ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঘায় সৎ ভাইয়ের হাতে হত্যা হলো সাদেক আলী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ঠাকুরগাঁওয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস দখল আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০১:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
  • / ৩৮৩ ১৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে চঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সাবেক এই এসপিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে।বাবুল আক্তারের জিজ্ঞাসাবাদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে উপস্থিত হন বাবুল আক্তার।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মামলার বাদী হিসেবে বাবুল আক্তার মঙ্গলবার চট্টগ্রাম গেছেন।তিনি মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন।এটাকে জিজ্ঞাসাবাদ বা তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া, যে কোনো কিছুই বলা যেতে পারে।

বাবুল আক্তার স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী হলেও তার শ্বশুরের অভিযোগ, জামাই বাবুল আক্তারই তার মেয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডের বাসার অদূরে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। মোটরসাইকেলে আসা তিন হামলাকারী মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, গত কয়েক বছরে চাকরিকালীন সময়ে চট্টগ্রামে জঙ্গি দমন অভিযানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন বাবুল আক্তার। আর এ কারণে জঙ্গিদেরই টার্গেটে ছিলেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ঘটনার দু’দিন আগে বদলিজনিত কারণে ঢাকায় আসেন এসপি বাবুল আক্তার। ঘটনার দিন ৫ জুন তার নতুন কর্মস্থলে যোগ দেয়ার কথা ছিল। আর এ দিনই ঘটে যায় মর্মান্তিক এ ঘটনা।

এ ঘটনায় নানা জল্পনা-কল্পনার পর বাবুল আক্তারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আলোচিত এই হত্যা মামলা শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও চার্জশিট দিতে না পারায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্ত ভার ডিবি থেকে পিবিআইকে দেন আদালত।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ

আপডেট টাইম : ০১:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে চঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সাবেক এই এসপিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে।বাবুল আক্তারের জিজ্ঞাসাবাদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে উপস্থিত হন বাবুল আক্তার।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মামলার বাদী হিসেবে বাবুল আক্তার মঙ্গলবার চট্টগ্রাম গেছেন।তিনি মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন।এটাকে জিজ্ঞাসাবাদ বা তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া, যে কোনো কিছুই বলা যেতে পারে।

বাবুল আক্তার স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী হলেও তার শ্বশুরের অভিযোগ, জামাই বাবুল আক্তারই তার মেয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডের বাসার অদূরে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। মোটরসাইকেলে আসা তিন হামলাকারী মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, গত কয়েক বছরে চাকরিকালীন সময়ে চট্টগ্রামে জঙ্গি দমন অভিযানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন বাবুল আক্তার। আর এ কারণে জঙ্গিদেরই টার্গেটে ছিলেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ঘটনার দু’দিন আগে বদলিজনিত কারণে ঢাকায় আসেন এসপি বাবুল আক্তার। ঘটনার দিন ৫ জুন তার নতুন কর্মস্থলে যোগ দেয়ার কথা ছিল। আর এ দিনই ঘটে যায় মর্মান্তিক এ ঘটনা।

এ ঘটনায় নানা জল্পনা-কল্পনার পর বাবুল আক্তারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আলোচিত এই হত্যা মামলা শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও চার্জশিট দিতে না পারায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্ত ভার ডিবি থেকে পিবিআইকে দেন আদালত।