অবশেষে আলোচনা করতে ওমানে পৌঁছেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ট্রাম্পের দূত

- আপডেট টাইম : ১১:৫৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
- / ৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
ছবি
দীর্ঘদিন পর পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এতে প্রধান আলোচক হবেন।
রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, আলোচনার জন্য শনিবার (১২ এপ্রিল) আরাঘচির নেতৃত্বে ইরানি প্রতিনিধিদল ইতোমধ্যে ওমানের রাজধানীতে পৌঁছেছে।
ফ্লাইটরাডারের ফ্লাইট ট্র্যাকিং তথ্য থেকে জানা যায়, উইটকফের বিমানটিও ওমানের রাজধানী মাস্কাটের বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
এসএনএন টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ইরানি প্রতিনিধিদলের তালিকায় উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তখত-রাভানচি এবং কাজেম ঘরিবাবাদীও রয়েছেন।
ইরানের মতে, ওমানের মধ্যস্থতায় আলোচনা হবে বলে পক্ষগুলো ‘সরাসরি আলোচনায়’ অংশ নেবে না। অন্যদিকে, হোয়াইট হাউস বলেছে, আসন্ন বৈঠকদি সরাসরি আলোচনা হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে।
তেহরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর যৌথ ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা (JCPOA) চূড়ান্ত করার ওপর জোর দিচ্ছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে চুক্তি থেকে প্রত্যাহারকারী যে কোনো পক্ষের ওপর শাস্তি আরোপের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটন কেবল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সামরিক দিক বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করে না, বরং সমস্ত পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করারও দাবি করে। এছাড়া তেহরান মধ্যপ্রাচ্যে তাদের মিত্রদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করুক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি সীমিত করুক, এমন দাবিও করা হচ্ছে।
তবে ইরান তার পররাষ্ট্রনীতি এবং প্রতিরক্ষা ক্ষমতা কমানোর যে কোনো প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেছে। সেই সঙ্গে বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি বিকাশের অধিকার জোরদার করেছে।