ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

মহিপুরে ভূমি অফিসের পাশের খাপড়াভাঙ্গা নদী দখল চলছে ফ্রি-স্টাইলে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:১৩:০৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১
  • / ৩৮৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥

ফ্রি-স্টাইলে দখল দৌরাত্ম্যের কারণে খাপড়াভাঙ্গা নদীটি এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। কোন ধরনের রাখ-ঢাক নেই। সবকিছু লঙ্ঘন করে নদীর মধ্য্যে গাইড ওয়াল করে দখল করা হয়েছে। মহিপুর ভূমি অফিসের দুই শ’ গজ দূরত্বে এই দখল তান্ডব চললেও তারা রয়েছেন নির্বিকার। তাঁদের কোন ভূমিকা নেই এ নদী রক্ষায়। গভীর সমুদ্রগামী দূর্যোগকালীন জেলেদের একমাত্র আশ্রয়স্থল ১৭কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীকে কেউ কেউ শিববাড়িয়ার চ্যানেলও বলে আসছেন।

এ নদীর আলীপুর-মহিপুর এবং চাপলী, লক্ষ্মীরবাজার এলাকায় তীর দখল করে বহু স্থাপনা তোলা হয়েছে। এখন মহিপুরে নদীতে গাইড ওয়াল করা হয়েছে। চলমান রয়েছে এই দখল প্রক্রিয়া। সরকার এই নদী পুণর্খননের জন্য পরিকল্পনা করেছে। কয়েকদফা সমীক্ষা চালানো হয়েছে। অথচ দখল দৌরাত্ম্য কোন কিছুতেই থামছেনা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে মহিপুর ভূমি প্রশাসনের এসব দেখভালের কোন দায়িত্ব নেই। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন সময় নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান অভিযানে বিভিন্ন দন্ড দিয়ে আসছেন। কিন্তু ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদারগণ) এসব মনিটরিং কিংবা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছেন না। করছেন না দখলদারদের আপডেট তালিকা। এমনকি এদের বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও তারা চুপচাপ থাকছেন। আবার মহিপুর ভূমি অফিসের তহশিলদারের এসব দখল-দৌরাত্ম্যের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগও উঠেছে। কারন মহিপুর বন্দরের পুকুরসহ খাপড়াভাঙ্গা নদী দখলতান্ডব চললেও তিনি নীরব থাকছেন। দর্শক হয়ে আছেন। পরিবেশ কর্মীরা এসব দখলদার উচ্ছেদ করে নদী রক্ষার আবেদন করেছেন। উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দেয়া আছে। শীঘ্রই এসব দখলদার উচ্ছেদ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মহিপুরে ভূমি অফিসের পাশের খাপড়াভাঙ্গা নদী দখল চলছে ফ্রি-স্টাইলে

আপডেট টাইম : ১১:১৩:০৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১

কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥

ফ্রি-স্টাইলে দখল দৌরাত্ম্যের কারণে খাপড়াভাঙ্গা নদীটি এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। কোন ধরনের রাখ-ঢাক নেই। সবকিছু লঙ্ঘন করে নদীর মধ্য্যে গাইড ওয়াল করে দখল করা হয়েছে। মহিপুর ভূমি অফিসের দুই শ’ গজ দূরত্বে এই দখল তান্ডব চললেও তারা রয়েছেন নির্বিকার। তাঁদের কোন ভূমিকা নেই এ নদী রক্ষায়। গভীর সমুদ্রগামী দূর্যোগকালীন জেলেদের একমাত্র আশ্রয়স্থল ১৭কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীকে কেউ কেউ শিববাড়িয়ার চ্যানেলও বলে আসছেন।

এ নদীর আলীপুর-মহিপুর এবং চাপলী, লক্ষ্মীরবাজার এলাকায় তীর দখল করে বহু স্থাপনা তোলা হয়েছে। এখন মহিপুরে নদীতে গাইড ওয়াল করা হয়েছে। চলমান রয়েছে এই দখল প্রক্রিয়া। সরকার এই নদী পুণর্খননের জন্য পরিকল্পনা করেছে। কয়েকদফা সমীক্ষা চালানো হয়েছে। অথচ দখল দৌরাত্ম্য কোন কিছুতেই থামছেনা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে মহিপুর ভূমি প্রশাসনের এসব দেখভালের কোন দায়িত্ব নেই। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন সময় নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান অভিযানে বিভিন্ন দন্ড দিয়ে আসছেন। কিন্তু ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদারগণ) এসব মনিটরিং কিংবা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছেন না। করছেন না দখলদারদের আপডেট তালিকা। এমনকি এদের বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও তারা চুপচাপ থাকছেন। আবার মহিপুর ভূমি অফিসের তহশিলদারের এসব দখল-দৌরাত্ম্যের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগও উঠেছে। কারন মহিপুর বন্দরের পুকুরসহ খাপড়াভাঙ্গা নদী দখলতান্ডব চললেও তিনি নীরব থাকছেন। দর্শক হয়ে আছেন। পরিবেশ কর্মীরা এসব দখলদার উচ্ছেদ করে নদী রক্ষার আবেদন করেছেন। উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দেয়া আছে। শীঘ্রই এসব দখলদার উচ্ছেদ করা হবে।