ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে টাংগাইলের তাঁত শিল্প

- আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
- / ৩৮২ ৪৪৯০.০০০ বার পাঠক
স্টাফ রিপোর্টার।।
টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির খ্যাতি বিশ্বজোড়া। ঈদ-পূজা, পহেলা বৈশাখে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি খুব চাহিদা।
করোনার ভাইরাস প্রথম লকডাউন ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই দ্বিতীয় কঠোর লকডাউন।
এই পরিস্থিতিতে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার তাঁত শিল্প।
জীবিকার তাগিদে দু’একটি পরিবার স্বল্প পরিসরে তাঁত শিল্পের কাজ শুরু করলেও তৈরি করা শাড়ির বেচাকেনা নেই হাট-বাজারে।
এতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছেন তাঁত শ্রমিকরা।
এইভাবে চলতে থাকলে হয়তো একসময় তাঁত থাকলেও তাঁতি থাকবে না।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার রামপুর, বেহালাবাড়ি ও বল্লা গ্রামে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক জীবিকা নির্বাহ করে তাঁত শিল্পে।
উৎপাদিত টাঙ্গাইলের শাড়ি ছড়িয়ে যায় সারা দেশে।
বর্তমান সময়ে তাঁতিরা তাদের শেষ মুহূর্তের ঈদের বাজার ধরতে দিনরাত তাঁত বুনানোর কাজ করে যাচ্ছে কিছু কিছু তাঁতিরা।
এই এলাকায় ৬০০ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পযর্ন্ত টাঙ্গাইলের শাড়ি তৈরি হয়ে থাকে।
বল্লা তাঁত শাড়ির মহাজন’ সাজ্জত জানায়, করোনা ও বন্যায় আমাদের তাঁতের শাড়ি ব্যবসা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ।
আমার দুইটা তাঁতের শাড়ির কারখানা, ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় আমি এখন একটা কারখানা চালাচ্ছি। এভাবে দেশ চললে এ শাড়ির কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।
আমাদের কাছে লাখ লাখ টাকা নেই যে এখন লকডাউন সময় শাড়ি তৈরি করে গুদামজাত করবো এবং সময় ভালো হলে বিক্রি করে সংসার চালাবো। আমি সরকারি কোন সহযোগিতা ও ঋণ পাই নাই।
তাঁত বোর্ড লিয়াজোঁ অফিসার রাধা শ্যাম রায় জানান, কঠোর লকডাউন এর জন্য কিস্তি আদায় কম হচ্ছে। আমাদের এখানে থেকে ক্ষুদ্র ঋণ ১৬৯৫ জন আর বৃহত্তম ২৫ জন পেয়েছে।
কঠোর লকডাউন সরকারি কোন সহযোগিতা তাঁতিরা পাবে কিনা তা আমি জানিনা।