ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উওীর্ণদের নিয়োগ এর দাবি তে মানববন্ধন Logo বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই রুমিন ফারহানার পদত্যাগ করেন Logo ঝিনাইদহে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ Logo নিয়োগ বানিজ্যে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo তেলেঙ্গানায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৯ Logo গণভোট নিয়ে দলগুলো ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছাতে না পারলে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার Logo নাসিরনগরে জিয়া সাইবার ফোর্সের উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন Logo ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ড্রেন পরিষ্কার কাজে অচল ‘Amkador’ মেশিন — পরিকল্পনার ঘাটতিতে নষ্ট হচ্ছে সরকারি অর্থ Logo অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দেশব্যাপী নাশকতার পরিকল্পনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তানজিদুর রহমান তানজিল নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ Logo কালিয়াকৈরে জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে সাইনবোর্ড দিয়ে সেনা সদস্যের জমি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ: পুলিশের সহায়তায় জমি উদ্ধার

বৃষ্টির অজুহাতে বাজার অস্থির, বয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৫০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৪ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

বৃষ্টির অজুহাতে নিত্যপণ্যের বাজারে ফের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি বয়লার মুরগি ১৮০-১৮৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। অন্যান্য মুরগির দামও অসহনীয়। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে আলু, দেশি পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেড়েছে। সঙ্গে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি ও মাছ। এসব পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, নয়াবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজারসহ একাধিক খুচরা বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন নয়াবাজারে প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৯০ টাকা। একই মুরগি মালিবাগ কাঁচাবাজারে ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়। একই দাম রামপুরা বাজারেও। যদিও দুই সপ্তাহ আগে এই মুরগি বিক্রি হয় ১৮০-১৮৫ টাকা। শুক্রবার প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ৩১০-৩২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া শুক্রবার পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হয় ২৮০-২৯০ টাকা। প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হয় ২৮০-৩০০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি মুরগি খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ৬৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দামও। শুক্রবার প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৪৫-৫০ টাকা ছিল।

নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা সোলাইমান শাওন জানান, বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতা নেই। তারপরও বিক্রেতারা সব ধরনের মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বেড়েছে ডিমের দামও। বৃষ্টি এলেই বিক্রেতারা সুযোগ খোঁজে। পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাকে নাজেহাল করে তোলে। দেখার যেন কেউ নেই।

এই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘পাইকারি পর্যায়ে কাপ্তানবাজারে সব ধরনের মুরগির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। তারা বলছে, বৃষ্টির কারণে খামার থেকেই মুরগির সরবরাহ কমেছে। খামার পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণে পাইকারি বাজারে বেড়েছে।’

বৃষ্টির অজুহাতে বিক্রেতারা আরও বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এর মধ্যে মানভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৮ টাকা; যা এক সপ্তাহ আগেও ১৮-২৫ টাকা ছিল। পাশাপাশি প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৭৫-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা এক সপ্তাহ আগেও ৬৫-৮০ টাকা ছিল। সঙ্গে খুচরা বাজারে সব ধরনের সবজির দাম এখনো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। একাধিক সবজি ৭০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। কিছু সবজি কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। মরিচের দাম কিছুটা কমলেও এখনো ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হয় ৭০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি গোল বেগুন ১৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, ধন্দুল ৮০ টাকা এবং ঝিঙা ৭০ টাকা বিক্রি হয়। এছাড়া প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হয় ৮০ টাকা, টমেটো ১৩০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং বাঁধাকপি প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা বিক্রি হয়।

কাওরান বাজারে সবজি কিনতে আসা মো. মোস্তফা বলেন, অন্যান্য বাজারের তুলনায় কারওয়ানবাজারে সবজির দাম কম থাকে। তাই ছুটির দিন কারওয়ানবাজারে এসেছি। কিন্তু দেখি এখানেও বাড়তি দাম। কয়েক মাস থেকেই সবজির দাম চড়া। যদিও বাজারে সবজির সরবরাহে ঘাটতি নেই।

এদিন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হয় ২৩০০-২৫০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয় ১৭০০-১৮০০ টাকা। আর ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হয় ৭০০-৭৫০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা ও চিংড়ি কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উওীর্ণদের নিয়োগ এর দাবি তে মানববন্ধন

বৃষ্টির অজুহাতে বাজার অস্থির, বয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা

আপডেট সময় ১২:৫০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

বৃষ্টির অজুহাতে নিত্যপণ্যের বাজারে ফের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি বয়লার মুরগি ১৮০-১৮৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। অন্যান্য মুরগির দামও অসহনীয়। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে আলু, দেশি পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেড়েছে। সঙ্গে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি ও মাছ। এসব পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, নয়াবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজারসহ একাধিক খুচরা বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন নয়াবাজারে প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৯০ টাকা। একই মুরগি মালিবাগ কাঁচাবাজারে ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়। একই দাম রামপুরা বাজারেও। যদিও দুই সপ্তাহ আগে এই মুরগি বিক্রি হয় ১৮০-১৮৫ টাকা। শুক্রবার প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ৩১০-৩২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া শুক্রবার পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হয় ২৮০-২৯০ টাকা। প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হয় ২৮০-৩০০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি মুরগি খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ৬৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দামও। শুক্রবার প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৪৫-৫০ টাকা ছিল।

নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা সোলাইমান শাওন জানান, বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতা নেই। তারপরও বিক্রেতারা সব ধরনের মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বেড়েছে ডিমের দামও। বৃষ্টি এলেই বিক্রেতারা সুযোগ খোঁজে। পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাকে নাজেহাল করে তোলে। দেখার যেন কেউ নেই।

এই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘পাইকারি পর্যায়ে কাপ্তানবাজারে সব ধরনের মুরগির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। তারা বলছে, বৃষ্টির কারণে খামার থেকেই মুরগির সরবরাহ কমেছে। খামার পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণে পাইকারি বাজারে বেড়েছে।’

বৃষ্টির অজুহাতে বিক্রেতারা আরও বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এর মধ্যে মানভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৮ টাকা; যা এক সপ্তাহ আগেও ১৮-২৫ টাকা ছিল। পাশাপাশি প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৭৫-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা এক সপ্তাহ আগেও ৬৫-৮০ টাকা ছিল। সঙ্গে খুচরা বাজারে সব ধরনের সবজির দাম এখনো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। একাধিক সবজি ৭০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। কিছু সবজি কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। মরিচের দাম কিছুটা কমলেও এখনো ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হয় ৭০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি গোল বেগুন ১৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, ধন্দুল ৮০ টাকা এবং ঝিঙা ৭০ টাকা বিক্রি হয়। এছাড়া প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হয় ৮০ টাকা, টমেটো ১৩০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং বাঁধাকপি প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা বিক্রি হয়।

কাওরান বাজারে সবজি কিনতে আসা মো. মোস্তফা বলেন, অন্যান্য বাজারের তুলনায় কারওয়ানবাজারে সবজির দাম কম থাকে। তাই ছুটির দিন কারওয়ানবাজারে এসেছি। কিন্তু দেখি এখানেও বাড়তি দাম। কয়েক মাস থেকেই সবজির দাম চড়া। যদিও বাজারে সবজির সরবরাহে ঘাটতি নেই।

এদিন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হয় ২৩০০-২৫০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয় ১৭০০-১৮০০ টাকা। আর ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হয় ৭০০-৭৫০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা ও চিংড়ি কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।


প্রিন্ট