ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের থানায় মামলার বাদীকে মারধর, গুলির চেষ্টা রংপুরে উপপুলিশ কমিশনার শিবলি কায়সার চাতলপাড় ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অনুষ্ঠিত মোংলায় জামায়াতের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কোস্টগার্ডের অভিযানে ২৮ কেজি হরিণের মাংস সহ আটক ১ খুলনা বিএনপি নেতা নিজ ভাবীকে ধর্ষণ চেষ্টায় আদালতে মামলা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস শত্রুর যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত ইরান ৯ মিনিটেই শেষ ট্রেনের টিকিট, আধাঘণ্টায় ২০ লাখ হিট জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে সারা দেশের ন্যায় আজমিরীগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত 

মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
  • / ৩৬৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে চঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সাবেক এই এসপিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে।বাবুল আক্তারের জিজ্ঞাসাবাদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে উপস্থিত হন বাবুল আক্তার।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মামলার বাদী হিসেবে বাবুল আক্তার মঙ্গলবার চট্টগ্রাম গেছেন।তিনি মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন।এটাকে জিজ্ঞাসাবাদ বা তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া, যে কোনো কিছুই বলা যেতে পারে।

বাবুল আক্তার স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী হলেও তার শ্বশুরের অভিযোগ, জামাই বাবুল আক্তারই তার মেয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডের বাসার অদূরে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। মোটরসাইকেলে আসা তিন হামলাকারী মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, গত কয়েক বছরে চাকরিকালীন সময়ে চট্টগ্রামে জঙ্গি দমন অভিযানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন বাবুল আক্তার। আর এ কারণে জঙ্গিদেরই টার্গেটে ছিলেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ঘটনার দু’দিন আগে বদলিজনিত কারণে ঢাকায় আসেন এসপি বাবুল আক্তার। ঘটনার দিন ৫ জুন তার নতুন কর্মস্থলে যোগ দেয়ার কথা ছিল। আর এ দিনই ঘটে যায় মর্মান্তিক এ ঘটনা।

এ ঘটনায় নানা জল্পনা-কল্পনার পর বাবুল আক্তারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আলোচিত এই হত্যা মামলা শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও চার্জশিট দিতে না পারায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্ত ভার ডিবি থেকে পিবিআইকে দেন আদালত।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ

আপডেট টাইম : ০১:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে চঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সাবেক এই এসপিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে।বাবুল আক্তারের জিজ্ঞাসাবাদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে উপস্থিত হন বাবুল আক্তার।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মামলার বাদী হিসেবে বাবুল আক্তার মঙ্গলবার চট্টগ্রাম গেছেন।তিনি মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন।এটাকে জিজ্ঞাসাবাদ বা তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া, যে কোনো কিছুই বলা যেতে পারে।

বাবুল আক্তার স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী হলেও তার শ্বশুরের অভিযোগ, জামাই বাবুল আক্তারই তার মেয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডের বাসার অদূরে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। মোটরসাইকেলে আসা তিন হামলাকারী মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, গত কয়েক বছরে চাকরিকালীন সময়ে চট্টগ্রামে জঙ্গি দমন অভিযানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন বাবুল আক্তার। আর এ কারণে জঙ্গিদেরই টার্গেটে ছিলেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ঘটনার দু’দিন আগে বদলিজনিত কারণে ঢাকায় আসেন এসপি বাবুল আক্তার। ঘটনার দিন ৫ জুন তার নতুন কর্মস্থলে যোগ দেয়ার কথা ছিল। আর এ দিনই ঘটে যায় মর্মান্তিক এ ঘটনা।

এ ঘটনায় নানা জল্পনা-কল্পনার পর বাবুল আক্তারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আলোচিত এই হত্যা মামলা শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও চার্জশিট দিতে না পারায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্ত ভার ডিবি থেকে পিবিআইকে দেন আদালত।