ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উগান্ডা থেকে নিউইয়র্ক—সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানির অভূতপূর্ব উত্থান Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত

চার বিচারপতির বিষয়ে চলছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬০ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, অনিয়ম ও “ফ্যাসিস্টের দোসর” অভিযোগে ২০২৪ সালের হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এই ১২ জনের মধ্যে চার বিচারপতির বিষয়ে এখনও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তদন্ত চলমান রয়েছে। এছাড়া, কয়েকজন পদত্যাগ করেছেন এবং কিছু বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে অপসারণ করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ১৫ অক্টোবর রাতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা ফেসবুকে ঘোষণা দেন হাইকোর্টের “দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর” বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে। এর পর ১৬ অক্টোবর দুপুরে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে হাইকোর্টে প্রবেশ করে অবস্থান নেয়। এই সময় কিছু বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তৎকালীন রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা শিক্ষার্থীদের জানান, পদত্যাগ বা অপসারণের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে নেওয়া হয়।

বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয় ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও অন্য দুই বিচারপতি—মো. আশফাকুল ইসলাম ও জুবায়ের রহমান চৌধুরী—এ কাউন্সিল পরিচালনা করছেন। কাউন্সিল অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করে এবং তদন্ত শেষে কয়েকজন বিচারপতিকে অপসারণ করা হয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ পত্র জমা দেন, যা ৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন। এর আগে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান এবং আশীষ রঞ্জন দাস অবসর গ্রহণ করেছেন। বিচারপতি খিজির হায়াত ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে যথাক্রমে ১৮ মার্চ ও ২১ মে অপসারণ করা হয়। এছাড়া, চার বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত চলমান। সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখার উদ্যোগ চলমান থাকবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উগান্ডা থেকে নিউইয়র্ক—সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানির অভূতপূর্ব উত্থান

চার বিচারপতির বিষয়ে চলছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত

আপডেট সময় ১২:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, অনিয়ম ও “ফ্যাসিস্টের দোসর” অভিযোগে ২০২৪ সালের হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এই ১২ জনের মধ্যে চার বিচারপতির বিষয়ে এখনও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তদন্ত চলমান রয়েছে। এছাড়া, কয়েকজন পদত্যাগ করেছেন এবং কিছু বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে অপসারণ করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ১৫ অক্টোবর রাতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা ফেসবুকে ঘোষণা দেন হাইকোর্টের “দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর” বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে। এর পর ১৬ অক্টোবর দুপুরে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে হাইকোর্টে প্রবেশ করে অবস্থান নেয়। এই সময় কিছু বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তৎকালীন রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা শিক্ষার্থীদের জানান, পদত্যাগ বা অপসারণের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে নেওয়া হয়।

বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয় ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও অন্য দুই বিচারপতি—মো. আশফাকুল ইসলাম ও জুবায়ের রহমান চৌধুরী—এ কাউন্সিল পরিচালনা করছেন। কাউন্সিল অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করে এবং তদন্ত শেষে কয়েকজন বিচারপতিকে অপসারণ করা হয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ পত্র জমা দেন, যা ৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন। এর আগে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান এবং আশীষ রঞ্জন দাস অবসর গ্রহণ করেছেন। বিচারপতি খিজির হায়াত ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে যথাক্রমে ১৮ মার্চ ও ২১ মে অপসারণ করা হয়। এছাড়া, চার বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত চলমান। সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখার উদ্যোগ চলমান থাকবে।


প্রিন্ট