ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ

ভারত থেকে চাল, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম কিনবে সরকার; চীনা যুদ্ধবিমান প্রসঙ্গে মন্তব্য নেই উপদেষ্টার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৫ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও যেকোনো সম্ভাব্য সংকট এড়াতে ভারত থেকে নন-বাসমতি চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে চীনের তৈরি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এটার ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে, চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২৭ সাল নাগাদ ৪.৫ প্রজন্মের এই মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট কেনা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য খরচসহ মোট ব্যয় হবে ২২০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ হাজার ৬০ কোটি টাকা।

আনুষ্ঠানিক নথিপত্র অনুযায়ী, এসব যুদ্ধবিমানের মূল্য ২০৩৫-২০৩৬ অর্থবছর পর্যন্ত ১০ বছরে পরিশোধ করতে হবে।

চাল ও গম আমদানির তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘চালের ব্যাপারে আমরা সবসময় সজাগ। আমরা নন-বাসমতি চাল আনব। আর এমনি গম আনব ৫০ হাজার মেট্রিক। গমটা আসবে ইউএসএ (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে। আর চালটা আসবে ভারত থেকে, নন-বাসমতি।’

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, ভারত বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চাল রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করলেও নন-বাসমতি চাল রপ্তানির সুযোগ উন্মুক্ত রেখেছে।

চাল আমদানির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই খাদ্যশস্যের রিজার্ভ বা মজুত নিশ্চিত করছি। এর কারণ হলো, যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে আসন্ন বোরো মৌসুমের ধান সংগ্রহ কার্যক্রম ব্যাহত হয়, তাহলেও যেন দেশে চাল, গম, লবণ এবং পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট তৈরি না হয়।’

তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে চালের কোনো শঙ্কা নেই, তবে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত মজুত থাকাটা সুবিধাজনক। এ ছাড়া, খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রমের আওতায় ট্রাকে করে পণ্য বিক্রিও পুনরায় শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এছাড়াও অর্থ উপদেষ্টা তার আসন্ন বৈদেশিক সফর প্রসঙ্গে বলেন, এটি মূলত একটি ফলো-আপ বৈঠক, এখানে নতুন করে কোনো আলোচনার বিষয় নেই। ওরা আমাদেরকে অগ্রগতি দেখবে, সেগুলো নিয়ে আলাপ হবে।

তিনি বলেন, ‘আইএমএফ-এর পাইপলাইনে আরও টাকা আছে কিছু। আর বাকি এডিবি, এআইডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনা হবে।’ তিনি জানান, এই সফরে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দুটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

আইএমএফের দেওয়া ঋণ সীমার বিষয়ে কোনো উদ্বেগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেই সিলিং [সীমা] দিয়েছে ওটা তো আমাদের এফেক্ট করে না।’

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে। তথ্যসূত্র: টিবিএস


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস

ভারত থেকে চাল, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম কিনবে সরকার; চীনা যুদ্ধবিমান প্রসঙ্গে মন্তব্য নেই উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৭:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও যেকোনো সম্ভাব্য সংকট এড়াতে ভারত থেকে নন-বাসমতি চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে চীনের তৈরি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এটার ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে, চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২৭ সাল নাগাদ ৪.৫ প্রজন্মের এই মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট কেনা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য খরচসহ মোট ব্যয় হবে ২২০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ হাজার ৬০ কোটি টাকা।

আনুষ্ঠানিক নথিপত্র অনুযায়ী, এসব যুদ্ধবিমানের মূল্য ২০৩৫-২০৩৬ অর্থবছর পর্যন্ত ১০ বছরে পরিশোধ করতে হবে।

চাল ও গম আমদানির তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘চালের ব্যাপারে আমরা সবসময় সজাগ। আমরা নন-বাসমতি চাল আনব। আর এমনি গম আনব ৫০ হাজার মেট্রিক। গমটা আসবে ইউএসএ (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে। আর চালটা আসবে ভারত থেকে, নন-বাসমতি।’

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, ভারত বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চাল রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করলেও নন-বাসমতি চাল রপ্তানির সুযোগ উন্মুক্ত রেখেছে।

চাল আমদানির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই খাদ্যশস্যের রিজার্ভ বা মজুত নিশ্চিত করছি। এর কারণ হলো, যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে আসন্ন বোরো মৌসুমের ধান সংগ্রহ কার্যক্রম ব্যাহত হয়, তাহলেও যেন দেশে চাল, গম, লবণ এবং পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট তৈরি না হয়।’

তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে চালের কোনো শঙ্কা নেই, তবে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত মজুত থাকাটা সুবিধাজনক। এ ছাড়া, খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রমের আওতায় ট্রাকে করে পণ্য বিক্রিও পুনরায় শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এছাড়াও অর্থ উপদেষ্টা তার আসন্ন বৈদেশিক সফর প্রসঙ্গে বলেন, এটি মূলত একটি ফলো-আপ বৈঠক, এখানে নতুন করে কোনো আলোচনার বিষয় নেই। ওরা আমাদেরকে অগ্রগতি দেখবে, সেগুলো নিয়ে আলাপ হবে।

তিনি বলেন, ‘আইএমএফ-এর পাইপলাইনে আরও টাকা আছে কিছু। আর বাকি এডিবি, এআইডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনা হবে।’ তিনি জানান, এই সফরে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দুটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

আইএমএফের দেওয়া ঋণ সীমার বিষয়ে কোনো উদ্বেগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেই সিলিং [সীমা] দিয়েছে ওটা তো আমাদের এফেক্ট করে না।’

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে। তথ্যসূত্র: টিবিএস


প্রিন্ট