ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিশ্ব কেন ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখতে পায় না? Logo কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জন নিহত Logo উগান্ডা থেকে নিউইয়র্ক—সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানির অভূতপূর্ব উত্থান Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা

স্ত্রীর মাথায় ইটের আঘাত – কর্ণফুলীর সেই ঘাতক স্বামী অবশেষে র‌্যাবের ফাঁদে আটক

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী থানার চাঞ্চল্যকর স্ত্রী হত্যা মামলার মূল আসামি ও পলাতক ঘাতক স্বামী মোঃ আজিজ মিয়া (৫০) অবশেষে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ভোররাতে বান্দরবান জেলার লামা থানার মাস্টারপাড়া এলাকায় র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ভিকটিম ছিলেন গার্মেন্টস কর্মী। কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা এলাকায় ভাড়া বাসায় তিনি স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। ৩০ জুলাই রাতে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পর স্বামী আজিজ মিয়ার সাথে পারিবারিক কলহের জেরে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আজিজ মিয়া ঘরের ইট দিয়ে স্ত্রীকে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।

রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবেশীরা আহত ভিকটিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহতের বড় মেয়ে বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা (মামলা নং-৩১, তারিখ ৩০ জুলাই ২০২৫ইং, ধারা-৩০২ পেনাল কোড) দায়ের করেন। মামলায় স্বামী আজিজ মিয়াকে এজাহারনামীয় প্রধান আসামি করা হয়। মামলার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব-৭ আসামিকে ধরতে ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, আজিজ মিয়া আত্মগোপনে বান্দরবানের লামা থানার মাস্টারপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। পরবর্তীতে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের যৌথ টিম অভিযান চালিয়ে ভোররাতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান— “এটি ছিল একটি পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব কেন ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখতে পায় না?

স্ত্রীর মাথায় ইটের আঘাত – কর্ণফুলীর সেই ঘাতক স্বামী অবশেষে র‌্যাবের ফাঁদে আটক

আপডেট সময় ০৬:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী থানার চাঞ্চল্যকর স্ত্রী হত্যা মামলার মূল আসামি ও পলাতক ঘাতক স্বামী মোঃ আজিজ মিয়া (৫০) অবশেষে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ভোররাতে বান্দরবান জেলার লামা থানার মাস্টারপাড়া এলাকায় র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ভিকটিম ছিলেন গার্মেন্টস কর্মী। কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা এলাকায় ভাড়া বাসায় তিনি স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। ৩০ জুলাই রাতে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পর স্বামী আজিজ মিয়ার সাথে পারিবারিক কলহের জেরে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আজিজ মিয়া ঘরের ইট দিয়ে স্ত্রীকে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।

রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবেশীরা আহত ভিকটিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহতের বড় মেয়ে বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা (মামলা নং-৩১, তারিখ ৩০ জুলাই ২০২৫ইং, ধারা-৩০২ পেনাল কোড) দায়ের করেন। মামলায় স্বামী আজিজ মিয়াকে এজাহারনামীয় প্রধান আসামি করা হয়। মামলার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব-৭ আসামিকে ধরতে ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, আজিজ মিয়া আত্মগোপনে বান্দরবানের লামা থানার মাস্টারপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। পরবর্তীতে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের যৌথ টিম অভিযান চালিয়ে ভোররাতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান— “এটি ছিল একটি পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”


প্রিন্ট