ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

চার বিচারপতির বিষয়ে চলছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৭৩ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, অনিয়ম ও “ফ্যাসিস্টের দোসর” অভিযোগে ২০২৪ সালের হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এই ১২ জনের মধ্যে চার বিচারপতির বিষয়ে এখনও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তদন্ত চলমান রয়েছে। এছাড়া, কয়েকজন পদত্যাগ করেছেন এবং কিছু বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে অপসারণ করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ১৫ অক্টোবর রাতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা ফেসবুকে ঘোষণা দেন হাইকোর্টের “দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর” বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে। এর পর ১৬ অক্টোবর দুপুরে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে হাইকোর্টে প্রবেশ করে অবস্থান নেয়। এই সময় কিছু বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তৎকালীন রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা শিক্ষার্থীদের জানান, পদত্যাগ বা অপসারণের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে নেওয়া হয়।

বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয় ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও অন্য দুই বিচারপতি—মো. আশফাকুল ইসলাম ও জুবায়ের রহমান চৌধুরী—এ কাউন্সিল পরিচালনা করছেন। কাউন্সিল অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করে এবং তদন্ত শেষে কয়েকজন বিচারপতিকে অপসারণ করা হয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ পত্র জমা দেন, যা ৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন। এর আগে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান এবং আশীষ রঞ্জন দাস অবসর গ্রহণ করেছেন। বিচারপতি খিজির হায়াত ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে যথাক্রমে ১৮ মার্চ ও ২১ মে অপসারণ করা হয়। এছাড়া, চার বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত চলমান। সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখার উদ্যোগ চলমান থাকবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

চার বিচারপতির বিষয়ে চলছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত

আপডেট সময় ১২:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, অনিয়ম ও “ফ্যাসিস্টের দোসর” অভিযোগে ২০২৪ সালের হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এই ১২ জনের মধ্যে চার বিচারপতির বিষয়ে এখনও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তদন্ত চলমান রয়েছে। এছাড়া, কয়েকজন পদত্যাগ করেছেন এবং কিছু বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে অপসারণ করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ১৫ অক্টোবর রাতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা ফেসবুকে ঘোষণা দেন হাইকোর্টের “দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর” বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে। এর পর ১৬ অক্টোবর দুপুরে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে হাইকোর্টে প্রবেশ করে অবস্থান নেয়। এই সময় কিছু বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তৎকালীন রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা শিক্ষার্থীদের জানান, পদত্যাগ বা অপসারণের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে নেওয়া হয়।

বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয় ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও অন্য দুই বিচারপতি—মো. আশফাকুল ইসলাম ও জুবায়ের রহমান চৌধুরী—এ কাউন্সিল পরিচালনা করছেন। কাউন্সিল অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করে এবং তদন্ত শেষে কয়েকজন বিচারপতিকে অপসারণ করা হয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ পত্র জমা দেন, যা ৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন। এর আগে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান এবং আশীষ রঞ্জন দাস অবসর গ্রহণ করেছেন। বিচারপতি খিজির হায়াত ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে যথাক্রমে ১৮ মার্চ ও ২১ মে অপসারণ করা হয়। এছাড়া, চার বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত চলমান। সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখার উদ্যোগ চলমান থাকবে।


প্রিন্ট