ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নাসিরনগরে খাবারে বিষ মিশিয়ে ৩৫০০ হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ Logo পিকেএসএফ ভবন-২ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা, সরকারের নিন্দা Logo প্রশাসনে সমন্বয়হীনতায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে স্থবিরতা রাজনৈতিক আনুগত্যের ছায়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির, বঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ-ক্ষোভ আওয়ামী-জামায়াত বিরোধীরা কোণঠাসা Logo আসুন আমরা হরিণ শিকারী এবং হরিণের মাংস ভক্ষক সকলকে একসাথে বয়কট করি Logo জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহার Logo সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া বাজারে সরকারি জায়গায় ইউঃ পরিষদের মাধ্যমে তৈরি করা পাকা টলসেট দখল করে দোকান ঘর বানাচ্ছে মর্মে স্থানীয় জনসাধারণ এর মাধ্যমে অভিযোগ Logo পিরোজপুর (৩) মঠবাড়ীয়া জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা জোরদার করতে চট্টগ্রামে সমন্বিত প্রচারণা শুরু: ডা. শাহাদাত হোসেন Logo মোংলায় গ্রীন ফোর্স বাংলাদেশের কমিটির আত্মপ্রকাশ ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চার বিচারপতির বিষয়ে চলছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, অনিয়ম ও “ফ্যাসিস্টের দোসর” অভিযোগে ২০২৪ সালের হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এই ১২ জনের মধ্যে চার বিচারপতির বিষয়ে এখনও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তদন্ত চলমান রয়েছে। এছাড়া, কয়েকজন পদত্যাগ করেছেন এবং কিছু বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে অপসারণ করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ১৫ অক্টোবর রাতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা ফেসবুকে ঘোষণা দেন হাইকোর্টের “দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর” বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে। এর পর ১৬ অক্টোবর দুপুরে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে হাইকোর্টে প্রবেশ করে অবস্থান নেয়। এই সময় কিছু বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তৎকালীন রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা শিক্ষার্থীদের জানান, পদত্যাগ বা অপসারণের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে নেওয়া হয়।

বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয় ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও অন্য দুই বিচারপতি—মো. আশফাকুল ইসলাম ও জুবায়ের রহমান চৌধুরী—এ কাউন্সিল পরিচালনা করছেন। কাউন্সিল অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করে এবং তদন্ত শেষে কয়েকজন বিচারপতিকে অপসারণ করা হয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ পত্র জমা দেন, যা ৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন। এর আগে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান এবং আশীষ রঞ্জন দাস অবসর গ্রহণ করেছেন। বিচারপতি খিজির হায়াত ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে যথাক্রমে ১৮ মার্চ ও ২১ মে অপসারণ করা হয়। এছাড়া, চার বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত চলমান। সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখার উদ্যোগ চলমান থাকবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নাসিরনগরে খাবারে বিষ মিশিয়ে ৩৫০০ হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ

চার বিচারপতির বিষয়ে চলছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত

আপডেট সময় ১২:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, অনিয়ম ও “ফ্যাসিস্টের দোসর” অভিযোগে ২০২৪ সালের হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এই ১২ জনের মধ্যে চার বিচারপতির বিষয়ে এখনও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তদন্ত চলমান রয়েছে। এছাড়া, কয়েকজন পদত্যাগ করেছেন এবং কিছু বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে অপসারণ করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ১৫ অক্টোবর রাতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা ফেসবুকে ঘোষণা দেন হাইকোর্টের “দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর” বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে। এর পর ১৬ অক্টোবর দুপুরে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে হাইকোর্টে প্রবেশ করে অবস্থান নেয়। এই সময় কিছু বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তৎকালীন রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা শিক্ষার্থীদের জানান, পদত্যাগ বা অপসারণের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে নেওয়া হয়।

বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয় ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও অন্য দুই বিচারপতি—মো. আশফাকুল ইসলাম ও জুবায়ের রহমান চৌধুরী—এ কাউন্সিল পরিচালনা করছেন। কাউন্সিল অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করে এবং তদন্ত শেষে কয়েকজন বিচারপতিকে অপসারণ করা হয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ পত্র জমা দেন, যা ৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন। এর আগে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান এবং আশীষ রঞ্জন দাস অবসর গ্রহণ করেছেন। বিচারপতি খিজির হায়াত ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে যথাক্রমে ১৮ মার্চ ও ২১ মে অপসারণ করা হয়। এছাড়া, চার বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত চলমান। সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখার উদ্যোগ চলমান থাকবে।


প্রিন্ট