয়ানমারের নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর, এবং দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রায় ৫৫টি দল নিবন্ধন করেছে। তবে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা এই নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফলকে মিন অং হ্লাইং-এর ক্ষমতা ধরে রাখার একটি কৌশল হিসেবে দেখছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার উৎখাতের পর দেশটি সামরিক নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এরপর গণবিক্ষোভ শুরু হয়, যা ব্যাপক সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার, সাংবাদিকদের কারাবরণ এবং মৌলিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণের কারণে এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হবে না।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জান্তা সরকার একটি পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বৈধতা পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে পদক্ষেপ প্রয়োজন, যা জান্তার এই নির্বাচনের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধে বাংলাদেশ এখনও নীরব। একই অবস্থান নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোও।

মিয়ানমারের নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মতামতও বিভিন্ন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশা প্রকাশ করেছেন, সব পক্ষের অংশগ্রহণে মিয়ানমারে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হবে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ভারতও ‘পর্যবেক্ষক দল’ পাঠাতে পারে। তবে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন এখন অগ্রাধিকার নয়। আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।

জাপানও জান্তা সরকারের নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করে, এই পদক্ষেপ মিয়ানমারের জনগণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান কঠিন করবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিব উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

ডিসেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ মিয়ানমারের

আপডেট সময় ০৩:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের সামরিক সরকার, জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর নেতৃত্বে, আগামী ডিসেম্বরে দেশের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রতি এই অনুরোধের অর্থ হলো নির্বাচনের বৈধতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা।

মিয়ানমারের নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর, এবং দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রায় ৫৫টি দল নিবন্ধন করেছে। তবে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা এই নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফলকে মিন অং হ্লাইং-এর ক্ষমতা ধরে রাখার একটি কৌশল হিসেবে দেখছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার উৎখাতের পর দেশটি সামরিক নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এরপর গণবিক্ষোভ শুরু হয়, যা ব্যাপক সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার, সাংবাদিকদের কারাবরণ এবং মৌলিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণের কারণে এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হবে না।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জান্তা সরকার একটি পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বৈধতা পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে পদক্ষেপ প্রয়োজন, যা জান্তার এই নির্বাচনের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধে বাংলাদেশ এখনও নীরব। একই অবস্থান নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোও।

মিয়ানমারের নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মতামতও বিভিন্ন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশা প্রকাশ করেছেন, সব পক্ষের অংশগ্রহণে মিয়ানমারে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হবে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ভারতও ‘পর্যবেক্ষক দল’ পাঠাতে পারে। তবে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন এখন অগ্রাধিকার নয়। আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।

জাপানও জান্তা সরকারের নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করে, এই পদক্ষেপ মিয়ানমারের জনগণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান কঠিন করবে।


প্রিন্ট