সাভার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদির ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমানের কলঙ্কিত অধ্যায় ইতোমধ্যেই সাভারবাসির কাছে প্রকাশ পেয়েছে। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যখন বিএনপির ত্যাগি নেতা কর্মীরা মামলা হামলার শিকার হয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে জীবন যাপন করেছেন ঠিক ওই মুহুর্তে নিজেদের রক্ষা করতে এবং নিজেদের আখের গুছাতে দলের নীতি নৈতিকতাকে বিষর্জন দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী শীর্শ নেতাদের সাথে আতাত করে নিজেদে আখের গুছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সাভার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদির ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান।

সাভারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব থেকে শুরু করে আওয়ামী নেতাদের সাথে আতাত করে চালিয়ে যান নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সকল ধরনের কার্যক্রম।

এমতাবস্থায় ৫ আগষ্টেরপর ফ্যাসিস্টরা দেশ থেকে পালিয়ে গেলে শুরু হয় এই দুই নেতার নতুন অধ্যায়। মামলা বানিজ্য থেকে শুরু করে অনেক কিছুতে নিজেদের আদিপত্ব বিস্তারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শুধু তাই নয় ছাত্র হত্যা মামলার আসামী আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বাচাতে গোপনে কাজ করে যাচ্ছেন সাভার পৌর বিএনপির এই দুই নেতা।

এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই আগষ্টে ছাত্র হত্যা মামলার আসামী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল রাজ্জাক ওরফে কুলু রাজ্জাকের অর্থায়নে থাইল্যান্ড সফরে গেলেন সাভার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদির ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান। সফর সঙ্গী হিসেবে আরো রয়েছেন আবদুর রহমানের স্ত্রী-পুত্র ও কন্যা।

জানা গেছে আওয়ামী নেতা ছাত্র হত্যা মামলার আসামী রাজ্জাক মামলা থেকে রেহাই পেতে নিজ অর্থায়নে তাদের নিয়ে থাইলান্ড ভ্রমনে গিয়েছেন।

আব্দুর রহমানের স্ত্রী দিলরুবা আক্তারের ফেসকবুক আইডিতে বিমানের একাধিক ছবি প্রকাশ করার পর সাভারে বিএনপির নেতাকর্মীদের নজরে আসলে বিষয়টি নিয়ে দেখা দেয় এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে কিছুক্ষণ পরেই তার আইডি থেকে ছবিগুলো সড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু তার ছেলে আহনাফ রহমান সায়ন (Ahanaf Rahman Saion) এর ফেসবুক আইডিতে একাধিক ছবি পোষ্ট করা হয়। যা এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

সাভারের স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমালে স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের সাথে আতাত করে বদিউজ্জামান বদির ও আব্দুর রহমান টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন যা এখনো রয়ে গেছে সবার দৃষ্টির আড়ালে।

তবে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে যেমনি তাদের সাথে আতাত করে আসছিলো ঠিক তেমনি এখনো তারা ফ্যাসিস্টদের নিয়েই অতিবাহিত করছেন।

গোপন সূত্রে জানা গেছে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সাভার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদিরের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা হয়। পরে ওই সময়কার সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান রাজিব ও সমরের সাথে সমযোতা করে রেহাই পান এই বদিউজ্জান বদির।

শুধু তাই নয় নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একাধীক সূত্র জানায়, সাভারের সাবেক এমপি ডাঃ এনামুর রহমানের সাথে আতাত করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হন বদির।

তবে ছাত্র হত্যা আসামির সাথে বিএনপি নেতাদের এমন ঘনিষ্ঠতা নিয়ে যেমন আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে ঠিক তেমনি সাভারের বিএনপি পরিবারে চরম ক্ষোভ, হতাশা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর প্রভাব পড়াতে পারে বলেও হতাশা প্রকাশ করছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীরা।

তাই অবিলম্বে সাভার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদির ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের
হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাভারে বিএনপির তৃণমুল নেত্রীবৃন্দ ও আপামর জনতা।