ভোলায় রাষ্ট্রপতির বক্তব্য ও কুরুন কান্না মিশানো ঈদের শুভেচ্ছা।
- আপডেট টাইম : ০৭:৪৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৫ মে ২০২১
- / ২৯৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, সময়ের কন্ঠ, ভোলা, বরিশাল, বাংলাদেশ।।
সমগ্র ভোলা জেলা জুড়ে রাজনৈতিক ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর ঢল নেমেছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির বক্তব্য ও কুরুন কান্না। ঈদুল ফিতরের সারা দিনের মেঘলা আকাশ, বৈরী আবহাওয়া ও মুষলে পড়া বৃষ্টি সকলের আনন্দকে প্রকৃতি – তার স্থগিতাদেশ দিয়েছে। গত ১৩/০৫/২০২১ ইং তারিখে ঈদের চাঁদ দেখার সাথে সাথে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের শুরুতে থাকা “রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ,,,,” উক্তি দিয়ে এবার ভোলা জেলার ঈদের আনন্দ শুরু হয়েছিল। ১৪/০৫/২০২১ ইং তারিখে মসজিদে মসজিদে ভোরের (ফজরের) আযানের শব্দ দিয়েই ঘরে ঘরে ঈদের মিষ্টান্ন রান্না শুরু হয়। বেলা গড়াতেই মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাতে জামাতে ঈদের নামাজ সম্পন্ন হয়। ভোলা জেলার বেশীরভাগ মসজিদে ঈদের জামাতের জন্য সময় সকাল আটটা দেওয়া হলেও কোন মসজিদেই ঈদের নামাজের জামায়াত জাষ্ট আটটায় শুরু হয় নাই। তবে বিভিন্ন কার্যক্রম সহকারে কোন জামায়াতই বেলা দশটা পঞ্চাশ মিনিটের পর থাকে নাই। ভোলা জেলায় একাধিক মাজহাবের অনুসারী বান্দা থাকলেও ভিন্ন ভিন্ন মাজহাবী জামায়াত কোথায়ও হয় নাই। পাশাপাশি একাধিক মাজহাবের জামায়াত এর একাধিক ধর্মীয় নিয়ম-কানুন রীতিনীতি থাকা সত্ত্বেও ঈদুল ফিতরের নামাজের ঈমামতি নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মারামারি, খুনাখুনী, হানাহানি, হামলা-পাল্টা হামলা ও মামলা-মোকদ্দমার উপাদান থাকলেও কোথায়ও কোন মারামারি, খুনাখুনী, হানাহানি, হামলা-পাল্টা হামলা ও মামলা – মোকদ্দমার খবর পাওয়া যায় নাই। মসজিদে মসজিদে হামাস বাহিনী ও ইসরাইল বাহিনীর মত পক্ষ-প্রতিপক্ষের মধ্যে মারামারি, খুনাখুনী, হানাহানি, হামলা-পাল্টা হামলা ও মামলা-মোকদ্দমার খবর উৎপাদন হয় নাই। বেঙ্গল ভেরিয়্যান্ট ও ইন্ডিয়ান টাইপ সহ চলমান বিপর্যয়কর বৈশ্বিক ভয়াবহ মহামারির প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর মহাদূর্যোগ নিয়ন্ত্রণে মেধাহীন, অদক্ষ ও জ্ঞানহীন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে করোনা নিয়ন্ত্রনের কিংকর্তব্যবিমূঢ় উক্তির সাথে সাথে অপবিত্র সমগ্র বাংলাদেশের ঈদের আনন্দ নস্যাৎ করার জন্য সারা ভোলা জেলা জুড়ে মুষলধারে বৃষ্টি নামে। দুপুর গড়িয়ে না আসা পর্যন্ত বৃষ্টি থামে নাই। দুপুরের পরে বিকেল থেকেই বিভিন্ন এলাকার বাড়ী বাড়ী কুকুরের কান্না শুরু হয়। পাঁচ হতে ত্রিশ সেকেন্ড যাবৎ এক একটি কুরুন উক্ত কান্না পরিলক্ষিত হয়। সন্ধ্যার সাথে আবারো বৃষ্টি নামে। চল্লিশ মিনিট যাবৎকাল বৃষ্টি স্থায়ী হয়। রাত্র নেমে আসায় সারাদিনের বৃষ্টিপাতের হিসেব কেউই করতে পারে নাই। এদিকে ভোলা জেলার মানুষের অনেকেই ফেইসবুকে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক জমজমাট ঈদের শুভেচ্ছা বিলিয়েছে। সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, ভোলা জেলার চলমান চার আসনের চার সাংসদই ঈদের শুভেচ্ছা- ঈদ মোবারক জানিয়েছে। তাদের প্রতিপক্ষ প্রার্থীগনও রাজনৈতিক ঈদ মোবারক জানাতে ভুল করে নাই। তৃনমূলের বিভিন্ন পর্যায়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর সারিতে এবার চরফ্যাশনের বেশী লোকের নামের খোঁজ-খবর পাওয়া গেছে। চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন আখন, চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়র এইচ এম মোর্শেদ, ছয় নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর কাজী মোঃ মনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, চফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুল আলম খোকন, আসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজুল ইসলাম, হাজারিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম হাওলাদার, চরমাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, মুজিব নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, চরমাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হক জমাদার (বীরমুক্তিযোদ্ধা), আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফখরুল ইসলাম, নুরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজিম হাওলাদার, আবুবকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজ জমাদার সহ অনেকেই এলাকাবাসীদের সাথে ঈদ মোবারক, কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার খবর পাওয়া গেছে এছাড়াও গত ১১/০৪/২০২১ তারিখের নির্বাচনের বিভিন্ন ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থীগন ঈদের রাজনৈতিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানাতে দেখা গেছে। বৃদ্ধের শাস্ত্র হতে জানা যায় যে, কুকুরের কান্নার পেছনে মারাত্মক দূর্যোগ লুকিয়ে থাকে। অনেকেই বলেছে যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে জাপানের বাড়ী বাড়ী কুরুন কান্না করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেও কুরুন কান্না ও বিলাপের খবর পাওয়া গিয়েছিল। ইংরেজী ১৯৭০ সালের বন্যার আগে বাংলাদেশের ভোলা জেলায় কুকুরের কান্না শুরু হয়েছিল। ই-কোলাই ভাইরাস, সার্স ভাইরাস, মোর্স ভাইরাস, ইবোলা ভাইরাস, কলেরা ভাইরাস ও প্লাজমোডিয়াম ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সৃষ্টির আগে তদানীন্তন মানুষেরা – ভোলা জেলার অদ্য ঈদের দিনের মত কুরুন কান্না করার দৃশ্য দেখতে পাওয়ার খোঁজ মেলে। ছবিতে ঈদের চাঁদের দৃশ্য।