ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভৈরবে ব্যবসায়ী কে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টা ও চোখ উৎপাটনকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আকবর নগর বাস স্টেশনে সামনে আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা ঠেকাতে কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ বুবলীর কর্মকাণ্ড দেখে অপু বিশ্বাসকে যা বলেন শাকিব খান পাথরঘাটায় জামায়াতের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত বিধ্বস্তের আগে সাহায্য চেয়ে পাইলটের বার্তা, এরপর সব নিস্তব্ধ ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বলল ইসলামী আন্দোলন ১৪৫ বছরে যা হয়নি, লর্ডস দেখেছে সেই কীর্তি কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অস্বীকৃতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মারধরের পর স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতন, স্বামী গ্রেপ্তার

নড়াইল সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : ০৬:১০:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / ২ ১৫০.০০০ বার পাঠক

নওগাঁর মহাদেবপুরে যৌতুকের দাবিতে হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের পর ঘরে আটকে রেখে এক গৃহবধূর মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী মিনহাজ হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। এর আগে ঈদের পরের দিন (রোববার) বিকেলে উপজেলার শিবরামপুর দক্ষিণপাড়ায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ৪ বছর আগে একই গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে হেরা খানমের (২০) সঙ্গে জিয়াউল হকের ছেলে মিনহাজ হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আড়াই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মিনহাজ যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন। ঈদের পরের দিন রোববার বিকেলে আবারও যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হেরা খাতুনকে হাত-পা বেঁধে ঘরে আটকে রেখে মারপিট করতে থাকেন তিনি।

মারপিটের একপর্যায়ে কাঁচি দিয়ে তার মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। পরে তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ঘরে আটকে রেখে পালিয়ে যান স্বামী মিনহাজ। সন্ধ্যার দিকে তার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। খবর পেয়ে পরদিন সোমবার বিকেলে হেরার বাবা-মা ঢাকা থেকে এসে মেয়ের চিকিৎসা করান।

গৃহবধূ হেরার বাবা হারুন জানান, অভাবের সংসারে পেটের দায়ে ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। ঈদেও বাড়ি আসতে পারেননি তারা। মেয়েকে নির্যাতনের খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে এসে মেয়ের চিকিৎসা করান। তার মেয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে জামাই মিনহাজ তার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে। রোববার বিকালে আবারও যৌতুকের দাবিতে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে ৩-৪ ঘণ্টা ঘরে আটকে রেখে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। জামাই মিনহাজ এর আগে তাকে এবং তার মেয়েকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতসহ বিভিন্ন সময়ে মারপিট করেছে।

এ ঘটনায় হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে মিনহাজ হোসেনকে আসামি করে মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

মহাদেবপুর থানার (ওসি) মো. শাহীন রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মিনহাজকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মারধরের পর স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতন, স্বামী গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৬:১০:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

নওগাঁর মহাদেবপুরে যৌতুকের দাবিতে হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের পর ঘরে আটকে রেখে এক গৃহবধূর মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী মিনহাজ হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। এর আগে ঈদের পরের দিন (রোববার) বিকেলে উপজেলার শিবরামপুর দক্ষিণপাড়ায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ৪ বছর আগে একই গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে হেরা খানমের (২০) সঙ্গে জিয়াউল হকের ছেলে মিনহাজ হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আড়াই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মিনহাজ যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন। ঈদের পরের দিন রোববার বিকেলে আবারও যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হেরা খাতুনকে হাত-পা বেঁধে ঘরে আটকে রেখে মারপিট করতে থাকেন তিনি।

মারপিটের একপর্যায়ে কাঁচি দিয়ে তার মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। পরে তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ঘরে আটকে রেখে পালিয়ে যান স্বামী মিনহাজ। সন্ধ্যার দিকে তার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। খবর পেয়ে পরদিন সোমবার বিকেলে হেরার বাবা-মা ঢাকা থেকে এসে মেয়ের চিকিৎসা করান।

গৃহবধূ হেরার বাবা হারুন জানান, অভাবের সংসারে পেটের দায়ে ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। ঈদেও বাড়ি আসতে পারেননি তারা। মেয়েকে নির্যাতনের খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে এসে মেয়ের চিকিৎসা করান। তার মেয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে জামাই মিনহাজ তার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে। রোববার বিকালে আবারও যৌতুকের দাবিতে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে ৩-৪ ঘণ্টা ঘরে আটকে রেখে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। জামাই মিনহাজ এর আগে তাকে এবং তার মেয়েকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতসহ বিভিন্ন সময়ে মারপিট করেছে।

এ ঘটনায় হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে মিনহাজ হোসেনকে আসামি করে মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

মহাদেবপুর থানার (ওসি) মো. শাহীন রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মিনহাজকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।