বনানীতে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন, কোটি টাকার ক্ষতি
- আপডেট টাইম : ০৮:১৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১২ মে ২০২১
- / ৩১৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
রাজধানীর বনানী ১১ নম্বর রোডের একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকা- ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪২ মিনিটের দিকে বনানীর ১১ নম্বর রোডের ওই ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলায় স্যামসাং মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠান ফেয়ার গ্রুপের অফিসে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ভবনের তৃতীয় তলার একটি স্থানে স্পার্ক হয়ে আগুনের সূত্রপাত এবং এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেয়ার গ্রুপের কর্মকর্তারা।
প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা দাবি করেছেন, তিন দফায় ফায়ার ইস্টিংগুইশার ব্যবহারের পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় অফিসের কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে ভবনের ছাদে উঠেন। এরপর পাশের ভবনে লাফিয়ে পড়েন।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার জানান, দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। ফায়ার ফাইটাররা জানান, আগুনের কারণে পুরো ভবন কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ভবনের লোকজন সিঁড়ি জাতীয় একটি মাধ্যম ব্যবহার করে লাফিয়ে পাশের একটি ভবনে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। এভাবে প্রায় ১০০ জন পাশের ভবনের ছাদে গিয়ে জীবন রক্ষা করেন বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ফায়ার ফাইটারদের ভবনের থাই গ্লাস ভেঙে ভবনের ভেতরে আটকে থাকা ধোয়া বের করছেন। ভবনের আশপাশ থেকে মানুষজন ও যানবাহন সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ফেয়ার গ্রুপের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (বিপণন) কামরুল আহসান বলেন, অফিসে তিন ফ্লোর মিলে প্রায় ৩০০ জন কাজ করেন। আগুনের সূত্রপাত ঘটে তৃতীয় তলায়।
তিনি বলেন, প্রথমে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। স্পার্ক হতে হতে কাছে থাকা একটি কম্পিউটারের সিপিউতে আগুন লেগে যায়। এরপর ধীরে ধীরে ধোয়া ও আগুন বেড়ে পুরো ফ্লোরে ছড়িয়ে যায়। প্রথমে আমরা ফায়ার ইস্টিংগুইশার ব্যবহার করি। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে সব ছেড়ে বেরিয়ে আসি।
তিনি জানান, তিন তলার সবই পুড়ে গেছে। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জনের ডেস্ক, কম্পিউটারের মনিটর, সিপিউ, দামি সব ল্যাপটপ মোবাইল পুড়ে গেছে। কোটি টাকার বেশি মালামাল পুড়ে গেছে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ফেয়ার গ্রুপের হেড অব মার্কেটিং তানসিন কবীর বলেন, প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তিন তলার অফিস পুরো অন্ধকার হয়ে যায়। আমরা জীবন বাঁচাতে এদিক সেদিক ছুটতে থাকি। পাশের ভবনের লোকজন আমাদের ছাদ থেকে তাদের ছাদে মই ব্যবহারে যেতে সাহায্য করে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক নিয়াজ আহমেদ বলেন, ধোয়ার কারণে ভেতরে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। তেজগাঁও ও বারিধারা ইউনিটের সহযোগীতায় ১২টা ৫৫ মিনিটে আগুন নির্বাপণ করা হয়। অগ্নিকা-ের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, আগুনের কারণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে ফেয়ার গ্রুপের কর্মীরা জানিয়েছেন তিন তলার একটি জায়গা থেকে স্পার্ক হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।