ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

আবাসনের গৃহবধুকে পেটাল প্রভাবশালী পরিবার। 

জাহাঙ্গীর আলম,  দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।।
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার দূর্গাপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে মারধরের ঘটনায় প্রতিপক্ষের আঁঘাতে মঞ্জুয়ারা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধু আহত হয়ে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার গড়পিংলাই আবাসন এলাকার হোসেন আলির স্ত্রী। মঞ্জুয়ারা বেগম আবাসনের আনিছুর রহমানের মেয়ে।
৫ মে বুধবার দুপুরে বিরাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের বেডে  সংজ্ঞাহীন মঞ্জুয়ারা বেগমের মা রেজিনা খাতুন জানান, ৪ মে বেলা ১২ টার সময় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে বিরামপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিন ওরফে মসলোর ছেলে মতিয়ার রহমান (৫৫) ও তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম (৪০) স্বামী-স্ত্রীতে একযোগে মঞ্জুয়ারার শ্লীতাহানি করে চুলের মুঠিধরে। এরপর উভয়েই ঝাড়ু দিয়ে পাটানোর এক পর্যায়ে কিলঘূঁষি ও লাথি মারতে থাকে। এ সময় প্রতিবেশি পারুল বেগম, মৌসুমী বেগম, আজাহার আলিসহ আরো অনেকেই এগিয়ে এসে তাকে অজ্ঞান অবস্থা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেয়।  এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করতে দুপুরে ঘটনাস্থল দূর্গাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে উপস্থিত হলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরাসহ মতিয়ার রহমানের পিতা মোসলেম উদ্দিন ওরফে মসলো মারধরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে বিবাদী মতিয়ার রহমান ও তা স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে তাদের পাওয়া যায় নাই।
এ সময় গড়পিংলাই আবাসনের পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন মারধরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঞ্জুয়ারা বেগম একজন হতদরিদ্র ও ভূমিহীন গৃহবধু। তার উন্নতর চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ সঠিক আইনি সহায়তা দাবী  জানিয়েছেন।
মঞ্জুয়ারার মা রেজিয়া খাতুন (৫৫) কান্নায় অশ্রুসিক্ত অবস্থায় জানান, মেয়েকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে মতিয়ার রহমান তার হাতধরে গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে রেজিনার শরীরে প্রচন্ড আঁঘাত লেগেছে।
এলাকার সর্বস্তরের সচেতন মহল আবাসনে অবস্থানরত হতদরিদ্র ও ভূভিহীন গৃহবধুর শ্লীতাহানি ও অন্যায় ভাবে মারধরের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনপূর্বক ন্যায় সুবিচারের জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষপ কামনা করেছেন।।
আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

পাহাড় পুর বাজারে ক্ষমতার দাপটে সরকারি শৌচাগার বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মাণ,

আবাসনের গৃহবধুকে পেটাল প্রভাবশালী পরিবার। 

আপডেট টাইম : ০১:১২:১৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ মে ২০২১
জাহাঙ্গীর আলম,  দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।।
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার দূর্গাপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে মারধরের ঘটনায় প্রতিপক্ষের আঁঘাতে মঞ্জুয়ারা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধু আহত হয়ে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার গড়পিংলাই আবাসন এলাকার হোসেন আলির স্ত্রী। মঞ্জুয়ারা বেগম আবাসনের আনিছুর রহমানের মেয়ে।
৫ মে বুধবার দুপুরে বিরাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের বেডে  সংজ্ঞাহীন মঞ্জুয়ারা বেগমের মা রেজিনা খাতুন জানান, ৪ মে বেলা ১২ টার সময় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে বিরামপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিন ওরফে মসলোর ছেলে মতিয়ার রহমান (৫৫) ও তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম (৪০) স্বামী-স্ত্রীতে একযোগে মঞ্জুয়ারার শ্লীতাহানি করে চুলের মুঠিধরে। এরপর উভয়েই ঝাড়ু দিয়ে পাটানোর এক পর্যায়ে কিলঘূঁষি ও লাথি মারতে থাকে। এ সময় প্রতিবেশি পারুল বেগম, মৌসুমী বেগম, আজাহার আলিসহ আরো অনেকেই এগিয়ে এসে তাকে অজ্ঞান অবস্থা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেয়।  এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করতে দুপুরে ঘটনাস্থল দূর্গাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে উপস্থিত হলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরাসহ মতিয়ার রহমানের পিতা মোসলেম উদ্দিন ওরফে মসলো মারধরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে বিবাদী মতিয়ার রহমান ও তা স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে তাদের পাওয়া যায় নাই।
এ সময় গড়পিংলাই আবাসনের পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন মারধরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঞ্জুয়ারা বেগম একজন হতদরিদ্র ও ভূমিহীন গৃহবধু। তার উন্নতর চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ সঠিক আইনি সহায়তা দাবী  জানিয়েছেন।
মঞ্জুয়ারার মা রেজিয়া খাতুন (৫৫) কান্নায় অশ্রুসিক্ত অবস্থায় জানান, মেয়েকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে মতিয়ার রহমান তার হাতধরে গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে রেজিনার শরীরে প্রচন্ড আঁঘাত লেগেছে।
এলাকার সর্বস্তরের সচেতন মহল আবাসনে অবস্থানরত হতদরিদ্র ও ভূভিহীন গৃহবধুর শ্লীতাহানি ও অন্যায় ভাবে মারধরের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনপূর্বক ন্যায় সুবিচারের জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষপ কামনা করেছেন।।