ঢাকা ০৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ইউনূস- তারেক ঐকমত্যের পরও ভাবাচ্ছে যেসব চ্যালেঞ্জ সামনে আছে আ.লীগ নেতাদের কটাক্ষ করে দেওয়া পোস্টকেও ‘হুমকি’ হিসেবে দেখত হাসিনার সরকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বাইরে দুই সিটির ১৩ ওয়ার্ড ইরান কখনোই পরাজয় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি ১১ মাসে রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা: এনবিআর কোম্পানীগঞ্জে জমিয়তের কর্মী সমাবেশ একাধিক পত্রিকায় জিয়াউর রহমান উপসহকারী প্রকৌশলী বিরুদ্ধে দুনীতি সংবাদ প্রকাশ হওয়া কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রকৌশলী বিপুল কুমার বিশ্বাস রক্ষক যখন ভক্ষক ভেষজ বিজ্ঞানী টিপু সুলতান: কুসুমপুরে সৌখিন কৃষি ও একজন মুক্তিযোদ্ধার মানবসেবায় নিরব বিপ্লব মোংলার সোনাইল তলা এলাকায় ৪২ বিঘা ঘেরে বিষ প্রয়োগ। ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাভার পৌর বিএনপির দুই নেতার কলঙ্কিত অধ্যায়

ড. ইউনূস বিদায় নিতে পারবেন না, বিদায় দেওয়া হবে: মাসুদ কামাল

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৩:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ২৫ ১৫০.০০০ বার পাঠক

‘ড. ইউনূস এমন শান্তি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন যেখানে মার খেয়েও চুপ করে থাকতে হয়। আওয়ামী লীগ আমলে আমরা শুনতাম যে বিএনপি নোতকর্মীরা ঘরে থাকতে পারতো না। নদীর চরে গিয়ে থাকতো, জঙ্গলে থাকতো, এগুলো ঘটেছে বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে, যে কারণে আমরা তাদের স্বৈরাচার বলেছি, ফ্যাসিবাদী বলেছি, তাদের দেশ থেকে তাড়িয়েছি। এখন উনি (ড. ইউনূস) যেসব আচরণ শুরু করছেন তাতে ওনাকেও বিদায় দেওয়া হবে, উনি বিদায় নিতে পারবেন না।’

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল।

মাসুদ কামাল বলেন, ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন, কিন্তু ওনার আমলে কি শান্তি বেড়েছে দেশে? রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন, কেউ যদি আপনাকে স্বৈরাচারের দোসর বলে পেটায়, একটা পুলিশও আপনাকে বাঁচাতে আসবে না। এই বাস্তবতার নাম কি শান্তি?

তিনি বলেন, ড. ইউনূসের কিন্তু বোঝা উচিৎ তিনি এখানে কী করছেন। তার সামনে সুযোগ ছিল নিজেকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার। যদি তিনি সবার সঙ্গে মিলেমিশে তিনি কাজগুলো করতেন। কিন্তু তিনি সেটা করছেন না।

ড. ইউনূস সবাইকে নিয়ে কাজ না করার কারণ কী এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ কামাল বলেন, তিনি রাজনীতি বোঝেন না। ২৫ আগস্টে তার দেওয়া বক্তব্যে তিনি অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন— আমরা অন্য জগতের মানুষ। তিনি ‘আমরা’ বলেছেন, মানে তারা (উপদেষ্টা) সবাই। একটা ইন্টারভিউতে তিনি বলেছেন, আমি এগুলা বুঝি না। তখন তাকে প্রশ্ন করা হয়— অন্যরা ভুল করলে তাদের কিছু বলেন না? উত্তরে তিনি বলেন— তাদের কী বলব, আমি নিজেই ভুল করি, আমি নিজেই তো বুঝি না। অনুরোধে ঢেকি গেলা যায় না, ড. ইউনূস অনুরোধে ঢেকি গিলছেন। উনি আবার সেটা বলেন যে এইটা আমি জানি না।

সেই সময়ে ড. ইউনূসের বিকল্প ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ কামাল বলেন, সেটা তো ড. ইউনূসের দেখার ব্যাপার না। এমন বিকল্প নেই সেই কথা শেখ হাসিনাও বলতো। তার কিছু চামচা ছিল; আপনার-আমার বন্ধু ছিলো যারা গিয়ে বলতো— আপা আপনি তো অমর। আপনি মরে গেলে দেশের কী হবে? তো এখন উনি নাই, তাতে কি দেশের কোনো সমস্যা হয়েছে? পৃথিবীতে অপরিহার্য কোনো ব্যক্তি নাই। আর এই বিষয়টা যারা মানতে না পারে তাদের আচার-আচরণে স্বৈরাচারী মনোভাব আছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ড. ইউনূস বিদায় নিতে পারবেন না, বিদায় দেওয়া হবে: মাসুদ কামাল

আপডেট টাইম : ০৬:৪৩:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

‘ড. ইউনূস এমন শান্তি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন যেখানে মার খেয়েও চুপ করে থাকতে হয়। আওয়ামী লীগ আমলে আমরা শুনতাম যে বিএনপি নোতকর্মীরা ঘরে থাকতে পারতো না। নদীর চরে গিয়ে থাকতো, জঙ্গলে থাকতো, এগুলো ঘটেছে বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে, যে কারণে আমরা তাদের স্বৈরাচার বলেছি, ফ্যাসিবাদী বলেছি, তাদের দেশ থেকে তাড়িয়েছি। এখন উনি (ড. ইউনূস) যেসব আচরণ শুরু করছেন তাতে ওনাকেও বিদায় দেওয়া হবে, উনি বিদায় নিতে পারবেন না।’

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল।

মাসুদ কামাল বলেন, ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন, কিন্তু ওনার আমলে কি শান্তি বেড়েছে দেশে? রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন, কেউ যদি আপনাকে স্বৈরাচারের দোসর বলে পেটায়, একটা পুলিশও আপনাকে বাঁচাতে আসবে না। এই বাস্তবতার নাম কি শান্তি?

তিনি বলেন, ড. ইউনূসের কিন্তু বোঝা উচিৎ তিনি এখানে কী করছেন। তার সামনে সুযোগ ছিল নিজেকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার। যদি তিনি সবার সঙ্গে মিলেমিশে তিনি কাজগুলো করতেন। কিন্তু তিনি সেটা করছেন না।

ড. ইউনূস সবাইকে নিয়ে কাজ না করার কারণ কী এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ কামাল বলেন, তিনি রাজনীতি বোঝেন না। ২৫ আগস্টে তার দেওয়া বক্তব্যে তিনি অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন— আমরা অন্য জগতের মানুষ। তিনি ‘আমরা’ বলেছেন, মানে তারা (উপদেষ্টা) সবাই। একটা ইন্টারভিউতে তিনি বলেছেন, আমি এগুলা বুঝি না। তখন তাকে প্রশ্ন করা হয়— অন্যরা ভুল করলে তাদের কিছু বলেন না? উত্তরে তিনি বলেন— তাদের কী বলব, আমি নিজেই ভুল করি, আমি নিজেই তো বুঝি না। অনুরোধে ঢেকি গেলা যায় না, ড. ইউনূস অনুরোধে ঢেকি গিলছেন। উনি আবার সেটা বলেন যে এইটা আমি জানি না।

সেই সময়ে ড. ইউনূসের বিকল্প ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ কামাল বলেন, সেটা তো ড. ইউনূসের দেখার ব্যাপার না। এমন বিকল্প নেই সেই কথা শেখ হাসিনাও বলতো। তার কিছু চামচা ছিল; আপনার-আমার বন্ধু ছিলো যারা গিয়ে বলতো— আপা আপনি তো অমর। আপনি মরে গেলে দেশের কী হবে? তো এখন উনি নাই, তাতে কি দেশের কোনো সমস্যা হয়েছে? পৃথিবীতে অপরিহার্য কোনো ব্যক্তি নাই। আর এই বিষয়টা যারা মানতে না পারে তাদের আচার-আচরণে স্বৈরাচারী মনোভাব আছে।