ঢাকা ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ঘাড় ধরে তাড়ানো হবে দালাল বিচারকদের ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিশিয়াল বিচারকদের বিরুদ্ধে আইনজীবী নেতৃবৃেন্দর হুশিয়ারী মোংলায় ক্রয়কৃত জমি দখলের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক আওয়ামী জোটের নেতা মেননের ২৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ফুলবাড়ীতে ইউপি সদস্যদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন ঠাকুরগাঁওয়ে আম্পায়ার এন্ড স্কোয়ার্স এসোসিয়েশন এর পরিচিতি সভা হাইকোর্টের ১২ বিচারপতি চিরতরে অবসরে পাঠালেন বিচারকাজে অংশ নিতে পারবেন না আয়নাঘরের মূলহোতা আমি, এসব কিভাবে বানান’ আদালতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান হাইকোর্ট ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা মোংলায় ৫ লক্ষ টাকার ঘের দখলের অভিযোগ

আওয়ামী লীগ সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে আছে, থাকবে’

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২ মে ২০২১
  • / ২৪০ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত নিম্নআয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবার এবং অতিসম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১ লাখ কৃষক পরিবারে নগদ সহায়তা কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে আছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার পাশাপাশি দলীয়ভাবেও আমরা মানুষের পাশে আছি।’

তিনি বলেন, ‘করোনায় কৃষকের ধান কাটার সমস্যা ছিল। আমি বলার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ মানুষের ধান কেটে দিয়েছে। এভাবে সব দুর্যোগ দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে থাকে।’

আজ রবিবার (২ মে) প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নগদ অর্থসহায়তা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। আমরা সব সময় চিন্তা করি কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াব, মানুষকে সহযোগিতা করবো। আওয়ামী লীগ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই কাজ করে যাচ্ছে।’

এদিন নগদ সহায়তা হিসেবে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশা-ভ্যান চালক, মোটরশ্রমিক, কর্মহীন বিভিন্ন পেশার ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

আগামী তিনদিনের মধ্যে এসব পরিবারের কাছে নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে জিটুপি (গর্ভনমেন্ট টু পার্সন) ভিত্তিতে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পৌঁছে যাবে।

এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবে। এ বাবদ সরকারের ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ৪ এপ্রিল সংঘটিত ঝোড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ৩৬টি জেলার ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৯ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ১০ হাজার ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৫৯,৩২৬ হেক্টর ফসলি জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়। এতে ১ লাখ কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এছাড়া কোভিড-১৯ এর ফলে কর্মহীন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদেরকে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচেনার সুপারিশ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ বাবদ ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন হচ্ছে।

এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মুজিববর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে যাচাই-বাছাই করে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ মে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের জিটুপি পদ্ধতিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এবারের নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের বাজেটের অধীন ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় তহবিল’-এ বরাদ্দ অর্থ থেকে যোগান দেওয়া হচ্ছে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১৪ এপ্রিল তারিখ থেকে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, গৃহকর্মী, মোটর শ্রমিকসহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিতদের পুনরায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রতি ২৫০০ টাকা করে প্রদানের সুপারিশ করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আওয়ামী লীগ সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে আছে, থাকবে’

আপডেট টাইম : ০৮:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২ মে ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত নিম্নআয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবার এবং অতিসম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১ লাখ কৃষক পরিবারে নগদ সহায়তা কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে আছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার পাশাপাশি দলীয়ভাবেও আমরা মানুষের পাশে আছি।’

তিনি বলেন, ‘করোনায় কৃষকের ধান কাটার সমস্যা ছিল। আমি বলার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ মানুষের ধান কেটে দিয়েছে। এভাবে সব দুর্যোগ দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে থাকে।’

আজ রবিবার (২ মে) প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নগদ অর্থসহায়তা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। আমরা সব সময় চিন্তা করি কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াব, মানুষকে সহযোগিতা করবো। আওয়ামী লীগ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই কাজ করে যাচ্ছে।’

এদিন নগদ সহায়তা হিসেবে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশা-ভ্যান চালক, মোটরশ্রমিক, কর্মহীন বিভিন্ন পেশার ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

আগামী তিনদিনের মধ্যে এসব পরিবারের কাছে নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে জিটুপি (গর্ভনমেন্ট টু পার্সন) ভিত্তিতে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পৌঁছে যাবে।

এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবে। এ বাবদ সরকারের ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ৪ এপ্রিল সংঘটিত ঝোড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ৩৬টি জেলার ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৯ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ১০ হাজার ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৫৯,৩২৬ হেক্টর ফসলি জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়। এতে ১ লাখ কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এছাড়া কোভিড-১৯ এর ফলে কর্মহীন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদেরকে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচেনার সুপারিশ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ বাবদ ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন হচ্ছে।

এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মুজিববর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে যাচাই-বাছাই করে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ মে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের জিটুপি পদ্ধতিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এবারের নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের বাজেটের অধীন ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় তহবিল’-এ বরাদ্দ অর্থ থেকে যোগান দেওয়া হচ্ছে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১৪ এপ্রিল তারিখ থেকে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, গৃহকর্মী, মোটর শ্রমিকসহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিতদের পুনরায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রতি ২৫০০ টাকা করে প্রদানের সুপারিশ করা হয়।