জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে আপনিও পাশে দাঁড়ান
- আপডেট টাইম : ০৫:৩০:২৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১
- / ৩২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ নাসির উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার।।
‘চাই সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক সাংবাদিকতা” শ্লোগানে এবছর পঞ্চমবারের মত দেশে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ-২০২১। সপ্তাহটি সাংবাদিকদের জন্য কী গুরুত্ববহন করে এমন একটা প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে হ্যাঁ। আপনি একজন সাংবাদিক হিসেবে নি:সন্দেহে দাবিটির প্রতি শতভাগ সমর্থন দিতে পারেন।
জানেনতো সমাজের নানা শ্রেণীপেশার লোকজনের বিভিন্ন দিবস ও সপ্তাহ রয়েছে। ওই দিবস ও সপ্তাহের ইস্যুতে তারা নিজ পেশার অধিকার, দাবি ও মর্যাদার লড়াই করে থাকেন। তেমনটি জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহে সাংবাদিকরা তাঁদের পেশার মর্যাদা রক্ষায় নতুন কৌশল গ্রহন করতে পারবেন।
দেশে শিক্ষা সপ্তাহ, কৃষি সপ্তাহ, মৎস্য সপ্তাহ, পুলিশ সপ্তাহ, প্রকৌশলী সপ্তাহ, ফায়ার সপ্তাহসহ রয়েছে অগনিত দিবস। সাংবাদিকদের একটিমাত্র দিবস ৩ মে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দিবস রয়েছে। সেটি বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্র পালন করলেও কিন্তু বাংলাদেশে উদযাপিত হয়না। তাই ৩ মে গণমাধ্যম সপ্তাহকে মাঝে রেখে বিগত ৪ বার স্বল্পপরিসের সারাদেশে উদযাপিত হয়ে আসছে। সপ্তাহটি রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতির দাবিতে ফিবছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিএমএসএফের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পাঠাচ্ছেন দেশের সাংবাদিকরা।
সপ্তাহটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে আজ একাট্টা।
আগামী ১ মে থেকে ৭ মে দেশে ৫মবারের মত উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় গনমাধ্যম সপ্তাহ ২০২১। তবে দেশে চলমান মহামারী করোনা ইস্যুতে অনলাইনে /ভাচু্য়্যালি আলোচনা সভা, ১৪ দফা দাবির প্রচার-প্রচারনার ছাড়া তেমন কোন আনুষ্ঠানিকতা থাকছেনা। আমরা এবছরের আনুষ্ঠানিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
মহামারী করোনার প্রকোপে আমাদের ঐ সকল বড় আয়োজনসহ ঢাকায় ৭মে’র জাতীয় সমাবেশ স্থগিত করেছি।
সাংবাদিক বন্ধুগণ; বিগত ৪বছর ধরে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ সপ্তাহ জুড়ে সাংবাদিকদের নানা সমস্যা-সম্ভাবণার প্রচার-প্রচারণা তুলে ধরে আসছে।
মূলতঃ বিএমএসএফ সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা, সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগি আইন প্রণয়ন, পেশাগত স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার দাবীতে ১৪ দফা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এই ১৪ দফাই সাংবাদিকদের পেটের ক্ষুধা, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা রক্ষার একমাত্র কবজ।
২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ১ মে থেকে ৭ মে গনমাধ্যম সপ্তাহ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবীতে জেলা-উপজেলা থেকে বিগত বছরগুলোতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে আসছে বিএমএসএফ। তবে ২০১৩ সাল থেকে বিএমএসএফ সর্বোপরি সাংবাদিকদের পাশে থেকে কাজ করেছে সাধ্যমত। এই স্বল্পসময়ে দেশব্যাপী বিএমএসএফ’র রয়েছে এক সোনালী অর্জন।
এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহ ব্যাপী নানা আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করে বিএমএসএফ’র জেলা উপজেলা কমিটি। শেষের দিন ৭ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে চল চল ঢাকা চল কর্মসূচী। তবে এ বছর করোনার প্রকোপে তেমন কিছুই থাকছেনা। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে পরবর্তীতে আয়োজন করা হবে। তবে সকল পর্যায়ের সদস্যকে যে যার জায়গায় প্রচারণা চালাতে আহবান করা হয়েছে।
সাংবাদিককতা আজ একটি চরম অসহায় পেশায় পরিণত হয়েছে। সবচে অনিরাপদ পেশাটির নাম হচ্ছে সাংবাদিকতা। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর পেশাটির নাম সাংবাদিকতা। কাজ করে মরে যাবেন, অথচ বেতন পাবেন না এমন পেশাটির নাম সাংবাদিকতা। রাষ্ট্রের হয়ে কাজ করবেন অথচ হুমকি-মামলা-হামলার শিকার হবেন। নিরাপত্তা পাবেন না এমন পেশার নাম সাংবাকিতা। কাজ করবেন পেনশন নাই-টেনশন আছে এমন পেশার নাম সাংবাদিকতা। পোশাক কারখানা,মুদি- চা, হোটেল কর্মচারীর কাজেও নিরাপত্তা মেলে বরং সাংবাদিকতায় নিরাপত্তা নাই। অথচ সাংবাদিকরা মানুষের মানবাধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে বেড়ায়।
দূর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে রাষ্ট্র কর্তৃক এদেশের সাংবাদিকরা আজো পেশার স্বীকৃতিটুকু মেলাতে পারেনি। অথচ বহু নামীদামি সংগঠন রয়েছে। যেমন ছাল নাই বাঘা নাম। স্বাধীনতার ৫০টি বছর কেটে গেলো। অথচ কি পেলো সাংবাদিকরা!
রাষ্ট্রের কাছ থেকে আপনারা সাংবাদিকদের জন্য কী মর্যাদা রক্ষা করতে পেরেছেন? পেরেছেন কি সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন করতে? পেশাটিকে রক্ষার দায়িত্ব সকলের। তাই আসুন, আমরা আমাদের দাবি-অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় ইস্পাত কঠিন শক্ত অবস্থানে দাঁড়াই।
সাংবাদিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে কি পেরেছেন কেউ। পেরেছেন কি সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে আইন প্রণয়ন করতে। পেরেছেন কি সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা দিতে। যদি পারতেন তবে মহামারী করোনার মাঝে প্রতিনিয়ত সাংবাদিক কেন ছাটাই হচ্ছে। মহামারী করোনা ইস্যুতে দেশের সকল পেশার মানুষ সরকারের কাছ থেকে নানা সুবিধা গ্রহন করেছে।
আসুন; সকল দ্বিধাকরণ, দ্বন্দ্ব, হিংসা, বিবেদ ভুলে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আপনিও আমাদের সাথে সোচ্চার হোন।