ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
এরা কোথায় যারা ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে সংবাদ মাদ্যম ও সাংবাদিক পেশা ধারন করে দুনীতি করেছে এবং  দেশকে ধ্বংস করেছে প্রবীণ সম্পাদকের অজান্তেই মামলা ও ওয়ারেন্ট: সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিবাদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর ফুটবল খেলারমাঠে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে টিভিতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মোংলায় সংবাদ সম্মেলন জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ পাঠায়নি কানাডা নিজের গুম নিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ টাঙ্গাইলের মহাসড়কে ঝরলো বাবা ও দুই ছেলের প্রাণ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আপেল মাহমুদকে প্রমাণ দিতে হলো তিনি মুক্তিযোদ্ধা নাসিরনগরে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন বিরলে কমিউনিটি ক্লিনিকের সি,এইচ,সি,পি (CHCP) রাজনৈতিক মামলার আসামি।

ছাত্রীদের শোবার ঘরে সিসি ক্যামেরা, মাদ্রাসা শিক্ষকের কক্ষে মিললো মনিটর

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৬৮ ১৫০.০০০ বার পাঠক

প্রতীকী ছবি।
যশোরের শার্শা উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ছাত্রীদের কক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা ও শিক্ষকের কক্ষ থেকে মনিটর জব্দ করেছে। অভিভাবকদের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গত বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ মাদ্রাসা থেকে ১৬টি সিসি ক্যামেরাসহ অন্যান্য যন্ত্র জব্দ করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, কওমি মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় দুই শিক্ষক থাকেন। ওপরের চারটি তলায় আবাসিক থেকে মেয়েরা লেখাপড়া করে। মেয়েদের শোবারকক্ষে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। ওই ক্যামেরার মনিটর শিক্ষকের কক্ষে ছিল। নারী পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়েছে। এক মাসের ফুটেজের রেকর্ড আছে। সেগুলো যাচাই–বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মেয়েদের শোবার ঘরে ক্যামেরা স্থাপন করে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব করা হয়েছে। এটা কেউ করতে পারেন না।

মাদ্রাসাটিতে ছাত্রীদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে এক অভিভাবক যশোরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তাহেরকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়। যখনই ডাকা হবে, তখনই হাজির হওয়ার শর্তে পরে আবু তাহেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, ওই মাদ্রাসায় কতজন মেয়ে থাকে, তার হিসাব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। তবে ৪০ মেয়ের নাম পেয়েছে পুলিশ। সংখ্যাটি ১০০ থেকে ১৫০ হতে পারে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্রীদের শোবার ঘরে সিসি ক্যামেরা, মাদ্রাসা শিক্ষকের কক্ষে মিললো মনিটর

আপডেট টাইম : ০৮:৫১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

প্রতীকী ছবি।
যশোরের শার্শা উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ছাত্রীদের কক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা ও শিক্ষকের কক্ষ থেকে মনিটর জব্দ করেছে। অভিভাবকদের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গত বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ মাদ্রাসা থেকে ১৬টি সিসি ক্যামেরাসহ অন্যান্য যন্ত্র জব্দ করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, কওমি মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় দুই শিক্ষক থাকেন। ওপরের চারটি তলায় আবাসিক থেকে মেয়েরা লেখাপড়া করে। মেয়েদের শোবারকক্ষে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। ওই ক্যামেরার মনিটর শিক্ষকের কক্ষে ছিল। নারী পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়েছে। এক মাসের ফুটেজের রেকর্ড আছে। সেগুলো যাচাই–বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মেয়েদের শোবার ঘরে ক্যামেরা স্থাপন করে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব করা হয়েছে। এটা কেউ করতে পারেন না।

মাদ্রাসাটিতে ছাত্রীদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে এক অভিভাবক যশোরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তাহেরকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়। যখনই ডাকা হবে, তখনই হাজির হওয়ার শর্তে পরে আবু তাহেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, ওই মাদ্রাসায় কতজন মেয়ে থাকে, তার হিসাব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। তবে ৪০ মেয়ের নাম পেয়েছে পুলিশ। সংখ্যাটি ১০০ থেকে ১৫০ হতে পারে।