ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শতাধিক আহত ভৈরবে ব্যবসায়ী কে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টা ও চোখ উৎপাটনকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আকবর নগর বাস স্টেশনে সামনে আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা ঠেকাতে কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ বুবলীর কর্মকাণ্ড দেখে অপু বিশ্বাসকে যা বলেন শাকিব খান পাথরঘাটায় জামায়াতের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত বিধ্বস্তের আগে সাহায্য চেয়ে পাইলটের বার্তা, এরপর সব নিস্তব্ধ ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বলল ইসলামী আন্দোলন ১৪৫ বছরে যা হয়নি, লর্ডস দেখেছে সেই কীর্তি কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অস্বীকৃতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

শান্তিতে আছেন সব সম্প্রদায়ের মানুষ – মোংলায় কৃষিবিদ শামীম

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০১:২১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / ৫ ১৫০.০০০ বার পাঠক

ওমর ফারুক : বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মুসলমানদের মতোই হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ আজ দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক-সামাজিক অঙ্গনের কিছু ব্যতিক্রমধর্মী মন্তব্য এলেও বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন।

বুধবার (১১ জুন ২০২৫) মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কারো একার নয়, এ দেশ হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান—সকলের। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এই চিত্র আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরলে তা হবে গর্বের বিষয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন,“বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার আছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, সব সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সব সম্প্রদায়ের লোকজন আজ নিজেদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন এবং স্বাচ্ছন্দ্যে রয়েছে। এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় অর্জন।”

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন তালিম বলেন,
“দেশে বর্তমানে সংখ্যালঘুদের ওপর সরাসরি কোনো দমন-পীড়নের প্রমাণ নেই। বরং তারা নিজ নিজ ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকার ভোগ করছেন, যা বাংলাদেশকে একটি আলোকিত সমাজ হিসেবে তুলে ধরছে।”

মোংলা ও রামপালের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারাও বলেন, তারা সামাজিকভাবে এখন অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করছেন।
হিন্দু কল্যাণ ফ্রন্টের নেতা প্রদীপ বসু সন্তু বলেন,
“আমরা আজ মন্দিরে পূজা দিতে পারছি, জমির ওপর মালিকানা পাচ্ছি, প্রশাসনের সহযোগিতাও পাচ্ছি। এটা ইতিবাচক দিক।”

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শীমুল চন্দ্র রায় বলেন,
“আমরা কারো অনুগ্রহ চাই না, চাই সাংবিধানিক অধিকার। আর সেই অধিকার আমরা আজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাচ্ছি। সরকার, প্রশাসন ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় আমরা শান্তিতে বাস করছি।”

বক্তারা আরও বলেন, ধর্ম যার যার, কিন্তু রাষ্ট্র সবার। ধর্মীয় সম্প্রদায় ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করলে বাংলাদেশ হবে আরও সমৃদ্ধ ও মানবিক রাষ্ট্র।

সমাবেশ শেষে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রামপাল-মোংলা এলাকা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শান্তিতে আছেন সব সম্প্রদায়ের মানুষ – মোংলায় কৃষিবিদ শামীম

আপডেট টাইম : ০১:২১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

ওমর ফারুক : বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মুসলমানদের মতোই হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ আজ দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক-সামাজিক অঙ্গনের কিছু ব্যতিক্রমধর্মী মন্তব্য এলেও বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন।

বুধবার (১১ জুন ২০২৫) মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কারো একার নয়, এ দেশ হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান—সকলের। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এই চিত্র আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরলে তা হবে গর্বের বিষয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন,“বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার আছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, সব সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সব সম্প্রদায়ের লোকজন আজ নিজেদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন এবং স্বাচ্ছন্দ্যে রয়েছে। এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় অর্জন।”

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন তালিম বলেন,
“দেশে বর্তমানে সংখ্যালঘুদের ওপর সরাসরি কোনো দমন-পীড়নের প্রমাণ নেই। বরং তারা নিজ নিজ ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকার ভোগ করছেন, যা বাংলাদেশকে একটি আলোকিত সমাজ হিসেবে তুলে ধরছে।”

মোংলা ও রামপালের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারাও বলেন, তারা সামাজিকভাবে এখন অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করছেন।
হিন্দু কল্যাণ ফ্রন্টের নেতা প্রদীপ বসু সন্তু বলেন,
“আমরা আজ মন্দিরে পূজা দিতে পারছি, জমির ওপর মালিকানা পাচ্ছি, প্রশাসনের সহযোগিতাও পাচ্ছি। এটা ইতিবাচক দিক।”

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শীমুল চন্দ্র রায় বলেন,
“আমরা কারো অনুগ্রহ চাই না, চাই সাংবিধানিক অধিকার। আর সেই অধিকার আমরা আজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাচ্ছি। সরকার, প্রশাসন ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় আমরা শান্তিতে বাস করছি।”

বক্তারা আরও বলেন, ধর্ম যার যার, কিন্তু রাষ্ট্র সবার। ধর্মীয় সম্প্রদায় ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করলে বাংলাদেশ হবে আরও সমৃদ্ধ ও মানবিক রাষ্ট্র।

সমাবেশ শেষে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রামপাল-মোংলা এলাকা।