পায়রা বন্দর অর্থনীতির জন্য বিষফোড়া : ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

- আপডেট টাইম : ১১:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
- / ৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল প্রকল্পকে অর্থনীতির বিষফোড়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি জনান, তবু এ প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মোট ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
রবিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুমোদিত ১৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১৪ হাজার ১৯৩ কোটি, বৈদেশিক ঋণের ৬ হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর বলা হলেও সেটি মূলত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আনতে করা হচ্ছে। এটাকে সমুদ্র বন্দর তো দূরের কথা, নদী বন্দর বলা যায় না। বাণিজ্য উপদেষ্টা তো বলেছিলেন নদীর নাব্যতা হিসেবে এটাকে ঘাট বলা যায়। তবে এ প্রকল্পের জন্য প্রতিবছর ড্রেজিং করতে হবে।
এতে প্রচুর অর্থ খরচ হবে। এটি বাদ দিয়ে প্লেনে কয়লা আনা যায়। যা হোক ভুল প্রকল্প হলেও অনেক কাজ হয়েছে, অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই শেষ করতে হবে।
তিনি জানান, দুই দিন আগে সরকারি ক্রয় আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর ফলে দরপত্রে ১০ শতাংশ দরপ্রস্তাবের সীমা বাদ যাচ্ছে। ফলে একক ঠিকাদার চক্রের কাজ পাওয়া বন্ধ হবে। সেই সঙ্গে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) শক্তিশালী করা হবে। প্রকল্প অনলাইনে থাকবে এবং শতভাগ দরপত্র ইজিপিতে যুক্ত করতে হবে।