ঢাকা ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উওীর্ণদের নিয়োগ এর দাবি তে মানববন্ধন Logo বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই রুমিন ফারহানার পদত্যাগ করেন Logo ঝিনাইদহে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ Logo নিয়োগ বানিজ্যে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo তেলেঙ্গানায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৯ Logo গণভোট নিয়ে দলগুলো ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছাতে না পারলে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার Logo নাসিরনগরে জিয়া সাইবার ফোর্সের উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন Logo ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ড্রেন পরিষ্কার কাজে অচল ‘Amkador’ মেশিন — পরিকল্পনার ঘাটতিতে নষ্ট হচ্ছে সরকারি অর্থ Logo অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দেশব্যাপী নাশকতার পরিকল্পনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তানজিদুর রহমান তানজিল নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ Logo কালিয়াকৈরে জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে সাইনবোর্ড দিয়ে সেনা সদস্যের জমি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ: পুলিশের সহায়তায় জমি উদ্ধার

ফের সবজির বাড়তি দাম, নাকাল ভোক্তা ভোজ্যতেল ও ডালের দাম বাড়তি * অসহনীয় মূল্য মাছ-মাংসে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:১৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৯ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

কয়েকদিনের বৃষ্টিকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজি কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছে। কিন্তু খুচরা বাজারে সবজির কোনো সংকট নেই। পাশাপাশি খুচরা পর্যায়ে সাত দিনের ব্যবধানে ভোজ্যতেল ও মসুর ডালের দামও বাড়ানো হয়েছে। অসহনীয় মাছ-মাংসের দামও। ফলে এসব পণ্য কিনতে এসে ক্রেতাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৬০-৭০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি ঝিঙা বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা, যা আগে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সিম ২০০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া প্রতি কেজি কচুমুখী ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, শসার কেজি ৬০-৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সঙ্গে প্রতি পিস ফুলকপি ৫০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

রাজধানীর নয়াবাজারে সবজি কিনতে আসা মো. শাকিল বলেন, বৃষ্টি হলেই বিক্রেতারা সবজির দাম বাড়িয়ে দেয়। এটা স্বাভাবিক যে বৃষ্টির কারণে সবজি নষ্ট হয়। পরিবহণেও ঝামেলা হয়। এতে সরবরাহ কমে। তবে বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত। কিন্তু বিক্রেতারা বৃষ্টির অজুহাতে সরবরাহ কম বলে বাড়তি দামে বিক্রি করছে। যা কোনোভাবেই ঠিক নয়।

একই বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল আমিন বলেন, আড়তে সবজির সরবরাহ কমেছে। আড়ত পর্যায়ে দাম বাড়ায় আমাদের বাড়তি দরে কিনতে হয়েছে। বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দামেই। বৃষ্টি এমন চলতে থাকলে দাম আরও কিছুটা বাড়তে পারে।

এদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে ভোজ্যতেল ও ডালের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ব্র্যান্ড ভেদে ৩৮০-৩৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা সাত দিন আগেও ৩৭৫-৩৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে পাম তেলের দামও। লিটারপ্রতি পাম তেল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। যা আগে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সঙ্গে মাঝারি দানার প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। যা সাত দিন আগে সর্বনিম্ন ১১০ টাকায় পাওয়া গেছে।

এছাড়া ছোট দানার প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম গিয়ে ঠেকেছে ১৫০-১৬০ টাকা। যা এক মাস আগেও ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেক্ষেত্রে মাসের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম সর্বোচ্চ কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আর বড় দানার মসুর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা।

রাজধানীর কাওরান বাজারে মুদি পণ্য কিনতে আসা নাজমুল বলেন, মিডিয়ায় দেখেছি তেল কোম্পানিগুলো তেলের দাম বাড়াতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে। কিন্তু সরকার দাম বাড়ায়নি। তারপরও দোকানে এসে দেখি বিক্রেতারা তেলের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। সঙ্গে ডালের দামও বাড়ছে হু হু করে। দেখার যেন কেউ নেই।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। যা আগে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা। আর খাসির মাংসে কেজিপ্রতি ১১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৩০০-২৫০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-১৮০০ টাকা। আর ছোট আকারের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা ও চিংড়ি কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উওীর্ণদের নিয়োগ এর দাবি তে মানববন্ধন

ফের সবজির বাড়তি দাম, নাকাল ভোক্তা ভোজ্যতেল ও ডালের দাম বাড়তি * অসহনীয় মূল্য মাছ-মাংসে

আপডেট সময় ১১:১৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

কয়েকদিনের বৃষ্টিকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজি কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছে। কিন্তু খুচরা বাজারে সবজির কোনো সংকট নেই। পাশাপাশি খুচরা পর্যায়ে সাত দিনের ব্যবধানে ভোজ্যতেল ও মসুর ডালের দামও বাড়ানো হয়েছে। অসহনীয় মাছ-মাংসের দামও। ফলে এসব পণ্য কিনতে এসে ক্রেতাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৬০-৭০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি ঝিঙা বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা, যা আগে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সিম ২০০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া প্রতি কেজি কচুমুখী ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, শসার কেজি ৬০-৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সঙ্গে প্রতি পিস ফুলকপি ৫০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

রাজধানীর নয়াবাজারে সবজি কিনতে আসা মো. শাকিল বলেন, বৃষ্টি হলেই বিক্রেতারা সবজির দাম বাড়িয়ে দেয়। এটা স্বাভাবিক যে বৃষ্টির কারণে সবজি নষ্ট হয়। পরিবহণেও ঝামেলা হয়। এতে সরবরাহ কমে। তবে বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত। কিন্তু বিক্রেতারা বৃষ্টির অজুহাতে সরবরাহ কম বলে বাড়তি দামে বিক্রি করছে। যা কোনোভাবেই ঠিক নয়।

একই বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল আমিন বলেন, আড়তে সবজির সরবরাহ কমেছে। আড়ত পর্যায়ে দাম বাড়ায় আমাদের বাড়তি দরে কিনতে হয়েছে। বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দামেই। বৃষ্টি এমন চলতে থাকলে দাম আরও কিছুটা বাড়তে পারে।

এদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে ভোজ্যতেল ও ডালের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ব্র্যান্ড ভেদে ৩৮০-৩৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা সাত দিন আগেও ৩৭৫-৩৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে পাম তেলের দামও। লিটারপ্রতি পাম তেল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। যা আগে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সঙ্গে মাঝারি দানার প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। যা সাত দিন আগে সর্বনিম্ন ১১০ টাকায় পাওয়া গেছে।

এছাড়া ছোট দানার প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম গিয়ে ঠেকেছে ১৫০-১৬০ টাকা। যা এক মাস আগেও ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেক্ষেত্রে মাসের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম সর্বোচ্চ কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আর বড় দানার মসুর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা।

রাজধানীর কাওরান বাজারে মুদি পণ্য কিনতে আসা নাজমুল বলেন, মিডিয়ায় দেখেছি তেল কোম্পানিগুলো তেলের দাম বাড়াতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে। কিন্তু সরকার দাম বাড়ায়নি। তারপরও দোকানে এসে দেখি বিক্রেতারা তেলের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। সঙ্গে ডালের দামও বাড়ছে হু হু করে। দেখার যেন কেউ নেই।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। যা আগে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা। আর খাসির মাংসে কেজিপ্রতি ১১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৩০০-২৫০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-১৮০০ টাকা। আর ছোট আকারের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা ও চিংড়ি কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


প্রিন্ট